আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় – ডাটাবেস সিস্টেম আর্কিটেকচারের ভূমিকা যা অধ্যায়-১০ এর ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এ অন্তর্ভুক্ত। এটি চার বছর মেয়াদি কোর্সের আলোকে লেখা হয়েছে। ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বিভিন্ন ইংরেজি বই অনুসরণ করেই রচনা করা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের যে-কোন বই সম্পূর্ণরূপে বাংলা ভাষায় রচনা করা সম্ভব নয়। এজন্যে কিছু কিছু ইংরেজি শব্দকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়নি। ফলে ছাত্রছাত্রীদের হয়ত কিছুটা অসুবিধা হতে পারে।
ডাটাবেস সিস্টেম আর্কিটেকচারের ভূমিকা
ডাটাবেস সিস্টেমের আর্কিটেকচার মূলত কম্পিউটার সিস্টেম এর আর্কিটেকচারের উপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত। কম্পিউটারের আর্কিটেকচার এর দিকসমূহ যেমন-নেটওয়ার্কিং, প্যারালেলিজম (parallelism) ও ডিসট্রিবিউশন (Distribution)। ঠিক তেমনি ডাটাবেস ‘সিস্টেম আর্কিটেকচার এর দিকসমূহ ও নেটওয়ার্কিং, প্যারালেলিজম ও ডিসট্রিবিউশন। তবে ডাটাবেস’ সিস্টেমে সেন্ট্রালাইজেশন বলে একটি শব্দ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। যদি একটিমাত্র কম্পিউটারে কোন ডাটাবেস পরিচালিত হয়, তবে সে ডাটাবেস’ সিস্টেমকে সেন্ট্রালাইজড সিস্টেম বলে। উল্লেখ্য, সেন্ট্রালাইজড সিস্টেমের নিরাপত্তা অনেক বেশি এবং সিস্টেম অত্যন্ত দ্রুত গতিশীল হয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে ইউজার থাকে মাত্র একজন। সেন্ট্রালাইজড সিস্টেমের বিপরীত হল ডিসট্রিবিউটেড ডাটাবেস ‘সিস্টেম। এতে ডাটাবেস বিভিন্ন সাইটে অবস্থান করে থাকে। একই সাথে অনেক ব্যবহারকারী এ ডাটাবেসকে ব্যবহার করতে পারে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সাইট একটি পাবলিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকে। এ সিস্টেমে ডাটাবেস ইনফরমেশন শেয়ার করা খুবই সুবিধাজনক।
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পারসোনাল কম্পিউটারের অনেক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। সে সাথে উন্নয়ন হয়েছে কম্পিউটার পরিচালনার সফ্টওয়্যারেও। ফলে পারসোনাল কম্পিউটারকে এখন পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করে অপারেট করা যায়। এ আর্কিটেকচারকে সামনে রেখে যে ডাটাবেস সিস্টেম উন্নয়ন করা হয়েছে, তার নাম ক্লায়েন্ট-সার্ভার ডাটাবেস। এক্ষেত্রে সেন্ট্রালি একটি পারসোনাল কম্পিউটারে ডাটাবেস জমা থাকে। তাকে সার্ভার এবং অন্যান্যগুলোকে ক্লায়েন্ট বলা হয়। অপর পক্ষে প্যারালাল ডাটাবেস ব্যবহৃত হয় মাল্টিপল সিপিইউযুক্ত সিস্টেমে। এর ফলে ডাটাপ্রসেসিং এর গতি এবং বিভিন্ন আই/ও এর গতি অনেক বেড়ে যায়। ফলে সিস্টেমের পারফরমেন্স অনেক বৃদ্ধি পায়। কারণ প্যারালাল সিস্টেমে একই সাথে অনেকগুলো অপারেশন সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়। এ অধ্যায়ে বিভিন্ন ডাটাবেস আর্কিটেকচার তুলে ধরার চেষ্ট করা হয়েছে।
আরও দেখুনঃ