আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় – ডাটাবেস অ্যাডমিনিস্টেটরের কাজ যা অধ্যায়-২ এর ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এ অন্তর্ভুক্ত। এটি চার বছর মেয়াদি কোর্সের আলোকে লেখা হয়েছে। ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বিভিন্ন ইংরেজি বই অনুসরণ করেই রচনা করা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের যে-কোন বই সম্পূর্ণরূপে বাংলা ভাষায় রচনা করা সম্ভব নয়। এজন্যে কিছু কিছু ইংরেজি শব্দকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়নি। ফলে ছাত্রছাত্রীদের হয়ত কিছুটা অসুবিধা হতে পারে।
ডাটাবেস অ্যাডমিনিস্টেটরের কাজ
ডাটাবেস অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের কাজ
যে ব্যক্তি ডাটাবেস সিস্টেমের সাথে অধিক পরিচিত এবং ডাটাবেস তৈরি, ম্যানিপুলেট, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের কাজে যথেষ্ট পারদর্শী, সে ব্যক্তিই ডাটা অ্যাডমিনিস্ট্রেটর। অর্থাৎ সে হল ডাটাবেস নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা।
ডাটাবেস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ডাটাবেস স্ট্রাকচারকে ডিফাইন ও নিয়ন্ত্রণ করে। তিনি ডাটাবেস সিস্টেমের তিনটি লেভেল সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখেন এবং User-দের সাথে পরামর্শক্রমে ডাটাবেসের সর্বোপরি দৃষ্টিভঙ্গিকে ডিফাইন করে থাকে। Hardware, software সম্পর্কীত ত্রুটি, মানুষ ও প্রকৃতি সৃষ্টজনিত দুর্ঘটনার কারণে ডাটা লস বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। অর্থাৎ ডাটা Back-up এবং Recovery এর জন্য প্রয়োজনীয় এবং ডাটার উপর শর্তারোপ বা ডাটার বাধ্যবাধকতা নিয়ন্ত্রণ করে।
সুতরাং, ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে যে ব্যক্তি কেন্দ্রীয়ভাবে ডাটাবেসকে ডিজাইন, ডাটার প্রবাহকে কন্ট্রোল, ডাটাবেস সিস্টেমকে পরিচালনা ইত্যাদি কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করে থাকে, সে ব্যক্তিকে ডাটাবেস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বলা হয়।
ডাটাবেসে অ্যাডমিনিস্ট্রেটরকে একজন সুদক্ষ ও সুনিয়ন্ত্রক হওয়া প্রয়োজন। কেননা তার প্রশাসনিক ও কারিগরি দক্ষতার উপর
ডাটাবেস ম্যানেজমেন্টের সার্বিক সাফল্য নির্ভরশীল।
(ক) স্কীমা ডেফিনিশন (Schema definition): ডাটাবেসের সামগ্রিক ডিজাইনকেই স্কীমা বলা হয়। ডাটাবেস administrator ডাটাবেসের স্কীমা ডেফিনেশন সরবরাহ করেন। ডেফিনেশন এর একটি সেট লিখে তিনি অরিজিনাল ডাটাবেস স্কীমা তৈরি করেন। ডি.ডি.এল. কম্পাইলার (DDL compiler) তাকে কম্পাইল (compile) করে একসেট টেবিল (set table)-এ পরিণত করে এবং ডাটা
ডিকশনারি (data dictionary) নামক একটি ফাইলে স্থায়ীভাবে জমা (permanently store) করে রাখে।
(খ) স্টোরেজ স্ট্রাকচার এবং অ্যাকসেস মেথড ডেফিনেশন (Storage structure and access methode defination): ডাটাবেস administrator definition এর একটি সেট রচনা করে উপযুক্ত স্টোরেজ গঠন এবং এতে প্রবেশ পদ্ধতি তৈরি করেন। পরে একে ডাটা স্টোরেজ এবং ডেফিনিশন ল্যাংগুয়েজ কম্পাইলার দ্বারা অনুবাদ করা হয়।
(গ) স্কীমা এবং ফিজিক্যাল অর্গানাইজেশন মডিফিকেশন (Schema and physical organization modification): Database administrator ডাটাবেস স্কীমা অথবা ফিজিক্যাল স্টোরেজ অর্গানাইজেশন এর জন্য বর্ণনার একসেট ডেফিনিশন লিখে তাদেরকে মডিফাই (modify) করেন, যা ডি. ডি. এল (DDL) কম্পাইলার অথবা ডাটা স্টোরেজ এবং DDL কম্পাইলার দ্বারা ব্যবহৃত হয়। ফলে অভ্যন্তরীণ সিস্টেম টেবিল (internal system table) যেমন- ডাটা ডিকশনারি (data dictionary) এর মডিফিকেশন জেনারেট (modification generate) হয়। তবে মডিফিকেশনের এ কাজটি ডাটাবেস administrator খুব কম সময়ই করে থাকেন।
(ঘ) ডাটা প্রবেশের কর্তৃত্বের জন্য অনুমতি প্রদান (Granting of authorization for data access) : ডাটাবেস administrator বিভিন্ন ধরনের ব্যবহারকারী (user) এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কর্তৃত্বের অনুমতি প্রদান (Authorization allow) করে থাকেন। অর্থাৎ কোন ব্যবহারকারী ডাটাবেস (user database) কোন কোন অংশে অ্যাকসেস, মডিফাই (access, modify) ইত্যাদি কাজ করতে পারবে ডাটাবেসের administrator তা সুনির্দিষ্ট করেন।
ফলে ডাটাবেসের নির্দিষ্ট অংশে ব্যবহারকারী (user) এর অ্যাকসেস নিয়ন্ত্রণ (regulate) করা সম্ভব হয় এবং ডাটাবেস (database) এর নিরাপত্তা (security) নিশ্চিত হয়। এর মাধ্যমে অননুমোদিত কোন ব্যক্তিকে ডাটাবেসে প্রবেশ করা হতে বিরত রাখা সম্ভব হয়।
(ঙ) ইনটিগ্রিটি কনস্ট্রেইন্ট স্পেসিফিকেশন (Integrity constraint specification) : ডাটাবেস এ স্টোরেড ডাটা ভ্যালু (stored data value)-কে অবশ্যই কিছু কিছু ধরনের কনসিস্টেন্সি কনস্ট্রেইন্ট (consistency constraint)-কে স্যাটিসফাই (satisfy) করতে হবে। যেমন কোন শ্রমিক প্রতিদিন 4 ঘণ্টার উপরে এবং প্রতি মাসে 90 ঘণ্টার উপরে ওভারটাইম (Overtime) করতে পারবে না। এ ধরনের বাধ্যতা (constraint) অবশ্যই ডাটাবেস administrator-কে বিশেষ করে উল্লেখ (specify) করে দিতে হবে এবং যদি তিনি স্পেসিফাই (specify) করে দেন, তবে ডাটাবেস ব্যবস্থাপক (database manager) পরবর্তীতে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ডাটাবেস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর একটি বিশেষ সিস্টেম গঠন (special system structure) এর মধ্যে ইনটিগ্রিটি কনস্ট্রেইন্ট (Integrity constraint)-কে রেখে দেন। ফলে যখন সিস্টেম এ কোন আপডেট (update) ঘটে, তখন ডাটাবেস ম্যানেজার (database manager) উক্ত গঠন (structure) অনুযায়ী কাজ সম্পাদন করে।
আরও দেখুনঃ