আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-রিলের ভূমিকা ।যা “রিলে” অধ্যায় এর অন্তর্ভুক্ত।
রিলের ভূমিকা
বৈদ্যুতিক সিস্টেমে রিলে, সার্কিট ব্রেকার ও সিটি-এর মাঝামাঝি অবস্থান করে। যখনই সিস্টেমে কোনো প্রকার দোষ-ত্রুটি দেখা দেয় তখনই রিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে (Automatically) সজাগ হয়ে ওঠে এবং সার্কিট ব্রেকারের ট্রিপ কয়েলকে উদ্যমশীল করে।
ফলে সার্কিট ব্রেকার খুলে যায় এবং সমস্ত সিস্টেমসমূহ বিপদ বা ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পায়। যদিও সিস্টেমে ব্যবহৃত প্রটেকক্টিভ ডিভাইসসমূহের মধ্যে রিলের মূল্য তুলনামূলকভাবে অনেক কম, তবুও বৈদ্যুতিক সিস্টেমকে বিপদমুক্ত করার ব্যাপারে এর অবদান অপরিসীম। সিস্টেমের প্রতিটি ত্রুটির প্রতি সদা-সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখতে হয় বলে একে নীরব প্রহরী বা অতন্দ্র প্রহরীও বলা হয়ে থাকে।
পর্যাপ্ত বা প্রয়োজনীয় পরিমাণ প্রটেকশন অভাবে ছোটখাটো ত্রুটিও বৃহদাকার ত্রুটিতে রূপ নিতে পারে। যেমন- মটরের থার্মাল ওভারলোড প্রটেকশনের ব্যবস্থা থাকলে মটর ওভারলোডিং হতে রক্ষা পেতে পারে। ফলে ইনসুলেশনজনিত ত্রুটি এড়ানো যায়।
তাছাড়া নষ্ট হয়ে যাওয়া (Damaged) যন্ত্রপাতি মেরামত বা পরিবর্তন করতে যথেষ্ট সময় লাগে। কাজেই পর্যাপ্ত প্রটেকশনের মাধ্যমে কোনো প্লান্ট বা বৈদ্যুতিক পাওয়ার সিস্টেমের যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাওয়ার হাত হতে রক্ষা করা যায়।
সরবরাহ ব্যবস্থার কোনো একটি যন্ত্রের ত্রুটির জন্য ক্ষতি কম হবে এবং ত্রুটিও তাড়াতাড়ি দূর করা যাবে। ফলে সরবরাহ ব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন হবে, যা খুবই প্রয়োজন। কাজেই দেখা যায় প্রটেক্টিভ রিলের মাধ্যমে সরবরাহ ব্যবস্থায় উন্নত সেবা প্রদান সম্ভব।
রিলে ব্যবহারের সুবিধাসমূহ :
(১) সিস্টেমের কোনো অংশে ত্রুটি দেখা দিলে রিলে অপারেশনের কারণে অনতিবিলম্বে ঐ অংশে সাপ্লাই বিচ্ছিন্ন করা যায়।
(২) সিস্টেমে কোন ধরনের ত্রুটি দেখা দিয়েছে, তা রিলে অপারেশন থেকে জানা যায়।
(৩) বৈদ্যুতিক সিস্টেমে কোন বিন্দুতে বা কোন অংশে ত্রুটি দেখা দিয়েছে সেটাও জানা যায়।
রিলে এর সংজ্ঞা(Define Relay)
রিলে এমন একটি স্বয়ংক্রিয় (Automatic) প্রটেক্টিভ ডিভাইস যা বৈদ্যুতিক পাওয়ার সিস্টেমে কোনো পূর্ব নির্ধারিত বৈদ্যুতিক অবস্থার পরিবর্তনে সাড়া দিয়ে সার্কিটে সংযুক্ত অন্যান্য প্রটেক্টিভ ডিভাইস (সার্কিট ব্রেকার ও এর ট্রিপ কয়েল) সমূহকে অপারেট করতে সাহায্য করে এবং কষ্টযুক্ত অংশ সার্কিট হতে আলাদা করে। বৈদ্যুতিক অবস্থার পরিবর্তন বলতে সার্কিটের নির্ধারিত ভোল্টেজ, কারেন্ট, ফেজ, ফ্রিকুয়েন্সি, বিদ্যুৎ প্রবাহের দিক ইত্যাদির পরিবর্তনকে বুঝায়।
আরও দেখুনঃ