অল্টারনেটরের লস এবং দক্ষতা ক্লাসটি “এসি মেশিনস-২ [ AC Machines-2 ]” কোর্সের “অধ্যায় ৫/Chapter 5” এ পড়ানো হয় | এই ক্লাসটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড [Bangladesh Technical Education Board] এর পলিটেকনিক [Polytechnic] ডিসিপ্লিন এর ৭ম সেমিস্টার, ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি [ 7th Semester, Electrical Technology ] এ পড়ানো হয়।
Table of Contents
অল্টারনেটরের লস এবং দক্ষতা
অল্টারনেরের লসসমূহ নিম্নরূপ ( Losses of alternator are following):
১। রোটেশনাল লসসমূহ (Rotational Insses)
(ক) ঘর্ষণ ও বাতাসজনিত (Friction and windage).
(খ) ফিল্ড কালেক্টর রিং এ ব্রাশের ধর্ষণ (Brush friction at the field collector rings)
(গ) ঠাণ্ডাকরণ (Ventilation to cool the machine)
(ঘ) স্ট্যাটরের এডি কারেন্ট এবং হিসটেরেসিস (Hysteresis and eddy currents in the stator)
২। বৈদ্যুতিক লসসমূহ (Electrical losses)
(ক) ফিল্ড ওয়াইন্ডিং (Field winding)
(খ) আর্মেচার ওয়াইন্ডিং (Armature winding)
গ) ব্রাশ কন্টাক্টস (Brush contacts)
৩। এক্সাইটারের লসসমূহ (Loses in the exciter used for field excitation)
৪। স্ট্রে লোড লস (Stray load loss)
অল্টারনেটরের লস এবং দক্ষতা ব্যাখ্যা করা হলো:
অল্টারনেটনের ক্ষেত্রে কর্মদক্ষতা বা ইফিসিয়েন্সি = আউটপুট/ইনপুট। কিন্তু অল্টারনেটরের আউটপুট বৈদ্যুতিক শক্তি বলে অতি সহজে এ শক্তি পরিমাপ যন্ত্র যারা মাপা চলে । এর ইনপুটে পাওয়ার যান্ত্রিক শক্তি। তাই এ শক্তি কোন বৈদ্যুতিক বন্ধ দিয়ে মাপা চলে না। সাধারণত আউটপুট মাপার পরে মেশিনে যে সমস্ত লস হয় তা বিভিন্ন পরীক্ষার দ্বারা নির্ধারণ করা হয়। কর্মদক্ষতা নির্ণয় করন জন্য তখন আউটপুট / আউটপুট + দসসমূহ) সূত্রটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে সংগঠিত পাওয়ার লসের পরিমাণ এবং প্রকার নির্ধারণ করার পদ্ধতি নিম্নে আলোচনা করা হল।
১। রোটেশনাল লনেস বা যান্ত্রিক লসেস (Rotational losses or mechanical losses ) :
এ লসের মধ্যে আছে ঘর্ষণ(Friction) এবং বাতাসের মধ্যে ঘূর্ণনের জন্য বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় পাওয়ার লস (Windage loss)। এ লস বের করার জন্য অন্য একটি মটরের শ্যাফটকে অল্টারনেটরের শ্যাফটের সাথে কাপলিং করে ফিন্ডের এর সাইটেশন বিহীন অবস্থায় সিনক্রোনাস গতিতে চালনা করা হয়। চালনাকারী মোটরের ইনপুট পাওয়ার লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়। তারপর চালনাকারী মোটরটি একাকী লোডবিহীন অবস্থায় চালনা করে এর ইনপুট পাওয়ার লিপিবদ্ধ করা হয়। তখন এ দু’ ইনপুট পাওয়ারের ব্যবধানই উক্ত অল্টারনেটরের রোটেশনাল নয়।
২। কোর লস (Care loss)
এ লসের মধ্যে আছে হিসটেরেসিস ও এডি কারেন্ট লস। একটি সাহায্যকারী মোটরের সাথে অল্টারনেটরকে কাপলিং করে মূল এক্সাইটেশনে এবং পরে এক্সাইটেশন ছাড়া মোটরটিকে অল্টারনেটরের নেমপ্লেটে লিখিত গতিতে চালনা করা হয়। উভয় ক্ষেত্রে মোটরের পাওয়ার ইনপুট লিপিবদ্ধ করা হয়। এ দু’ ইনপুটের ব্যবধানই অল্টারনেটরের কোর লস।
৩। কপার (Copper loss)
অল্টারনেটরের স্টেট ওয়াইডিং এবং ফিল্ড ওয়াইন্ডিং এ কপার লস হয়ে থাকে। স্টেন ওয়াইন্ডিং এর ডিসি রেজিস্ট্যান্স বের করে প্রতি ফেজের ফুললোড কারেন্ট এর বর্গ এবং ফেজের সংখ্যা গুণ করে মোট কপার লস বের করা হয়।
যেমন (n×Ia 2×Ra= nIa2 Ra) ওয়াট।
এখানে n= ফেজের সংখ্যা,
Ia =আর্মেচার কারেন্ট
R = প্রতি কেজের ডিসি রেজিস্ট্যান্স।
কিছু ফিল্ড ওয়াইন্ডিং এর কপার লস সরাসরি ফিল্ড ভোল্টেজ এ ফিল্ড কারেন্ট (Vi×If) গুণ করে বের করা যায়। অথবা ফিল্ডের রেটেড কারেন্টের বর্গ করে ফিল্ড রেজিস্ট্যান্স দ্বারা গুণ করে (If2 R f) ফিল্ডের কপার লস্ পাওয়া যায়।
৪। ব্রাশ ফ্রিকশন লস্ (Brush friction lass)
অল্টারনেটরের ফিল্ড ওয়াইন্ডিং-এ ডিসি এক্সাইটেশনের সময় ব্রাশ ও স্লিপ রিং এর মধ্যে যে ফ্রিকশনাল লস হয় তা নগণ্য বিধায় এটি পরিহার করা যায়।
শতকরা ইফিসিয়েন্সি (AVAXP.) + মোট পস
অ্যামিটার শান্ট সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান নিয়ে বিস্তারিত :
আরও দেখুনঃ