আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়- বিভিন্ন প্রকারের বিদ্যুৎ সীমিতকরণ রিয়্যাক্টর।যা “বিদ্যুৎ সীমিতকরণ রিয়্যাক্টর” অধ্যায় এর অন্তর্ভুক্ত।
Table of Contents
বিভিন্ন প্রকারের বিদ্যুৎ সীমিতকরণ রিয়্যাক্টর
রিয়াক্টরের শ্রেণিবিভাগ:
গঠনের উপর ভিত্তি করে রিয়াক্টরকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
(ক) ড্রাই টাইপ এয়ার কোরড রিয়াক্টর (Dry Type Air Cored Reactor)।
(খ) আয়রন কোর রিয়াক্টর (Iron Core Reactor) |
(গ) অয়েল ইমার্জড এয়ার কোরড রিয়াক্টর (Oil Immersed Air Cored Reactor)।
(ক) ড্রাই টাইপ এয়ার কোরড রিয়াক্টর (Dry Type Air Cored Reactor) :
আমাদের দেশে সাধারণত ড্রাই টাইপ এয়ার কোরড রিয়াক্টর বেশি ব্যবহৃত হয় এবং এ ধরনের রিয়াক্টরে বৃত্তাকারে সন্নিবেশিত কংক্রিট পিলারের মধ্যে কপার কন্ডাক্টরের গোলাকার কয়েল দৃঢ়ভাবে স্থাপন করা থাকে। চিত্রে কয়েলসহ এটি দেখানো হলো।
এ কংক্রিট পিলারটি আবার কংক্রিট স্রাবের উপর স্থাপন করা থাকে এবং চীনামাটির ইনসুলেটর দিয়ে উঁচু করে বাঁধানো থাকে। এ ধরনের রিয়াক্টরের কন্ডাক্টর খোলা থাকে বলে রিয়াক্টরকে স্টোন বা ইটের প্রকোষ্ঠের মধ্যে রাখা হয়। এতে আয়রন কোরের অনুপস্থিতির ফলে এর রিয়ালক্ট্যান্স স্বাভাবিক কারেন্ট এবং শর্ট সার্কিট কারেন্ট উভয় ক্ষেত্রেই মোটামুটিভাবে একই মানের থাকে।
খ) আয়রন কোর রিয়াক্টর (Iron Core Reactor) :
এ ধরনের রিয়াক্টরে আয়রন কোর ব্যবহৃত হয়। আয়রন কোর ব্যবহারের ফলে কোর লসের কারণে যে তাপের সৃষ্টি হয় তা কমিয়ে রাখার জন্য এ কোর স্যাচুরেশন (Saturation) বিহীন অবস্থায় রাখার জন্য এটিকে বেশ বড় আকারে তৈরি করতে হয় যাতে স্যাচুরেশনে এ পৌঁছতে না পারে।
(গ) অয়েল ইমার্জড এয়ার কোরড রিয়াক্টর (Oil Immersed Air Cored Reacfor ) :
এ ধরনের রিয়াক্টরে ইনসুলেশন এবং কুলিং ব্যবস্থা সাধারণত ট্রান্সফরমারের মতোই হয়ে থাকে অর্থাৎ রিয়াক্টর কয়েলকে তেলের মধ্যে ডুবানো থাকে বলে একে অয়েল ইমার্জড এয়ার কোরড রিয়াক্টর বলে। এ রিয়াক্টর শিল্ডিংসহ অথবা শিল্ডিং ব্যতীত হতে পারে। বহিস্থ ম্যাগনেটিক ফ্লাক্স প্রবেশ করে যাতে অহেতুক উত্তাপ সৃষ্টি না করে সেজন্য রিয়াক্টরের উপর ও নিচে রিং (Ring) বসানো হয় এবং এদেরকে শর্ট সার্কিট করে আর্থ পটেনশিয়ালে রাখা হয়। বড় বড় রিয়াক্টরে শিন্ডিং, কুলিং টিউব হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে কুলিং-এর ব্যাপারে অতিরিক্ত সুবিধা দিয়ে থাকে।
অবস্থানের উপর ভিত্তি করে রিয়াক্টরকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
(ক) জেনারেটর রিয়াক্টর (Generator Reactor),
(খ) ফিডার রিয়াক্টর (Feeder Reactor), (গ) বাসবার রিয়াক্টর (Busbar Reactor)।
বাসবার রিয়াক্টর আবার দুইভাবে সিস্টেম সংযুক্ত হতে পারে। যথা-
(১) রিং পদ্ধতি,
(২) টাইমার রিয়াক্টর পদ্ধতি।
আরও দেখুনঃ