আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-সার্কিট ব্রেকার পরিচালনার মূলনীতি এবং এর কার্যপ্রণালি।যা “সার্কিট ব্রেকারের গঠন ও কার্যপ্রণালি” অধ্যায় এর অন্তর্ভুক্ত।
সার্কিট ব্রেকার পরিচালনার মূলনীতি এবং এর কার্যপ্রণালি
কার্যপ্রণালি :
বৈদ্যুতিক ব্যবস্থায় একটি সার্কিট ব্রেকার যে সকল কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে তা হলো :
(১) স্বাভাবিক অবস্থায় কোনো একটি সার্কিটকে সংযোগ ও বিচ্ছিন্ন করার জন্য (ম্যানুয়ালি অথবা রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যম) সুইচের মতো কাজ করে।
(২) অস্বাভাবিক অবস্থায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ত্রুটিপূর্ণ অংশকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
(৩) ত্রুটিমুক্ত হওয়ার পর ম্যানুয়ালি বা রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে সার্কিটকে পুনঃসংযোগ করে।
সার্কিট ব্রেকারের মূলনীতি :
একটি সার্কিট ব্রেকার fixed এবং moving কন্টাক্ট থাকে যাদেরকে Electrodes বলে। পাওয়ার সিস্টেমে স্বাভাবিক অবস্থায়ে এই কন্টারদ্বয় close অবস্থায় থাকে এবং ফন্টযুক্ত অবস্থায় Open থাকে। আবার প্রয়োজনে এই Contact রিমোট Control বা manually অপারেট করা যায়।
যখন কোন ফন্ট সংঘটিত হয়, তখন সার্কিট ব্রেকারের Contact অটোমেটিকভাবে খোলার সাথে সাথে আর্ক (Arc) উৎপন্ন হয়। এই Arc কে remove করতে সার্কিট ব্রেকার কর্তৃক ফন্ট remove করতে কিছু সময় লেগে যায়। অতএব সর্কিট ব্রেকারের প্রধান সমস্যা হলো দ্রুত সময়ে Arc extilguish করা।
স্বাভাবিক অবস্থায় লাইনে যে কারেন্ট প্রবাহিত হয়, তা দ্বারা রিলে কয়েল এনার্জাইজ (উদ্যমশীল) হয় না। এর ফলে ট্রিপ কয়েল এনার্জাইজ হয় না; ফলে চলনশীল কন্টাক্ট স্থির কন্টাক্টের সাথে সংযুক্ত অবস্থায় থাকে অর্থাৎ স্থির কন্টাক্ট থেকে চলনশীল কন্টাক্ট বিচ্ছিন্ন হয় না।
সার্কিটে শর্ট সার্কিট অথবা আর্থিংজনিত কারণে যখনই লাইনে অতিরিক্ত কারেন্ট প্রবাহিত হয়, সিটিতে অতিরিক্ত কারেন্ট প্রবাহের ফলে রিলে কয়েল এনার্জাইজ হয় এবং রিলে কয়েল কাঁচা লোহাকে আকর্ষণ করার ফলে রিলে কন্টাক্ট ক্লোজ হয়।
এতে ট্রিপ সার্কিট কমপ্লিট হওয়ার কারণে ট্রিপ কয়েল এনার্জাইজ হয় এবং এটি লিংক ম্যাকানিজমকে আকর্ষণ করে ফলে লিংক ম্যাকানিজমের সাথে সংযুক্ত চলনশীল কন্টাক্ট সরে আসে ফলে সার্কিট ব্রেক হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, রিলে ফন্টকে চিহ্নিত করে সিগনাল প্রদান করে এবং সার্কিট ব্রেকার পরবর্তীতে ত্রুটিপূর্ণ সার্কিট সরবরাহকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ট্রিপিং সার্কিট, সার্কিট ব্রেকারের ট্রিপ কয়েল রিলে কন্টাক্ট ও সাপ্লাই সোর্স সহযোগে গঠিত।
আরও দেখুনঃ