ট্রান্সফরমারের শর্ট সার্কিট টেস্ট | এসি মেশিনস – ১

ট্রান্সফরমারের শর্ট সার্কিট টেস্ট ক্লাসটি “এসি মেশিনস – ১ [ AC Machines – 1 ]” কোর্সের “অধ্যায় ০৫/Chapter 05” এ পড়ানো হয় | এই ক্লাসটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড [Bangladesh Technical Education Board] এর পলিটেকনিক [Polytechnic] ডিসিপ্লিন এর ডিপ্লোমা ইন ইলেক্ট্রিক্যাল [Diploma in Electrical] এ পড়ানো হয়।

 

ট্রান্সফরমারের শর্ট সার্কিট টেস্ট

 

ট্রান্সফরমারের শর্ট সার্কিট টেস্ট কি

ট্রান্সফরমারের লো-টেনশন সাইড শর্ট সার্কিট রেখে হাই টেনশন সাইডে বিভিন্ন টেস্টিং ইনমেন্ট সংযুক্ত করে যে টেস্ট বা পরীক্ষা করা হয় তাই ক্লোজ সার্কিট টেস্ট বা শর্ট সার্কিট টেস্ট হিসেবে পরিচিত।

 

ট্রান্সফরমারের শর্ট সার্কিট টেস্ট

 

শর্ট সার্কিট টেস্ট কেন করা হয়

ট্রান্সফরমারের প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি রেজিস্ট্যান্স ও রিয়্যাকট্যান্স এবং কপার লস নির্ণয়ের জন্য শর্ট সার্কিট টেস্ট করা হয়।

 

শর্ট সার্কিট টেস্ট করার পদ্ধতি

শর্ট সার্কিট টেস্ট করার জন্য ট্রান্সফরমারের সাথে পরিমাপ করার যন্ত্রপাতি গুলো হাই -টেনশন সাইডে সংযুক্ত করা হয়। এক্ষেত্রে ট্রান্সফরমারকে নিচের চিত্রের মতো করে প্রস্তুত করা হয়।

১. ট্রান্সফরমারের হাই টেনশন সাইড শর্ট সার্কিট অবস্থায় রাখা হয়

২. পাওয়ার পরিমাপের জন্য নো টেনশন কয়েলে একটি ওয়াটমিটার সংযুক্ত করা হয়।

৩. সিরিজে একটি অ্যাম্পিয়ার মিটার এবং

৪. ভোল্টেজ পরিমাপের জন্য একটি ভোল্টমিটার সংযোগ হয়

৫. এরপর পরীক্ষনীয় ইনপুটে অটো ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে ভোল্টেজ ধীরে ধীরে বাড়িয়ে এমনভাবে প্রয়োগ করা হয় যাতে সার্কিটে রেটেড কারেন্ট প্রবাহিত হয়।

 

ধরি ট্রান্সফরমারের শর্ট সার্কিট টেস্ট হতে নিচের পাঠগুলো পাওয়া যায়,

শর্ট সার্কিট ভোল্টেজ = Vsc

শর্ট সার্কিট কারেন্ট = Isc

শর্ট সার্কিট পাওয়ার লস = Wsc

প্রাইমারি ইনপুট ভোল্টেজ = V1

প্রাইমারিতে প্রবাহিত কারেন্ট = 11

প্রাইমারিতে সমতুল্য রেজিস্ট্যান্স = Roy

প্রাইমারিতে সমতুল্য রিয়্যাকট্যান্স = X01

প্রাইমারিতে সমতুল্য ইম্পিড্যান্স = Zon

ট্রান্সফরমারের শর্ট সার্কিট টেস্ট করার সময় যে কারেন্ট প্রবাহিত হয় তা ফুল লোডে প্রবাহিত কারেন্টের সমান হয়ে থাকে। ফলে এই কারেন্ট যে কপার লস ঘটাবে তা ফুল লোড কপার লসের সমান হবে। কারন কপার লস, We = 1s2Ro1 হবে। ক্লোজ সার্কিট অবস্থায় রেটেড কারেন্ট প্রবাহ করতে হলে প্রয়োগকৃত ভোল্টেজ রেটেড ভোল্টেজের চেয়ে অনেক কম হতে হবে। ফলে ভোল্টেজের ফাংশন হওয়ায় নো-লোড কারেন্টের মান খুবই কম হবে যা নগন্য ধরা যায়। ফলে ওয়াট মিটারে যে পাঠ পাওয়া যাবে তা ট্রান্সফরমারের কপার লস নির্দেশ করবে।

এখানে প্যারামিটার নির্ণয়ের জন্য বেশ কয়েকটি গানিতিক সমীকরণ দেখানো হয়েছে যা একসাথে এলোমেলো বা ঝামেলা মনে হতে পারে। তবে নিচের ট্রান্সফরমারের সমতুল্য সার্কিটের চিত্র হতে সমীকরণগুলো বুঝতে সহজ হবে।

২ এর পরিপূরক

 

ট্রান্সফরমারের শর্ট সার্কিট টেস্ট নিয়ে বিস্তারিত :

 

 

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment