এসি সার্কিটে পাওয়ার ও পাওয়ার ফ্যাক্টর অনুশীলনী ১০

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় এসি সার্কিটে পাওয়ার ও পাওয়ার ফ্যাক্টর অনুশীলনী ১০

এসি সার্কিটে পাওয়ার ও পাওয়ার ফ্যাক্টর অনুশীলনী ১০

 

এসি সার্কিটে পাওয়ার ও পাওয়ার ফ্যাক্টর অনুশীলনী ১০

 

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :

১। পাওয়ার ফ্যাক্টর কী?

উত্তর :- এসি সার্কিটে ভোল্টেজ ও কারেন্টের মধ্যবর্তী কোণের কোসাইন অর্থাৎ cos B-কে পাওয়ার ফ্যাক্টর বলা হয়।

২। প্রকৃত পাওয়ার কী? এর প্রতীক ও একক কী?

উত্তর :- এসি সার্কিটে প্রকৃতই বা যথার্থই যে ক্ষমতা বা পাওয়ার ব্যয়িত হয়, তাকে প্রকৃত বা ট্রু বা অ্যাকটিভ পাওয়ার বলে। এর প্রতীক P এবং একক ওয়াট বা কিলোওয়াট। অর্থাৎ, P = VI cos8।

৩। আপাত বা অ্যাপারেন্ট পাওয়ার কী? এর প্রতীক ও একক কী?

উত্তর :- কোনো এসি সার্কিটের ভোল্টেজ ও কারেন্টের গুণফলকে আপাত। এর প্রতীক P, বা S এবং একক ভোল্ট-অ্যাম্পিয়ার বা কিলোভোল্ট-অ্যাম্পিয়ার। সুতরাং Pg = VI.

৪। রিয়্যাকটিভ পাওয়ার কী? এর প্রতীক ও একক কী?

উত্তর :- কোনো এসি সার্কিটের ভোল্টেজ এবং কারেন্টের উল্লম্ব উপাদান, অর্থাৎ I sine-এর গুণফলকে সক্রিয় পাওয়ার বলে। এর প্রতীক P; বা Q এবং একক ভোল্ট-অ্যাম্পিয়ার রিয়্যাকটিভ (VAR) বা কিলোভার (kVAR)। সুতরাং P = V I sine.

৫। এক ফেজ সার্কিটে পাওয়ার ফ্যাক্টর কখন ল্যাগিং হয়?

উত্তর :- এক ফেজ সার্কিটটি যদি ইন্ডাক্টিভ সার্কিট হয়, তবে পাওয়ার ফ্যাক্টর ল্যাগিং হবে।

৬। এক ফেজ সার্কিট পাওয়ার ফ্যাক্টর কখন লিডিং হয় ?

উত্তর :- এক ফেজ সার্কিটটি যদি ক্যাপাসিটিভ সার্কিট হয়, তবে পাওয়ার ফ্যাক্টর লিডিং হবে।

৭। RL সার্কিটের পাওয়ার ফ্যাক্টর কেমন হয়?

উত্তর :- RL সার্কিটে অর্থাৎ ইনডাকটিভ সার্কিটে কেজ কোণ নেগেটিভ হয় বিধায় পাওয়ার ফ্যাক্টর ল্যাগিং হয়।

৮। RLC সিরিজ সার্কিটে পাওয়ার ফ্যাক্টর কখন একক হয়?

উত্তর :- RLC সিরিজ সার্কিটে যদি XL = Xe হয়, তবে সার্কিটটি রেজিস্টিভ বা রেজোন্যান্ট সার্কিট হবে এবং তখন সার্কিটের পাওয়ার ফ্যাক্টর একক হবে।

৯। কী কী পদ্ধতিতে RLC প্যারালাল সার্কিট সমাধান করা যায়?

উত্তর :- চারটি পদ্ধতিতে RLC প্যারালাল সার্কিট সমাধান করা যায়, যথা- ১। ভেক্টর বা ফেজর মেথড, ২। অ্যাডমিট্যান্স মেথড ৩। ভেক্টর অ্যালজেবরা মেথড, ৪। সমতুল্য ইম্পিড্যান্স মেথড। এদের মধ্যে অ্যাডমিট্যান্স পদ্ধতি সবচেয়ে ভালো।

১০। অ্যাডমিট্যান্স ত্রিভুঙ্গ কী?

উত্তর :- যে ত্রিভুজের মাধ্যমে কন্ডাকট্যান্স, সালেপট্যান্স এবং অ্যাডমিট্যান্স এই তিনটি উপাদানকে উপস্থাপন করা হয়, তাকে অ্যাডমিট্যান্স ত্রিভুজ বলে।

১১। অ্যাডমিট্যান্স-এর উপাদান কয়টি ও কী কী?

উত্তর :- অ্যাডমিট্যান্স-এর উপাদান তিনটি, যথা- ১। অ্যাডমিট্যান্স ২। কন্ডাকট্যান্স ৩। সাসেপট্যান্স ।

১২। ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর কী?

উত্তর :- ইন্ডাক্টিভ সার্কিটে কারেন্ট ও ভোল্টেজের মধ্যকার ফেজ কোণের কোসাইন মানকে ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে । ১৫। আপাত পাওয়ার ও প্রকৃত পাওয়ার-এর সূত্রগুলো লেখ।

 

গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

১৩। কন্ডাকট্যান্স কাকে বলে?

উত্তর :- এসি সার্কিটের প্রতি একক ভোল্টের কারেন্টের অনুভূমিক উপাংশকে কন্ডাকট্যান্স বলে। একে G দ্বারা প্রকাশ করা হয় এবং এর একক মোহ (3) বা সিমেন (Siemen)

১৪।  কী কী পদ্ধতিতে RLC প্যারালাল সার্কিটের সমস্যা সমাধান করা যায়?

উত্তর :- (ক) ভেক্টর বা ফেজর পদ্ধতি (Vector or Phasor)

(খ) অ্যাডমিট্যান্স মেথড (Admitance method)

(গ) ভেক্টর অ্যালজেবরা মেথড (Vector Algebra method)

(ঘ) সমতুল্য ইম্পিড্যান্স মেথড (Equivalent impedance method) ।

১৫। এক ফেজ সার্কিটে পাওয়ার কীভাবে নির্ণয় করা হয়?

উত্তর :- এক ফেজ সার্কিটে যখন ভোল্টেজ ও কারেন্ট ওয়েভ বিশুদ্ধ সাইন ওয়েভ হয়, তখন সার্কিট কর্তৃক গৃহীত পাওয়ার, ভোল্ট- অ্যাম্পিয়ার এবং ভোল্টেজ ও কারেন্ট তরঙ্গের মধ্যবর্তী ফেজ কোণের কোনো সাইনের গুণফলের সমান। অর্থাৎ, P = EI cost.

১৬। রেকট্যাংগুলার ফরমে পাওয়ার কীভাবে প্রকাশ করা হয়?

উত্তর :- যখন ভোল্টেজ ও কারেন্টের ভেক্টরসমূহ রেকট্যাংগুলার কো-অর্ডিনেটে প্রকাশ করা হয়, তখন পাওয়ার এদের অনুভূমিক উপাদানসমূহের গুণফল এবং উল্লম্ব উপাদানসমূহের গুণফলের বীজগাণিতিক যোগফলের সমান। অর্থাৎ- P = El + E, I.

১৭। এসি পাওয়ার কত প্রকার ও কী কী?

উত্তর :- এসি পাওয়ার তিন প্রকার, যথা-

(ক) প্রকৃত পাওয়ার (Active power)

(খ) প্রতিক্রিয়াশীল পাওয়ার (Reactive power)

(গ) আপাত পাওয়ার (Apparent power)

১৮। ল্যাগিং ও লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর বলতে কী বুঝায়?

উত্তর :-

ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর :

যখন কোনো সার্কিটে ক্যাপাসিটিভ লোডের চেয়ে Inductive লোডের পারমাণ বেশি। থাকে, তখন ঐ সার্কিটের পাওয়ার ফ্যাক্টর (p.f) কে ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে। অর্থাৎ যে সার্কিটে কারেন্ট, ভোল্টেজের
পিছনে থাকে, তাকে ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে।

লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর : যখন কোনো সার্কিটে Inductive লোডের চেয়ে Capacitive লোডের পরিমাণ বেশি থাকে, তখন এ সার্কিটের পাওয়ার ফ্যাক্টর (p.f)-কে লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে। অর্থাৎ যে সার্কিটে কারেন্ট, ভোল্টেজের চেয়ে অগ্রগামী থাকে তখন উক্ত সার্কিটের পাওয়ার ফ্যাক্টরকে লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে।

 

এসি সার্কিটে পাওয়ার ও পাওয়ার ফ্যাক্টর অনুশীলনী ১০

 

১৯। । পাওয়ার ফ্যাক্টর কখন ল্যাগিং ও লিডিং হয়?

উত্তর :- ইন্ডাকটিভ লোডের ক্ষেত্রে পাওয়ার ফ্যাক্টর ল্যাগিং এবং ক্যাপাসিটিভ লোডের ক্ষেত্রে পাওয়ার ফ্যাক্টর লিডিং হয়।

 

 

আরও দেখুন : 

Leave a Comment