ট্রান্সফরমেশন রেশিও সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান ক্লাসটি “এসি মেশিনস-১ [ AC Machines-1 ]” কোর্সের “অধ্যায় ২/Chapter 2” এ পড়ানো হয় | এই ক্লাসটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড [Bangladesh Technical Education Board] এর পলিটেকনিক [Polytechnic] ডিসিপ্লিন এর ৬ষ্ঠ সেমিস্টার, ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি [ 6th Semester, Electrical Technology ] এ পড়ানো হয়।
Table of Contents
ট্রান্সফরমেশন রেশিও সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান
ধরা যাক, কোন ট্রান্সফরমারের প্রাইমারি ওয়াইন্ডিং এর পাকসংখ্যা N1. আবিষ্ট তড়িচ্চালক বল E1 এবং সেকেন্ডারি ওয়াইন্ডিং এর পাকসংখ্যা N2 আবিষ্ট তড়িচ্চালক বল E2
ভোল্টেজ ট্রান্সফরমেশন রেশিওঃ
ট্রান্সফরমারের সেকেন্ডারি ওয়াইন্ডিং এবং প্রাইমারি ওয়াইন্ডিং এর পাক সংখ্যার অনুপাতকেই ভোল্টেজ ট্রান্সফরমেশন -রেশিও বলে। ভোল্টেজ ট্রান্সফরমেশন- রেশিও কে K দ্বারা প্রকাশ করা যায়।
তাহলে ভোল্টেজ ট্রান্সফরমেশন রেশিও,
K = N2 / N1
আমরা জানি ট্রান্সফরমারের ওয়াইন্ডিং এর তড়িচ্চালক বল ওয়াইন্ডিং এর পাক সংখ্যার সমানুপাতিক।
E a N
সুতরাং ভোল্টেজ ট্রান্সফরমেশন -রেশিও কে লেখা যায়ঃ
টার্ন রেশিওঃ
ট্রান্সফরমারের প্রাইমারি ওয়াইন্ডিং এবং সেকেন্ডারি ওয়াইন্ডিং এর পাক সংখ্যার অনুপাতকেই টার্ন রেশিও বলে। টার্ন রেশিও কে n দ্বারা প্রকাশ করা যায়।
তাহলে টার্ন রেশিও,
1 = N1 / N2 = E1 / E2
অর্থাৎ টার্ন রেশিও, ট্রান্সফরমেশন -রেশিওর বিপরীত রাশি।
ভোল্টেজ ট্রান্সফরমেশন রেশিও এবং টার্ন রেশিওর সিগনিফিক্যান্সঃ
ভোল্টেজ ট্রান্সফরমেশন রেশিও এবং টার্ন রেশিও দ্বারা ট্রান্সফরমারের প্রকৃতি জানা যায়। অর্থাৎ ট্রান্সফরমার স্টেপ আপ নাকি স্টেপ ডাউন সেটা নির্ণয় করা যায়ঃ
যদি K>1 হয় অথবা n-1 হয় তাহলে ওই ট্রান্সফরমারকে স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার বলে।
যদি K<1 হয় অথবা n>1 হয় তাহলে ওই ট্রান্সফরমারকে স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার বলে।
কারেন্ট রেশিওঃ
ট্রান্সফরমারের সেকেন্ডারি ওয়াইন্ডিং এবং প্রাইমারি ওয়াইন্ডিং কারেন্টের অনুপাতকেই কারেন্ট রেশিও বলে। আমরা জানি ট্রান্সফরমারের কোন ওয়াইন্ডিং এর কারেন্ট ওই ওয়াইন্ডিং এর ভোল্টেজের ব্যস্তানুপাতিক। তাহলে কারেন্ট রেশিও কে নিম্নলিখিত ভাবে প্রকাশ করা যায়ঃ
Is / p = E1 / E2
যেখানে
Ip = প্রাইমারি ওয়াইন্ডিং এর তড়িৎ প্রবাহ
Is = সেকেন্ডারি ওয়াইন্ডিং এর তড়িৎ প্রবাহ
ট্রান্সফরমেশন রেশিও সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান নিয়ে বিস্তারিত :
আরও দেখুনঃ