আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় আরএলসি সিরিজ সার্কিটের রেজিস্ট্যান্স, ইন্ডাকট্যান্স এবং ক্যাপাসিট্যান্সের মান নির্ণয় এবং ভেক্টর ডায়াগ্রাম অঙ্কন
Table of Contents
আরএলসি সিরিজ সার্কিটের রেজিস্ট্যান্স, ইন্ডাকট্যান্স এবং ক্যাপাসিট্যান্সের মান নির্ণয় এবং ভেক্টর ডায়াগ্রাম অঙ্কন
ভূমিকা :
একটি RLC সিরিজ সার্কিটে রেজিস্ট্যান্স, ইন্ডাকট্যান্স, ক্যাপাসিট্যান্স সিরিজে সংযুক্ত থাকে বলে মোট পাওয়ার ফ্যাক্টর লিডিং, ইন-ফেজ বা ল্যাগিং যাই হোক না কেন, তা নির্ভর করে ক্যাপাসিটিভ রিয়্যাকট্যান্স Xc এবং ইন্ডাকটিভ রিয়্যাকট্যান্স X.-এর মানের উপর।
Xc অপেক্ষা X বড় হলে pf ল্যাগিং আর X. অপেক্ষা X ছোট হলে pf হবে লিডিং হবে। X = Xc হলে pf হবে ইউনিটি। একটি ট্রান্সমিশন লাইন, মোটর ওয়াইন্ডিং ইত্যাদির ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রভাব দেখা যায়।
উদ্দেশ্য :
১। RLC সিরিজ সার্কিট কীভাবে তৈরি করা হয়, তা জানা;
২। একটি RLC সিরিজ সার্কিটের রেজিস্ট্যান্স, ইন্ডাকট্যান্স, ক্যাপাসিট্যান্স-এর মান নির্ণয়করণ;
৩। RLC সিরিজ সার্কিটের ভেক্টর ডায়াগ্রাম অঙ্কন করা।
তত্ত্ব :
রেজিস্ট্যান্স :
যে গুণের কারণে একটি পরিবাহীতে কারেন্ট চলাচলে বাধা পায় এবং পাওয়ার খরচ হয় (Dissipate of power), তাকে রেজিস্ট্যান্স বলে । এর প্রতীক R, একক ওহম, ওহমের প্রতীক 12 (ওমেগা)।
ইন্ডাকট্যান্স :
যে গুণের কারণে একটি পরিবাহীতে কারেন্টের মান পরিবর্তন হতে বাধা পায়, তাকে ইন্ডাকট্যান্স বলে। এর প্রতীক L, একক হেনরি, হেনরির প্রতীক ।। ইন্ডাকট্যান্সজনিত কারণে কারেন্ট চলাচলের বাধাকে ইন্ডাকটিভ রিয়্যাকট্যান্স (X) বলে। এর একক ওহম । XL = 2rfL, এখানে f হচ্ছে Frequency, L হচ্ছে ইন্ডাকট্যান্স ।
ক্যাপাসিট্যান্স :
দু’টি পরিবাহীকে ডাই-ইলেকট্রিক পদার্থের মাধ্যমে পৃথক অবস্থায় রাখা হলে তাকে ক্যাপাসিটর বলে। | ক্যাপাসিটরের মধ্যে চার্জ ধারণ করে রাখা সম্ভব। চার্জ ধারণ করে রাখার ক্ষমতাকে ক্যাপাসিট্যান্স বলে। ক্যাপাসিট্যান্স-এর প্রতীক C. একক ফ্যারাড (F)। ক্যাপাসিটরের মধ্যে কারেন্ট চলাচলের বাধাকে ক্যাপাসিটিভ রিয়্যাকট্যান্স X বলে। একক ওহম। সূত্র হচ্ছে Xc :; যেখানে f হচ্ছে frequency, C হচ্ছে ক্যাপাসিট্যান্স ।
ইম্পিড্যান্স :
একটি এসি সার্কিটের মোট বাধাকে ইম্পিড্যান্স বলে। প্রতীক Z, একক ওহম। RLC সিরিজ সার্কিটের ক্ষেত্রে
সার্কিট ডায়াগ্রাম :
ভেক্টর ডায়াগ্রাম :
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি :
১। রেজিস্টর (230V, 100W incandescent lamp ) – ১ টি
২। ইন্ডাকটিভ কয়েল ( 230V, 40W, 50Hz choke coil or ballast) – ১ টি
৩। ক্যাপাসিটর 300V, AC, 2.5, 50Hz – ১ টি
৪। অ্যামিটার 0-5 amp, AC – ১ টি
৫। ভোল্টমিটার 0-500V, AC – ১ টি
৬। (উপরে ৪ এবং ৫ নং এর পরিবর্তে) Digital multimeter – ১ টি
৭। ড্রইং সামগ্রী – প্রয়োজন অনুযায়ী
ডাটা শীট :
কাজের ধাপ :
১। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল সংগ্রহের পর সার্কিট ডায়াগ্রাম অনুযায়ী সংযোগ দিতে হবে
২। সরবরাহ করার পূর্বে পুনরায় সার্কিটটি চেক করতে হবে।
৩। প্রতিটি পাঠ সাবধানে নিয়ে ডাটা শীটে বসাতে হবে।
৪ । ডাটা শীটে বসানো মান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য বের করতে হবে।
৫। সুনির্দিষ্ট স্কেল অনুযায়ী ভেক্টর ডায়াগ্রাম আঁকতে হবে।
৬। হিসেবকৃত কোণের মান এবং অঙ্কনকৃত কোণের মান তুলনা করতে হবে।

সাবধানতা :
১। সরবরাহ করার আগে সার্কিটটি চেক করে নিতে হবে।
২। মিটারগুলো সংযোগ করার সময় সঠিক মানের মিটার এবং সঠিক স্কেল অনুযায়ী সংযোগ করতে হবে।
৩। ক্যাপাসিটরে সংযোগ দেয়ার সময় লুজ (Loose) সংযোগ থাকা চলবে না ।
৪। ব্যবহারের অব্যাহতির পরেই ক্যাপাসিটরকে ডিসচার্জ করে রাখতে হবে।
৫। পাঠ নেয়ার সময় সঠিকভাবে পাঠ নিতে হবে।
৬। হিসেব করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
উপসংহার : নিজে করি ।
ওয়ার্ক শীট :
RLC সিরিজ সার্কিটের ইন্ডাকটিভ কয়েলকে শর্ট করে দিলে বাতিটি কম নাকি বেশি জ্বলবে? কেন? অনুরূপভাবে ক্যাপাসিটরটি শর্ট করে সার্কিটটি অন করলে বাতি কম নাকি বেশি জ্বলবে? কেন?
আরও দেখুন :