সার্ভার (সেন্ট্রালাইজড, ক্লায়েন্ট-সার্ভার), প্যারালাল ও ডিসট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেম আর্কিটেকচারের স্ট্রাকচারের বর্ণনা | অধ্যায়-১০ | ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় – সার্ভার (সেন্ট্রালাইজড, ক্লায়েন্ট-সার্ভার), প্যারালাল ও ডিসট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেম আর্কিটেকচারের স্ট্রাকচারের বর্ণনা যা অধ্যায়-১০ এর ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এ অন্তর্ভুক্ত। এটি চার বছর মেয়াদি কোর্সের আলোকে লেখা হয়েছে। ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বিভিন্ন ইংরেজি বই অনুসরণ করেই রচনা করা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের যে-কোন বই সম্পূর্ণরূপে বাংলা ভাষায় রচনা করা সম্ভব নয়। এজন্যে কিছু কিছু ইংরেজি শব্দকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়নি। ফলে ছাত্রছাত্রীদের হয়ত কিছুটা অসুবিধা হতে পারে।

সার্ভার (সেন্ট্রালাইজড, ক্লায়েন্ট-সার্ভার), প্যারালাল ও ডিসট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেম আর্কিটেকচারের স্ট্রাকচারের বর্ণনা

(ক) সার্ভার ডাটাবেস সিস্টেম আর্কিটেকচারের স্ট্রাকচার (Structure of server database system architecture):

একটি কম্পিউটার, যেটি LAN, MAN কিংবা WAN এর সাথে সংযুক্ত থাকে এবং যার ফাইল বা রিসোর্স বিভিন্ন ক্লায়েন্ট শেয়ার করে, তাকে সার্ভার বলে। আর যে সব কম্পিউটার, সার্ভারে রক্ষিত ফাইল বা রিসোর্সকে ব্যবহার করে, সে সব কম্পিউটারকে ক্লায়েন্ট বলে। সুতরাং, রিলেশনাল ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (RDBMS) যে ডাটাবেস সিস্টেমে ডাটাবেসকে সার্ভার কম্পিউটারে সংরক্ষিত রেখে LAN, MAN কিংবা WAN এর সহায়তায় একাধিক ক্লায়েন্টকে নিয়ে কুয়েরি প্রসেসিং ও পরিচালনা (Query Processing and Optimization), ট্র্যানজ্যাকশন ম্যানেজমেন্ট (Transaction management), নিরাপত্তা ও শুদ্ধতা (Security and integrity), বাফার ম্যানেজমেন্ট (buffer management) করে থাকে, সে ডাটাবেস সিস্টেমকে সার্ভার ডাটাবেস সিস্টেম (Server database system) বলে। সার্ভার ডাটাবেস সিস্টেম আর্কিটেকচার মূলত: দু’ ভাবে আমরা ডিজাইন করতে পারি-

১। সেন্ট্রালাইজড্ ডাটাবেস সিস্টেম আর্কিটেকচার (centralized database system architecture)

২। ক্লায়েন্ট-সার্ভার ডাটাবেস সিস্টেম আর্কিটেকচার (client-server database system architecture)

নিম্নে এদের বর্ণনা দেয়া হল-

(১) সেন্ট্রালাইজড্ ডাটাবেস সিস্টেম আর্কিটেকচারঃ যে ডাটাবেস সিস্টেম একটিমাত্র কম্পিউটারে চলতে সক্ষম এবং এশ্ন সময়ে শুধুমাত্র একজন ব্যবহারকারীই প্রয়োজনানুযায়ী সিস্টেমকে ব্যবহার করতে পারে, অন্য কোন কম্পিউটার সিস্টেমের। ইস্টারয়্যাক্ট করতে পারে না, তাকেই সেন্ট্রালাইজড্ ডাটাবেস সিস্টেম বলে। একে সিঙ্গেল ইউজার (Single use) সিস্টেমও বলে নিম্নে সেন্ট্রালাইজড সিস্টেমের গঠন চিত্র দেয়া হলঃ

 

সার্ভার (সেন্ট্রালাইজড, ক্লায়েন্ট-সার্ভার), প্যারালাল ও ডিসট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেম আর্কিটেকচারের স্ট্রাকচারের বর্ণনা
একটি সেন্ট্রালাইজড কম্পিউটার সিস্টেম

 

বর্ণনা : উপরে অঙ্কিত সেন্ট্রালাইজড ডাটাবেস সিস্টেমের গঠনে দেখানো হয়েছে যে, যাতে একটি সিপিইউ, একাধিব ডিস্কড্রাইভ, টেপড্রাইভ, মেমোরি, প্রিন্টার ইত্যাদিযুক্ত একটি কম্পিউটার সিস্টেমে এ ডাটাবেস অবস্থান করে। কম্পিউটার সিস্টেমে সমস্ত অংশকে একটি কমন সিস্টেম বাসের সাথে যুক্ত করা হয়েছে।

প্রতিটি ইনপুট/আউটপুট ডিভাইসকে বাসের মাধ্যমে সিপিইউ এর সাথে ইন্টারফেস করার জন্যে কন্ট্রোল ব্যবহার করা হয়েছে যাতে সিপিইউ ঐ সমস্ত device এর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। সংশ্লিষ্ট: সেন্ট্রালাইজড ডাটাবেস সিস্টেমে ডিস্কে ডাটাকে জমা করা থাকে। প্রয়োজন অনুযায়ী ঐ ডাটাবেসকে সিপিইউ মেমোরিতে লোড করে প্রসেসিং কার্য সম্পন্ন করে। সেন্ট্রালাইজর সিস্টেমের বড় বৈশিষ্ট্য হল এটি একটি সিঙ্গেল user system বিধায় অন্য কোন কম্পিউটার সিস্টেমের সাথে ডাটা আদান-প্রদান করে না। সমস্ত কর্মকান্ডে একটি কম্পিউটারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। ফলে এ ধরনের ডাটাবেস সিস্টেমের নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি হয়, থাকে। শুধুমাত্র একজন ব্যবহারকারীই এ সিস্টেমকে তার অনুরোধ বা Request প্রদান করে এবং সিস্টেম সে অনুযায়ী সার্ভিস প্রদান করে।

(২) ক্লায়েন্ট-সার্ভার ডাটাবেস সিস্টেম আর্কিটেকচার (client server database system architecture): একটি কম্পিউটার যেটি LAN, MAN কিংবা WAN এর সাথে সংযুক্ত থাকে এবং যার ফাইল বা রিসোর্স বিভিন্ন ক্লায়েন্ট শেয়ার করে, তাকে সার্ভার বলে। আর যে সব কম্পিউটার, সার্ভারে রক্ষিত ফাইল বা রিসোর্সকে ব্যবহার করে, সে সব কম্পিউটারকে ক্লায়েন্ট বলে।

এ ক্লায়েন্ট/সার্ভার (client/ server) এনভায়রনমেন্টের মধ্যে ডাটাবেস সার্ভার হল একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান (a key component)। যেটি ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে ডাটাবেসকে কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষণ করে থাকে। আর ক্লায়েন্ট কম্পিউটারগুলে থেকে আগত রিকুয়েস্ট বা অনুরোধ অনুযায়ী সার্ভার কম্পিউটার প্রয়োজনীয় সার্ভিস বা নির্দিষ্ট রেকর্ডকে তার কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষিত ডাটাবেস থেকে খুঁজে (search) বের করে Network এর মধ্য দিয়ে ঐ নির্দিষ্ট client কম্পিউটারে pass করে থাকে। সার্ভার কম্পিউটারে রক্ষিত ডাটাবেস সার্ভার এবং ফাইল সার্ভার (database sever and File server) এক ও অভিন্ন। কেননা ফাইল সার্ভারই ডাটাবেসকে সার্ভিস প্রদান করে থাকে। এ ফাইল সার্ভারের কারণেই ক্লায়েন্ট কম্পিউটারগুলো তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সার্ভার . কম্পিউটারে রক্ষিত ডাটাবেসকে শেয়ার করে ব্যবহার করতে পারে। এ জন্যে একে ক্লায়েন্ট সার্ভার (client server) ডাটাকে সিস্টেমও বলা হয়।

বর্ণনা: উপরের চিত্রে একটি ক্লায়েন্ট-সার্ভার ডাটাবেস সিস্টেমের মূল কম্পিউটার বা সার্ভার এবং ক্লায়েন্টগুলোর মধ্যে সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। ডাটাবেস মূলতঃ সার্ভারে সংরক্ষিত আছে। ক্লায়েন্টগুলো তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সার্ভারকে রিকুয়েস্ট প্রদান করে এবং সার্ভার তদানুযায়ী সার্ভিস প্রদান করে থাকে। নেটওয়ার্কিং এর সহায়তায় একাধিক ইউজার বা ব্যবহারকারী সার্ভারে রক্ষিত ডাটাবেস রির্সোস শেয়ার করতে পারে। এ জন্য একে মাল্টিইউজার ডাটাবেস সিস্টেমও বলা হয়।

 

সার্ভার (সেন্ট্রালাইজড, ক্লায়েন্ট-সার্ভার), প্যারালাল ও ডিসট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেম আর্কিটেকচারের স্ট্রাকচারের বর্ণনা
একটি সাধারণ ক্লায়েন্ট-সার্ভার সিস্টেম

 

ডাটাবেস ফাংশনালিটিকে দুইটি ভাগে ভাগ করা যায়ঃ

১। ফ্রন্ট এন্ড (Front End) এবং

২। ব্যাক এন্ড (Back End)।

নিম্নে চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হলঃ

 

সার্ভার (সেন্ট্রালাইজড, ক্লায়েন্ট-সার্ভার), প্যারালাল ও ডিসট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেম আর্কিটেকচারের স্ট্রাকচারের বর্ণনা
ফ্রন্ট এন্ড এবং ব্যাক এন্ড ফাংশনালিটি

 

এক্ষেত্রে ব্যাক-এন্ড ফাংশনালিটি অ্যাকসেস স্ট্রাকচার, কুয়েরি ইভ্যালুয়েশন ও অপটিমাইজেশন, কনকারেন্সি কন্ট্রোল এবং রিকভারিকে ম্যানেজ করে। অপরদিকে, ফ্রন্ট এন্ড ফাংশানালিটি ডাটাবেস সিস্টেমের বিভিন্ন Tools যেমন- ফরমস্ (Forms), রিপোর্ট রাইটার (report writer) এবং গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস সুবিধা নিয়ে গঠিত। Front-end কে বলা হয় ইউজার ইন্টারফেস আর Back-end হল সার্ভারের SQL ইন্টারফেস। ফ্রন্ট-এন্ড ও ব্যাক-এন্ড এর মাধ্যমে ডাটাবেস অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম এর সাথে ইন্টারফেস হয়।

এ ছাড়াও, সার্ভার সিস্টেমকে নিম্নলিখিত দুভাগে বিভক্ত করা যায়, যথা- ট্র্যানজ্যাকশন সার্ভার সিস্টেম এবং ডাটা সার্ভার সিস্টেম।

a) ট্র্যানজ্যাকশন সার্ভার সিস্টেম (Transaction server system): এটি এমন এক ধরনের সার্ভার সিস্টেম, যার মাধ্যমে ক্লায়েন্টের প্রয়োজন অনুযায়ী সার্ভারে Request পাঠায় এবং Request অনুযায়ী প্রসেসকৃত ডাটা সার্ভার থেকে পুনরায় ক্লায়েন্ট মেশিনে ফেরত আসে। একে কুয়েরি সার্ভার সিস্টেমও বলা হয়।

b) ডাটা সার্ভার সিস্টেম (Data server system)। ডাটা সার্ভার সিস্টেমে ক্লায়েন্ট ডাটাকে ফাইল বা পেজ আকারে রীড বা আপডেট করে সার্ভারের সাথে ক্রিয়াশীল হয়।

(খ) প্যারালাল ডাটাবেস সিস্টেম আর্কিটেকচারের স্ট্রাকচার (Structure of parallel database system architecture):

হার্ডওয়্যার আর্কিটেকচারের ভিন্নতার কারণে একটি শক্তিশালী ও দ্রতগতিসম্পন্ন ইন্টরকানেকশন নেটওয়্যারের মাধ্যমে দুই বা ততোধিক কম্পিউটার ডাটার অ্যাক্সেস (access to data), সফটওয়্যার (software) এবং পেরিফেরাল ডিভাইস (Peripheral devices) ইত্যাদি শেয়ার করে কিন্তু কেউ কারোর উপর নিয়ন্ত্রণ করে না। এ ধরনের নেটওয়ার্কভুক্ত কোন একটি কম্পিউটারে একটি সিঙ্গেল ডাটাবেস (a single physical database) এর অবস্থান থাকলে অন্যান্য কম্পিউটার অতি সহজেই তা শেয়ার করে access করতে পারে। আর এতে কাজের বা অপারেশনের গতি বহুগুণ বৃদ্ধি পায়।

সুতরাং, যে ডাটাবেস সিস্টেমে বহুসংখ্যক (Multiple) CPU এবং disk অর্থাৎ মাল্টিপল কম্পিউটার একটি শক্তিশালী ও দ্রুতগতিসম্পন্ন ইন্টারকানেকশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরস্পর প্যারালালি সংযুক্ত হয়ে দ্রতগতিতে প্রসেসিং, ইনপুট/আউটপুট অপারেশন সম্পন্ন করা যায় এবং একে অপরের ফাইল শেয়ার বা রিসোর্স শেয়ার করা যায়, সে ডাটাবেস সিস্টেমকে প্যারালাল ডাটাবেস সিস্টেম (parallel database system) বলে।

বর্ণনা: প্যারালাল ডাটাবেস সিস্টেমের কাজের বা অপারেশনের Performance পরিমাপের জন্য দু’টি পরিমাপক রয়েছে।

(i) গ্ৰুপুট (Throughput) এবং

(ii) রেসপন্স টাইম (Response time)

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রদত্ত কাজ বা অপারেশন সম্পন্ন করাই হল গ্রুপুট (throughput), আর একটি কাজ বা অপারেশন সম্পন্ন চরতে মোট সময়ই রেসপন্স টাইম (Response time)। অপারেশন বা ট্র্যানজ্যাকশনকে ছোট ছোট ট্র্যানজ্যাকশনে বিভক্ত করে প‍্যারালালী প্রসেসিং-এ throughput এবং Response time বৃদ্ধি পায় বা Improve হয়।

১। শেয়ার্ড মেমোরি (Shared memory)

২। শেয়ার্ড ডিক্স (Shared disk)

৩। শেয়ার্ড নাথিং (Shared nothing)

৪। হাইয়ারার্কিক্যাল (Hierarchical)

১। শেয়ার্ড মেমোরি (Shared memory): শেয়ার্ড মেমোরি সিস্টেমে সকল প্রসেসর একটি কমন মেমোরিকে শেয়ার করে। চিত্রের মাধ্যমে একে দেখানো হলঃ

 

সার্ভার (সেন্ট্রালাইজড, ক্লায়েন্ট-সার্ভার), প্যারালাল ও ডিসট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেম আর্কিটেকচারের স্ট্রাকচারের বর্ণনা
শেয়ার্ড মেমোরি সিস্টেম

 

বর্ণনা: উপরের চিত্রে কমন মেমোরিকে (M) দ্বারা, প্রসেসরগুলোকে (P) দ্বারা এবং ডিস্কগুলোকে সিলিন্ডার আকৃতিতে প্রকাশ করা হল। এ সিস্টেমে সকল প্রসেসর এবং ডিস্কগুলো ইন্টারকানেকশন নেওটওয়ার্কের মাধ্যমে কমন মেমোরিকে access করতে পারে। এর বড় সুবিধা হচ্ছে সফটওয়্যারের সাহায্যে যেকোন প্রসেসর যেকোন সময়ে মেমোরিতে প্রবেশ করে একই সাথে মেমোরিকে ব্যবহার করতে পারে। এ সিস্টেমে এক প্রসেসর অন্য প্রসেসরকে মাইক্রোসেকেন্ডের চেয়েও কম সময়ের মধ্যে মেমোরি রাইটের মাধ্যমে মেসেজ প্রেরণ করতে পারে, যা কমিউনিকেশন মেকানিজমের চেয়ে অনেক দ্রুত সংঘটিত হয়। এ গঠনে সর্বোচ্চ ৬৪ প্রসেসর সমর্থন করে।

২। শেয়ার্ড ডিস্ক (Shared disk) : শেয়ার্ড ডিস্ক প্যারালাল ডাটাবেস সিস্টেমে আর্কিটেকচারের সমস্ত প্রসেসর কমন ডিস্ককে শেয়ার করে থাকে। নিম্নে এ প্রকার ডাটাবেস সিস্টেম আর্কিটেকচারের চিত্রসহ বর্ণনা দেয়া হল। উল্লেখ্য, শেয়ার্ড ডিস্ক সিস্টেমকে অনেক সময় ক্লাস্টার (Cluster) বলে।

 

সার্ভার (সেন্ট্রালাইজড, ক্লায়েন্ট-সার্ভার), প্যারালাল ও ডিসট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেম আর্কিটেকচারের স্ট্রাকচারের বর্ণনা
শেয়ার্ড ডিস্ক সিস্টেম

 

বর্ণনা: চিত্রে M হল মেমোরী, P হল প্রসেসর এবং সিন্ডিার হল ডিস্কস্টোরেজ। শেয়ার্ড ডিক্স গঠনে সিস্টেমের সকল প্রসেসর সরাসরি একটি ইন্টারকানেকশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সমস্ত ডিস্কে অ্যাকসেস করতে পারে। এতে সবগুলো প্রসেসরের সাথে নিজস্ব মেমোরী থাকে। এ সিস্টেমে যদি কোন একটি প্রসেসর ব্যর্থ বা অচল হয়ে পড়ে, তবে অন্য প্রসেসর এর দায়িত্ব পালন করে থাকে। এতে প্রতিটি প্রসেসর এর সাথে মেমোরী থাকে বিধায় রিড/রাইট স্পীড বৃদ্ধি পায়। এ সিস্টেম তুলনামূলকভাবে সন্তা।

৩। শেয়ার্ড নাথিং সিস্টেম (Shared nothing system): প্যারালাল ডাটাবেসের যে সিস্টেমে প্রসেসরসমূহ কোন কমন মেমোরী অথবা কমন ডিস্ককে শেয়ার করে না, তাকে শেয়ার্ড নাথিং সিস্টেম বলে। নিচে এর চিত্রাঙ্কন করে বর্ণনা দেয়া হলঃ

 

সার্ভার (সেন্ট্রালাইজড, ক্লায়েন্ট-সার্ভার), প্যারালাল ও ডিসট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেম আর্কিটেকচারের স্ট্রাকচারের বর্ণনা
শেয়ার্ড নাথিং সিস্টেম

 

বর্ণনা: চিত্রে M দ্বারা মেমোরী, P দ্বারা প্রসেসর এবং সিলিন্ডার দ্বারা ডিস্ক বুঝানো হয়েছে। এ ধরনের আর্কিটেকচারে প্রতিটি নোড একটি মেমোরী, একটি প্রসেসর এবং এক বা একাধিক ডিস্কের সমন্বয়ে গঠিত হয়। এতে একটি নোডের প্রসেসর অন্য নোডের প্রসেসরের সাথে হাই-স্পীড ইন্টারকানেকশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারে। এ সিস্টেমের বড় অসুবিধা হল এতে খরচ অত্যন্ত বেশি পড়ে।’

৪। হাইয়ারার্কিক্যাল সিস্টেম (Hierarchical system): শেয়ার্ড মেমোরী, শেয়ার্ড ডিস্ক এবং শেয়ার্ড নাথিং স্ট্রাকচারের সমন্বয়ে যে প্যারালাল ডাটাবেস সিস্টেমের স্ট্রাকচার গঠিত হয়, তাকে হাইয়ারার্কিক্যাল (Hierarchical) সিস্টেম বলা হয়। এটি শেয়ার্ড মেমোরী, শেয়ার্ড ডিস্ক এবং শেয়ার্ড নাথিং এর সমন্বিত রূপ। চিত্রের মাধ্যমে একে দেখানো হয়েছে:

 

সার্ভার (সেন্ট্রালাইজড, ক্লায়েন্ট-সার্ভার), প্যারালাল ও ডিসট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেম আর্কিটেকচারের স্ট্রাকচারের বর্ণনা
হাইয়ারার্কিক্যাল সিস্টেম

 

বর্ণনা: উপরের চিত্রে হাইয়ারার্কিক্যাল সিস্টেমে মেমোরিকে M, প্রসেসরকে P এবং ডিস্ককে সিলিন্ডার দ্বারা প্রকাশ হয়েছে। সিস্টেমটি নোডের সমন্বয়ে গঠিত, যাদেরকে ইন্টারকানেকশন নেটওয়ার্ক দ্বারা এ সিস্টেমে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ সিস্টেমে ডিস্ক কিংবা মেমোরির কোনটিই শেয়ার করে না। এজন্য এর সবচেয়ে উপরের লেভেলটি হল শেয়ার্ড নাথিং এবং নিচের লেভেলের প্রতিটি নোড হল শেয়ার্ড মেমোরী। অপরপক্ষে, প্রতিটি সিস্টেম একসেট ডিস্ককে শেয়ার করতে পারে বলে এরা শেয়ার্ড ডিস্ক। বাস্তবিকপক্ষে এ সিস্টেমটি হল একটি হাইব্রিড (Hybrid) সিস্টেম।

গ) ডিস্ট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেম আর্কিটেকচারের স্ট্রাকচার (Structure of distributed database system architecture) :

ডিসট্রিবিউটেড ডাটাবেস হল এমন একটি ডাটাবেস, যাকে সেন্ট্রাল (central) ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (DBMS) নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ডিসট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেম হল অনেকগুলো Node এর সমন্বয়ে তৈরী এক ধরনের ডাটাবেস সিস্টেম, যাতে Node-গুলো কখনও main মেমোরী বা main storage device কে শেয়ার করে না কিন্তু ডাটাবেসকে বিভিন্ন কম্পিউটারে সংরক্ষণ করে। অর্থাৎ এ ধরনের সিস্টেম লোকাল ডাটাবেস সিস্টেম মেইনটেইন করে। এ সিস্টেমে ব্যবহৃত কম্পিউটারগুলো বিভিন্ন কমিউনিকেশন মিডিয়া যেমন-ইন্টারনেট, কর্পোরেট ইন্ট্রানেট বা এক্সট্রানেট, কোম্পানীর প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা টেলিফোন লাইন এর সাহায্যে একটির সাথে অপরটি সংযুক্ত থাকে।

সুতরাং ,যে ডাটাবেস সিস্টেম অনেকগুলো নোডের সমন্বয়ে তৈরি এবং প্রত্যেকটি নোড আলাদা আলাদা লোকাল ডাটাবেসের সিস্টেমকে মেইনটেইন করে, সে ডাটাবেস সিস্টেমকে ডিস্ট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেম বলে।

বর্ণনা: ডিস্ট্রিবিউটেড ডাটাবেস ডাটার আপ-টু-ডেট এবং বর্তমান অবস্থান (up-to-date and current) কে নিশ্চিত করে।। কারণে এর দু’টি Processes আছে-

i) রেপলিকেশন (Replication)

ii) ডুপলিকেশন (Duplication)।

স্পেশালাইড সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে ডিস্ট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেমে ডাটার পরিবর্তন সংগঠিত করাই রেপলিকেশ। (Replication)। কিন্তু ডাটাবেসের ডাটার সাইজ এবং সংখ্যার উপর ভিত্তি করে মাঝে মাঝে রেপলিকেশন Complex এবং tim consuming হয়ে পড়ে। তখন এ প্রসেস সম্পন্ন করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। অপরপক্ষে, ডুপলিকেশন এত কঠিন নয়। এটি সাধারণত ডাটাবেসকে একটি Master বা প্রধান হিসাবে আইডেনটিফাট (Identify) করে। তারপর ঐ ডাটাবেসের একটি নকল বা ডুপলিকেট ডাটাবেস তৈরি করে।

বর্ণনা: ডিস্টিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেমে ব্যবহৃত কম্পিউটারসমূহকে একেকটি সাইট বা নোড বলা হয়। যদি প্রতিটি সাইটে: কম্পিউটারসমূহ নিজেদের মধ্যে ডাটা আদান-প্রদান করে, তখন তাকে বলা হয় লোকাল-ট্র্যানজ্যাকশন। আর যদি এক সাইটে। সাথে অন্য সাইটের ডাটা আদান-প্রদান করে, তখন তাকে বলা হয় গ্লোবাল ট্র্যানজ্যাকশন।

ডিস্ট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেমে বিভিন্ন ধরনের টপোলজি ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন টপোলজির মাধ্যমে এ সিস্টেমের সাইটসমূর ফিজিক্যালি পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকতে পারে। নিচে কয়েকটি টপোলজি দেয়া হল। এর যেকোন একটির মত ডিস্ট্রিবিউটেন্ড ডাটাবেস সিস্টেমের সাইটসমূহ পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকতে পারে।

১। ফুললি কানেকটেড টপোলজি (Fully Connected Topology): এ প্রকার টপোলজির মাধ্যমে ডিস্ট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেমে ব্যবহৃত সকল সাইট বা নোডকে ফিজিক্যালি পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করা হয়। পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করার ফলে এ সিস্টেমে খরচ অনেক বেড়ে যায়। নিচের চিত্রটি ফুললি কানেকটেড টপোলজির।

 

সার্ভার (সেন্ট্রালাইজড, ক্লায়েন্ট-সার্ভার), প্যারালাল ও ডিসট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেম আর্কিটেকচারের স্ট্রাকচারের বর্ণনা
ফুললি কানেকটেড টপোলজি

২। পারশিয়ালি কানেকটেড টপোলজি (Partially Connected Topology) : এ ধরনের টপোলজির মাধ্যমে ডিস্ট্রিবিউটেড টোবেস সিস্টেমে ব্যবহৃত সকল সাইট বা নোডকে ফিজিক্যালি পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করা যায় না। কিছু সাইট বা নোডকে রস্পরের সাথে সংযুক্ত করা হয়। নিচের চিত্রটি পারশিয়ালি কানেকটেড টপোলজির।

 

সার্ভার (সেন্ট্রালাইজড, ক্লায়েন্ট-সার্ভার), প্যারালাল ও ডিসট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেম আর্কিটেকচারের স্ট্রাকচারের বর্ণনা
পারসিয়ালি কানেকটেড টপোলজি

 

৩। ট্রি টপোলজি (Tree Topology): এ টপোলজির সাহায্যে সকল সাইট বা নোডকে ফিজিক্যালি পরস্পরের সাথে ট্রি কারে সংযুক্ত করা যায়। নিচের চিত্রটি ট্রি টপোলজির।

 

সার্ভার (সেন্ট্রালাইজড, ক্লায়েন্ট-সার্ভার), প্যারালাল ও ডিসট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেম আর্কিটেকচারের স্ট্রাকচারের বর্ণনা
ট্রি টপোলজি

 

৪। স্টার টপোলজি (Star Topology): এ টপোলজির মাধ্যমে সকল সাইট বা নোডকে ফিজিক্যালি পরস্পরের সাথে স্টার আকারে একটি কেন্দ্রীয় সাইট নোডের সাথে অন্যান্য সাইট বা নোডসমূহকে ফিজিক্যালি সংযুক্ত করা যায়। নিচের চিত্রটি স্টার টপোলজির।

 

সার্ভার (সেন্ট্রালাইজড, ক্লায়েন্ট-সার্ভার), প্যারালাল ও ডিসট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেম আর্কিটেকচারের স্ট্রাকচারের বর্ণনা
স্টার টপোলজি

 

৫। রিং টপোলজি (Ring Topology): এ টপোলজির মাধ্যমে সকল সাইট বা নোডকে ফিজিক্যালি পরস্পরের সাথে রিং আকারে সংযুক্ত করা যায়। নিচের চিত্রটি রিং টপোলজির।

 

সার্ভার (সেন্ট্রালাইজড, ক্লায়েন্ট-সার্ভার), প্যারালাল ও ডিসট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেম আর্কিটেকচারের স্ট্রাকচারের বর্ণনা
রিং টাপোলজি

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment