ইলেকট্রিক বিল ক্যালকুলেশন | Polytechnic Basic Electricity

ইলেকট্রিক বিল ক্যালকুলেশন ক্লাসটি পলিটেকনিক বেসিক ইলেক্ট্রিসিটি ৬৬৭১১ [Polytechnic Basic Electricity, 66711] কোর্সের অংশ| বৈদ্যুতিক বিল কিভাবে হিসাব করতে হয় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এই ক্লাসে। বিল হিসাবের বিভিন্ন একক নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।

 

ইলেকট্রিক বিল ক্যালকুলেশন

 

বিদ্যুৎ বিল হিসাব করার নিয়ম সম্পর্কে আপনি জানেন কি? বর্তমানে অনেক বাড়িওয়ালা নিজ বাড়িতে ভাড়াটিয়াদের জন্য সাব মিটার লাগান তবে তারা জানেন না কিভাবে বিদ্যুৎ বিলের হিসাব করবেন। কত টাকা করে ইউনিট প্রতি বিদ্যুৎ বিল নিবেন।

যেকোন ধরনের বিদ্যুৎ বিল নিয়ে ভোগান্তি এড়াতে এখানে আপনাদের বিদ্যুৎ বিলের হিসাব সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা দেয়ার চেষ্টা করবো। বাংলাদেশর বেশ কিছু কোম্পানির বিদ্যুৎ আমরা বেভার করে থাকি। বিদ্যুৎ বিল নিয়ে নানা ভোগান্তি রয়েছে সেই সাথে বিদ্যুৎ সাব মিটারে ব্যাবহার হলে হিসাব নিয়ে বিরম্বনায়র মধ্যে পড়তে হয়।

 

ইলেকট্রিক বিল ক্যালকুলেশন

 

অনেকে মনে করেন মাস শেষে মিটারে বিদ্যুৎ বিল আসছে বেশি। আমরা বিদ্যুৎ বিলের হিসাব নিজেরা জানিনা বিধায় এই সম্পর্কে আমাদের অনেক ভুল ধারনা রয়েছে। প্রিয় পাঠক,আজকে আমরা জানবো কিভাবে বিদ্যুৎ বিলের হিসাব করতে হয়।

বিদ্যুৎ বিলের হিসাব করার আগে বিদ্যুৎ unit and KW সম্পর্কে অবশ্যক কিছু বিষয় জানা দরকার। যেমন-

 

বিদ্যুৎ বিল হিসাব করার সূত্র

1 1 HP 746 W
2 1000 W 1 KW
3 1 kWh 1 Unit বা ১ ইউনিট (১ কিলোওয়াট ওয়াট = ১ ইউনিট)
4 H মানে Time (ঘন্টায়)
5 P মানে Power VIcosφ W (Single Phase) OR P = √3VIcosφ W (Three Phase)
পল্লী বিদ্যুৎ বিল হিসাব করার নিয়ম

kW কে সময় (ঘন্টা) দিয়ে গুন করলে সঠিক উত্তর (বিদ্যুৎ খরচ) বেরিয়ে আসবে।

বিদ্যুৎ বিল হিসাব করার নিয়ম জানতে কোন মাস কত দিনে শেষ হয় তা জানতে হবে।

কারন বিদ্যুৎ বিতিরন কারি কোম্পানি বিদ্যুৎ বিলের হিসাব মূলত ১ তারিখ থেকে ১ তারিখ পর্যন্ত করে না। মূলত বিদ্যুৎ রিডিং হিসাবটা ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় আলাদা আলাদা সময়ে হয়ে থাকে।

কোন কোন এলাকায় হিসাবটা আপনি প্রতি 25 তারিখ থেকে পরবর্তী 25 তারিখ পর্যন্ত পেয়ে থাকেন।

আবার কোনো কোনো এলাকায় এই হিসাব 20 তারিখ থেকে 20 তারিখ পর্যন্ত হয়ে থাকে।

তবে গ্রাহক বিদ্যুৎ বিল কত টাকা এসেছে এই সম্পর্কে মূলত মাসের শুরুতেই তাদের হাতে পেয়ে জান এবং ওই মাসের 10 থেকে 20 তারিখের মধ্যে তাদেরকে পূর্ববর্তী মাসের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার প্রয়োজন পড়ে।

 

বিদ্যুৎ বিল বের করার সূত্র

যদি লোডে  W এর মান থাকে তাহলে বুঝতে হবে সেটা ওয়াটে (w) দেওয়া থাকে।

বিদ্যুতের কারেন্ট ভোল্টেজের দেওয়া থাকলে (P) এর সূত্র দিয়ে বিদ্যুৎ বিল বের করে নিতে হবে। বিদ্যুতের কারেন্ট হর্স পাওয়ার (hp) থাকলে 746 দিয়ে গুণ করে W (ওয়াট) বের করতে হবে।, যেমন: ২০hp=২০*৭৪৬= W ।

W কে ১০০০ দিয়ে ভাগ করে kW( কিলোওয়াট) এ নিতে হবে।

* kW কে সময় (ঘন্টা) দিয়ে গুন করে ইউনিট বের করতে হবে।

উপরোক্ত পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে আপনার বিদ্যুৎ বিলের ইউনিট বের করতে পারলে আপনি সহজেই বিদ্যুতের বিল হিসাব করতে পারবেন।

 

পল্লী বিদ্যুৎ সহ দেশের যেকোন বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার বিলের হিসাব গুলো এভাবেই করে থাকে।

আপনি চাইলে এখানে উল্লেখিত বিদ্যুৎ বিলের হিসাব গুলো সঠিক ভাবে মিলিয়ে নিতে পারেন আপনার পূর্বের বিলের সাথে।

নেট বিল= এনার্জি বিল + মিটার বিল
এনার্জি বিল= এক মাসে ব্যবহিত ইউনিটের পরিমাণ (kWh) * প্রতি ইউনিটের মূল্য
মিটার বিল= ডিমান্ড চার্জ + সার্ভিস চার্জ
সার্ভিস চার্জ= ১০ টাকা সিঙ্গেল ফেজের জন্য, ৩০ টাকা থ্রী ফেজের জন্য
ভ্যাট= আপনার নেট বিলের সাথে ৫% যোগ
জরিমানা ৫%

 

 

ইলেকট্রিক বিল ক্যালকুলেশন গাণিতিক সমস্যা:

 

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment