ডাটাবেস ম্যানেজার এর বিভিন্ন কাজ | অধ্যায়-২ | ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় – ডাটাবেস ম্যানেজার এর বিভিন্ন কাজ যা অধ্যায়-২ এর ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এ অন্তর্ভুক্ত। এটি চার বছর মেয়াদি কোর্সের আলোকে লেখা হয়েছে। ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বিভিন্ন ইংরেজি বই অনুসরণ করেই রচনা করা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের যে-কোন বই সম্পূর্ণরূপে বাংলা ভাষায় রচনা করা সম্ভব নয়। এজন্যে কিছু কিছু ইংরেজি শব্দকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়নি। ফলে ছাত্রছাত্রীদের হয়ত কিছুটা অসুবিধা হতে পারে।

ডাটাবেস ম্যানেজার এর বিভিন্ন কাজ

 

ডাটাবেস ম্যানেজার এর বিভিন্ন কাজ

 

ডাটাবেস ম্যানেজার-এর বিভিন্ন কাজ

ডাটাবেস ম্যানেজার (Database manager) এমন একটি প্রোগ্রাম মডিউল (Program module), যা ডাটাবেসের নিম্ন স্তরে (low level) জমাকৃত ডাটা এবং এপ্লিকেশন প্রোগ্রাম এর মধ্যে ইন্টারফেস (interface) সরবরাহ করে এবং সিস্টেমকে কুয়েরি করে। এ ছাড়াও, DBMS-এ ডাটাবেস ম্যানেজার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করে থাকে। নিম্নে উহার কাজগুলো বর্ণনা করা হলঃ ডাটাবেস

ম্যানেজার-এর বিভিন্ন কাজ (Different tasks of database manager)

(ক) ফাইল ম্যানেজারের সাথে পারস্পরিক ক্রিয়াকরণ (Interaction with the file manager) : সাধারণত কনভেনশনাল অপারেটিং সিস্টেম এর কোন ফাইল সিস্টেম ব্যবহার করে কাঁচা ডাটা (row data) ডিস্কে জমা করা হয়। এজন্য ডাটাবেস ব্যবস্থাপক বা ম্যানেজারকে সব সময়ই কনভেনশনাল অপারেটিং সিস্টেমের ফাইল ম্যানেজারের সাথে পারস্পরিক ক্রিয়াশীল থাকতে হয়।

ডিস্কে ডাটা জমা করার পরে ডাটাবেস ব্যবস্থাপক বিভিন্ন DML স্টেটমেন্টসমূহকে নিচু স্তরের ফাইল সিস্টেম এর কমান্ডে অনুবাদ করে। এভাবে এটি অপারেটিং সিস্টেমের ফাইল ম্যানেজারের সাথে পারস্পরিক ক্রিয়াশীল থেকে ডাটাবেসে ডাটা এর প্রকৃত সন্নিবেশ, উদ্ধার ও আধুনিকীকরণ (updating) এর দায়িত্ব পালন করে থাকে।

(খ) ইনটিগ্রিটি ইনফোর্সমেন্ট (Integrity enforcement): ডাটাবেসে জমাকৃত ডাটা ভ্যালু (data value)-সমূহকে অবশ্যই কিছু কিছু ধরনের কনসিসটেন্সি কনট্রেইন্ট (consistency constraint) কে মেটাতে (satisfy) হবে। যেমন-কোন কারখানায় একজন শ্রমিক প্রতিদিন 4(চার) ঘণ্টার উপরে এবং প্রতিমাসে ৩০ ঘণ্টার উপরে ওভারটাইম (overtime) করতে পারবে না; এ ধরনের কনসট্রেইন্টকে অবশ্যই ডাটাবেস এডমিনিস্ট্রেটরকে নির্ধারণ করে দিতে হবে। আর তিনি যদি এ ধরনের কোন কনসট্রেইন্টকে নির্ধারণ করে দেন, তবে ডাটাবেস ব্যবস্থাপককে পরবর্তীতে এটি পালনের জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

 

ডাটাবেস ম্যানেজার এর বিভিন্ন কাজ

 

(গ) সিকিউরিটি ইনফোর্সমেন্ট (Security enforcement) : সাধারণত ডাটাবেসের সমগ্র কনটেন্ট (content) এ সকল ধরনের ব্যাহারকারীর প্রবেশের প্রয়োজন পড়ে না। এজন্য শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কন্টেন্টে যেন নির্দিষ্ট ব্যবহারকারী প্রবেশ করতে পারে, তার ব্যবস্থা করা ডাটাবেস ব্যবস্থাপকের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। অর্থাৎ ডাটাবেস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর যাকে ডাটাবেসের যে অংশটুকু এডিট (edit), ভিউ (view) ইত্যাদি করার ক্ষমতা দিবেন, সে অনুযায়ী ডাটাবেস ব্যবস্থাপক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ডাটাবেস ব্যবস্থাপক (Database manager) কখনোই ডাটাবেসে অননুমোদিত ব্যক্তিকে অ্যাকসেস করার অনুমতি দিবে না। ফলে ডাটাবেসের নিরাপত্তা বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়।

(ঘ) ব্যাকআপ ও রিকভারি (Backup and recovery): ডাটাবেসে জমাকৃত ডাটাসমূহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই তার বিনাশ কোনভাবেই কাম্য নয়। কিন্তু কম্পিউটার অন্যান্য ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল যন্ত্রের মত যে কোন সময় ফেইলিউর (failure) হতে পারে। যেমন ডিস্ক ক্র্যাশ, পাওয়ার ফেইলিউর, সফট্ওয়্যার এরর (error) ইত্যাদি নানা কারণে এ যন্ত্রটি ফেইলিউর হতে পারে।

তাই এ ধরনের যে কোন ফেইলিউর ডিটেক্ট করা এবং তার পূর্ব পর্যন্ত ডাটাবেসের অবস্থাকে রিস্টোর (restore) করা ডাটাবেস ব্যবস্থাপকের অতীব গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বিভিন্ন ধরনের ব্যাকআপ ও রিকভারি প্রসিডিউরকে ইনিশিয়েট (initiate) করেই ডাটাবেস ব্যবস্থাপক এ ধরনের কাজ করে থাকে। এর ফলে ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বিশ্বস্ততা অনেক বৃদ্ধি পায়।

 

ডাটাবেস ম্যানেজার এর বিভিন্ন কাজ

 

(ঙ) কনকারেন্সি কন্ট্রোল (Concurrency control) : একটি ডাটাবেসে একই সময়ে একাধিক ব্যবহারকারী অ্যাকসেস করলে তাকে কনকারেন্সি বলে। যখন কনকারেন্ট অ্যাকসেস ঘটে, তখন ডাটাবেসে ডাটাসমূহের কনসিসটেন্সি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ জন্যে একই সাথে একাধিক ব্যবহারকারীদেরকে ডাটাবেসে ঢুকতে না দিয়ে তাদেরকে পর্যায়ক্রমে ঢুকতে দেয়ার ব্যবস্থা করা ডাটাবেস ম্যানেজারের একটি অন্যতম দায়িত্ব। ফলে ডাটাবেসে ডাটাসমূহের কনসিসটেন্সি (consistency) বজায় থাকে এবং সিস্টেমের বিশ্বস্ততা আরও বৃদ্ধি পায়।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment