E R ডায়াগ্রামে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের অ্যাট্রিবিউটসমূহের বর্ণনা | অধ্যায়-৩ | ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় – E R ডায়াগ্রামে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের অ্যাট্রিবিউটসমূহের বর্ণনা  যা অধ্যায়-৩ এর ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এ অন্তর্ভুক্ত। এটি চার বছর মেয়াদি কোর্সের আলোকে লেখা হয়েছে। ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বিভিন্ন ইংরেজি বই অনুসরণ করেই রচনা করা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের যে-কোন বই সম্পূর্ণরূপে বাংলা ভাষায় রচনা করা সম্ভব নয়। এজন্যে কিছু কিছু ইংরেজি শব্দকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়নি। ফলে ছাত্রছাত্রীদের হয়ত কিছুটা অসুবিধা হতে পারে।

E R ডায়াগ্রামে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের অ্যাট্রিবিউটসমূহের বর্ণনা

 

E R ডায়াগ্রামে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের অ্যাট্রিবিউটসমূহের বর্ণনা

 

E R ডায়াগ্রামে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের অ্যাট্রিবিউটসমূহের বর্ণনা

একজন কাস্টমারের customer_id custo_name, custo street, custo_city ইত্যাদি আলাদাভাবে ঐ কাস্টমারের একেকটি একক গুণাগুণ বা একক বৈশিষ্ট্য, যাদের প্রত্যেকটিকে অ্যাট্রিবিউট বলে। এ সমস্ত অ্যাট্রিবিউটগুলোর ভ্যালুর সমন্বয়ে ঐ কাস্টমারের তথ্য বা Information পাওয়া যায়।

প্রতিটি অ্যাট্রিবিউটের একসেট ভ্যালু থাকে, যাকে ঐ অ্যাট্রিবিউটের ভ্যালু সেট বা ডোমেইন বলে।

উদাহরণস্বরূপ- Customer_id অ্যাট্রিবিউটের একসেট ভ্যালু বা ডোমেইন থাকে, যা স্ট্রীং কিংবা নাম্বার টাইপের এবং যার নির্দিষ্ট লেংথ থাকবে।

সুতরাং, কোন অবজেক্টের একক বৈশিষ্ট্যকে ঐ অবজেক্টের অ্যাট্রিবিউট বলে।

E-R ডায়াগ্রামে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের অ্যাট্রিবিউটসমূহকে নিম্নলিখিত শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়, যথাঃ

(ক) সরল এন্ট্রিবিউট (Simple attribute)

(খ) যৌগিক বা কম্পোজিট অ্যাট্রিবিউট (Composite attribute)

(গ) একক মান বা সিঙ্গেল ভ্যালুড অ্যাট্রিবিউট (Single valued atribute)

(ঘ) বহুমান বা মাল্টিভ্যালু অ্যাট্রিবিউট (Multivalued attribute)

(ঙ) নাল অ্যাট্রিবিউট (Null attribute)

(চ) ডিরাইভড অ্যাট্রিবিউট (Derived attribute)।

নিচে এদের বর্ণনা দেয়া হলো:

ক) সরল অ্যাট্রিবিউ: যে সমস্ত অ্যাট্রিবিউটকে বিভিন্ন অংশে বিভক্ত করা যায় না তাকেই সরল অ্যাট্রিবিউট বলে। যেমন-

অ্যাকাউন্ট নামক এনটিটি সেটের অ্যাকাউন্ট-নম্বর (account_no) অ্যাট্রিবিউটটি হল একটি সরল অ্যাট্রিবিউট। কারণ একে আর বিভক্ত করা যায় না।

খ) যৌগিক বা কম্পোজিট অ্যাট্রিবিউট: যে সমস্ত অ্যাট্রিবিউটকে বিভিন্ন অংশে বিভক্ত করা যায়, তাদেরকেই যৌগিক অ্যাট্রিবিউট বলে। যেমন- কাস্টমার নামক এনটিটি সেটের কাস্টমার নেম বা customer_name অ্যাট্রিবিউটটি হল যৌগিক বা কম্পোজিট অ্যাট্রিবিউট। কারণ একে ফার্স্ট-নেম (first name), মিডেল-নেম (middle name) ও লাস্ট নেম (last name) ইত্যাদি ভাগে বিভক্ত করা যায়।

 

E R ডায়াগ্রামে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের অ্যাট্রিবিউটসমূহের বর্ণনা
চিত্রঃ কম্পোজিট অ্যাট্রিবিউট

 

গ) একক মান বা সিঙ্গেল ভ্যালু অ্যাট্রিবিউট: যে সমস্ত অ্যাট্রিবিউটকে শুধুমাত্র একটি মান বা সিঙ্গেল ভ্যালু, দ্বারা নির্দিষ্ট করা যায়, তাদেরকে একক মান বা সিঙ্গেল ভ্যালু অ্যাট্রিবিউট বলে। যেমন- লোন নামক এনটিটি সেটের ক্ষেত্রে লোন-নাম্বার অ্যাট্রিবিউটটি শুধুমাত্র একটি লোনের নম্বরকেই প্রকাশ করে থাকে। কাজেই এটি একক মান অ্যাট্রিবিউট।

(ঘ) বহুমান বা মাল্টিভাল্যু অ্যাট্রিবিউট: যে সমস্ত অ্যাট্রিবিউটের অনেকগুলো মান থাকতে পারে, তাদেরকেই বহুমান অ্যাট্রিবিউট বলা হয়। যেমন- এমপ্লয়ী (employee) নামক এনটিটি সেটের একটি অ্যাট্রিবিউট যদি ডিপেন্ডেন্ট নেম (dependent name) হয়, তবে দেখা যাবে যে, এই অ্যাট্রিবিউটের মান-শূন্য, এক অথবা আরো বেশি হতে পারে। অতএব, সেটি একটি বহুমান বা মাল্টিভ্যালু অ্যাট্রিবিউট।

(ঙ) নাল অ্যাট্রিবিউট: যদি কোন অ্যাট্রিবিউটের কোন মান না থাকে, তবে তাকেই নাল (null) অ্যাট্রিবিউট বলে। আবার যদি কোন অ্যাট্রিবিউটের মান জানা না থাকে, তবে তাকেও নাল অ্যাট্রিবিউট বলে।

মূলত নাল অ্যাট্রিবিউট বলে কোন অ্যাট্রিবিউট নেই। কিন্তু তার মাঝেও কোন কোন অ্যাট্রিবিউটের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট এনটিটির ক্ষেত্রে ঐ অ্যাট্রিবিউটের ভ্যালু নাল থাকতে পারে।

যেমন- কোন কাস্টমারের মিডেল নেম না থাকলে ঐ কাস্টমারের নামের মিডেল অংশ নাল থাকবে বা নাল হবে। আবার কোন কাস্টমারের নাম জানা না থাকলে Customer_name অ্যাট্রিবিউটের ভ্যালু নাল হবে।

 

E R ডায়াগ্রামে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের অ্যাট্রিবিউটসমূহের বর্ণনা

 

(চ) ডিরাইভড অ্যাট্রিবিউট: যদি কোন অ্যাট্রিবিউটের মান অন্য কোন অ্যাট্রিবিউট বা এনটিটি হতে পাওয়া যায়, তবে তাকে ডিরাইভড (Derived) বা প্রাপ্ত অ্যাট্রিবিউট বলে। যেমন- loans-held নামক অ্যাট্রিবিউটটি যদি কাস্টমার (customer) এনটিটি সেটের হয়, তবে এটি দ্বারা বুঝায় যে, একজন কাস্টমার কোন কোন ব্যাংক হতে কয়টি লোন উত্তোলন করেছে, যা ঐ কাস্টমারের সাথে সংশ্লিষ্ট সমস্ত লোন নম্বরকে যোগ করে পাওয়া যাবে।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment