বিভিন্ন প্রকার বিদ্যুৎ সীমিতকরণ রিয়্যাক্টরের সুবিধা ও অসুবিধাসমূহের তালিকা

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-বিভিন্ন প্রকার বিদ্যুৎ সীমিতকরণ রিয়্যাক্টরের সুবিধা ও অসুবিধাসমূহের তালিকা।যা “বিদ্যুৎ সীমিতকরণ রিয়্যাক্টর” অধ্যায় এর অন্তর্ভুক্ত।

বিভিন্ন প্রকার বিদ্যুৎ সীমিতকরণ রিয়্যাক্টরের সুবিধা ও অসুবিধাসমূহের তালিকা

 

বিভিন্ন প্রকার বিদ্যুৎ সীমিতকরণ রিয়্যাক্টরের সুবিধা ও অসুবিধাসমূহের তালিকা

 

বাসবার রিয়াক্টরের সুবিধাসমূহ: 

বাসবার রিয়াক্টরের সুবিধাসমূহ নিম্নে দেয়া হলো :

 (১) রিং পদ্ধতির ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ভোল্টেজ ড্রপ ও পাওয়ার লস হয় না। এছাড়া যখন একটি ফিডারে শর্ট সার্কিট হয় তখন একটি জেনারেটর থেকেই বেশিরভাগ কারেন্ট ফিড হয় এবং অন্যান্য জেনারেটর হতে অল্প পরিমাণ কারেন্ট রিয়াক্টরের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়

(২) ফিডারে কোন প্রকার ভোল্টেজ বা পাওয়ার লস হয় না।

(৩) ফিডারে কোন ত্রুটি দেখা দিলে ঐ ত্রুটিপূর্ণ ফিডারের সাথে সংযুক্ত অল্টারনেটরই বেশি চাপের সম্মুখীন হয়। কিন্তু অন্যান্য অল্টারনেটর প্রায়ই স্বাভাবিক থাকে। এজন্য ত্রুটিপূর্ণ বাসবারের অংশটুকু কাজের অনুপযুক্ত ও বাকি অংশগুলো ভাল থাকে।

বাসবার রিয়াক্টরের অসুবিধাসমূহ:

 বাসবার রিয়াক্টরের অসুবিধাসমূহ নিম্নে দেয়া হলো:

(১) এ সিস্টেমে অন্যান্য অল্টারনেটরের ভবিষ্যতে সম্প্রসারণ অসুবিধাজনক। 

(২) যে অল্টারনেটর-এ শর্ট সার্কিট হবে, ঐ অল্টারনেটর বেশি ক্ষতি হবে।

টাইবার রিয়াক্টরের সুবিধাসমূহ:

 টাইবার রিয়াক্টরের সুবিধাসমূহ নিম্নে দেয়া হলো :

(১) টাইবার রিয়াক্টরে রিং পদ্ধতির সকল সুবিধা থাকা সত্ত্বেও নিম্নলিখিত সুবিধাগুলো পাওয়া যায়- (২) ব্যবহৃত রিয়াক্টরের নির্ধারিত কারেন্ট ক্ষমতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে যেকোনো সংখ্যক জেনারেটর বা

ফিডার সেকশন বৃদ্ধি করা যায়।

(৩) বিদ্যমান সুইচগিয়ার এবং প্রটেক্টিভ ডিভাইসসমূহ রেখেই টাইবার পদ্ধতির যেকোনো পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করা যায়।

টাইবার রিয়াক্টরের অসুবিধাসমূহ :

 টাইবার বিয়াক্টরের অসুবিধাসমূহ নিম্নে দেয়া হলো :

(১) এ সিস্টেমের অসুবিধা হলো একটি অতিরিক্ত বাসবার (টাইবার) প্রয়োজন হয়।

 

বিভিন্ন প্রকার বিদ্যুৎ সীমিতকরণ রিয়্যাক্টরের সুবিধা ও অসুবিধাসমূহের তালিকা

 

ফিডার রিয়াক্টরের সুবিধাসমূহ :

 ফিডার রিয়াক্টরের সুবিধাসমূহ নিম্নে দেয়া হলো

(১) এ পদ্ধতিতে একটি ফিডারে শর্ট সার্কিট হলে তার রিয়াষ্ট্রর ও কমন বাসবারের যে ভোল্টেজ ড্রপ হয় তা অতি নগণ্য অর্থাৎ সাধারণত বাসবারে ভোল্টেজ কমে না।

(২) অনেক সময় এ পদ্ধতিতে রিয়ারের কিছু অংশের প্যারালালে কার্বন টেট্রাক্লোরাইড ফিউজ ব্যবহার করায় স্বাভাবিক অবস্থায় ভোল্টেজ ড্রপ এবং পাওয়ার লস কম হয়।

ফিডার রিয়াক্টরের অসুবিধাসমূহ :

ফিডার রিয়াক্টরের অসুবিধাসমূহ নিম্নে দেয়া হলো :

(১) স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিটি ফিডারে প্রবাহিত কারেন্টের পরিমাণের উপর ভোল্টেজ ড্রপ ও পাওয়ার লস হয়ে থাকে’। 

(২) এ ব্যবস্থায় অধিক সংখ্যক ফিডার থাকে, ফলে রিয়াক্টরের সংখ্যাও বেশি লাগে বিধায় খরচ বেশি পড়ে।

(৩) যদি জেনারেটরের সংখ্যা বেশি করা হয়, তবে ফিডার ও রিয়াক্টরের আকার বৃদ্ধি করতে হয়।

(৪) বাসবারে কোন ফন্ট হলে জেনারেটরের কোন প্রটেকশন থাকে না (আধুনিক উচ্চ মানের রিয়াট্যান্স সম্পন্ন জেনারেটর ব্যতীত।

জেনারেটর রিয়াক্টরের সুবিধাসমূহ:

 জেনারেটর রিয়াক্টরের সুবিধাসমূহ নিম্নে দেয়া হলো :

(১) এ পদ্ধতিতে জেনারেটর এবং বাসবারের মধ্যে রিয়াক্টর সংযুক্ত থাকে ফলে এটি জেনারেটরকে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করে।

(২) এ পদ্ধতিতে রিয়াক্টর কম লাগে।

 

বিভিন্ন প্রকার বিদ্যুৎ সীমিতকরণ রিয়্যাক্টরের সুবিধা ও অসুবিধাসমূহের তালিকা

 

জেনারেটর রিয়াক্টরের অসুবিধাসমূহ: 

জেনারেটর রিয়াক্টরের অসুবিধাসমূহ নিম্নে দেয়া হলো :

(১) স্বাভাবিক কার্যক্রমের সময় রিয়াক্টরে সব সময় ভোল্টেজ ড্রপ ও পাওয়ার লস হয়ে থাকে।

(২) এ ব্যবস্থার বড় অসুবিধা হলো যখনই কোন ফিডারে ফন্ট হয়, তখনই বাসবার ভোল্টেজ কমে যায়। ফলে অন্যান্য জেনারেটর ও সিনক্রোনাস মেশিনসমূহের সিনক্রোনিজম নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায় ।

(৩) কোন ফিডারে ফন্ট হলে অন্যান্য ভাল ফিডারে সরবরাহের বিঘ্ন দেখা দেয়। ৬.৫. কারেন্ট সীমিতকরণ রিয়াক্টর সম্পর্কিত সমস্যাবলির সমাধান

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment