আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় – ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সংজ্ঞা যা অধ্যায়-১ এর ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এ অন্তর্ভুক্ত। এটি চার বছর মেয়াদি কোর্সের আলোকে লেখা হয়েছে। ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বিভিন্ন ইংরেজি বই অনুসরণ করেই রচনা করা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের যে-কোন বই সম্পূর্ণরূপে বাংলা ভাষায় রচনা করা সম্ভব নয়। এজন্যে কিছু কিছু ইংরেজি শব্দকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়নি। ফলে ছাত্রছাত্রীদের হয়ত কিছুটা অসুবিধা হতে পারে।
ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সংজ্ঞা
ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সংজ্ঞা
ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর সংজ্ঞায় যাওয়ার আগে এর সাথে সম্পর্কিত কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন, যেমন-
১। ডাটা,
২। ডাটার প্রকারভেদ,
৩। অ্যাট্রিবিউট,
৪। ইনফরমেশন,
৫। ডাটাবেস।
কাঙ্ক্ষিত ফলাফল লাভের জন্য প্রসেসিং কাজে ব্যবহৃত কাঁচামালকে ডাটা বলে। অর্থাৎ প্রসেসিং কাজে ইনফরমেশনের যে ক্ষুদ্রাংশ ব্যবহৃত হয়, তাই ডাটা, যেমন- সময়, অবস্থা, চিত্র, সংখ্যা, অবজেক্ট ইত্যাদি।
ডাটাকে বিভিন্নভাবে ভাগ করা যায়। তবে কম্পিউটারে ডাটা ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে ডাটাকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। ভাগগুলো-
১। নিউমেরিক ডাটা
(ক) ইন্টিজার ডাটা
(খ) ফ্লোটিং পয়েন্ট ডাটা
২. নন-নিউমেরিক ডাটা
(ক) ক্যারেক্টার ডাটা
(খ) স্ট্রিং ডাটা
(গ) অবজেক্ট ডাটা।
কোন বস্তু, ধারণা, ব্যক্তি ইত্যাদি সম্পর্কিত একক গুণাগুণকে অ্যাট্রিবিউট বলে; যেমন- কাস্টমার হল ব্যক্তি। Customer_id ব্যক্তি সম্পর্কিত একক গুণ। সুতরাং Customer_id হল একটি অ্যাট্রিবিউট।
ডাটাকে প্রক্রিয়াজাত করার পরে যে অর্থবহ ফলাফল পাওয়া যায়, তাই ইনফরমেশন। অর্থাৎ সাজানো, প্রক্রিয়াজাত ডাটা, যা সহজবোধ্য, অর্থবহ, কার্যকর ও ব্যবহারযোগ্য, তাই ইনফরমেশন। যেমন, Customer টেবিল থেকে কোন এক কাস্টমারের তথ্য জানতে চাইলে যে ফলাফল পাওয়া যাবে, তাই ইনফরমেশন।
পরস্পর সম্পর্কযুক্ত অনেকগুলো ফাইল, টেবিল ইত্যাদি নিয়ে ডাটার যে ঘাঁটি সৃষ্টি হয়, যা থেকে নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয় ডাটাকে দ্রুত, সহজ ও কার্যকরীভাবে শনাক্ত করা যায়, ডাটার সে ঘাঁটিকে ডাটাবেস বলে। যেমন- কোন কাস্টমারের পার্সোনাল ফাইল, তাদের লোন-ফাইল, ডিপোজিটর ফাইল ইত্যাদি নিয়ে ডাটাবেস গঠিত হয়।
সুতরাং ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হল এমন একটি সফটওয়্যার সিস্টেম, যার সাহায্যে ডাটাবেসকে ম্যানিপুলেট (Manipulate) করা যায়। কোন কম্পিউটার সিস্টেমে ডাটা জমা (Store), ডাটা প্রবেশ (data access), ডাটা আপডেটিং (Data updating), ডাটা মডিফিকেশন (Data modification) ইত্যাদি কাজ অতি সহজেই ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সাহায্যে সম্পাদন করা যায়। একে সংক্ষেপে DBMS বলা হয়। নিম্নে এর সংজ্ঞা দেয়া হল-
সংজ্ঞা: ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (DBMS) হল পরস্পর সম্পর্কযুক্ত কতকগুলো ডাটা এবং ঐ সমস্ত ডাটাতে প্রবেশ (Access) করে সুবিধাজনকভাবে ও দক্ষতার সাথে তাদেরকে ম্যানিপুলেট করার জন্যে ব্যবহৃত একসেট প্রোগ্রামের (A set of program) সমষ্টি।
ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বিভিন্ন অংশ রয়েছে, যেমন-
DBMS-এর কাজ হল ডাটাবেস তৈরির পর একে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করার সুবিধা প্রদান করা। DBMS ব্যবহার করার প্রক্রিয়া নিচে দেখানো হলঃ
প্রবেশাধিকারের রেস্ট্রিকশন বা শর্তানুযায়ী একজন User তার প্রয়োজনীয় DBMS-কে Information-এর জন্য রিকুয়েস্ট বা অনুরোধ করে। DBMS সে রিকুয়েস্ট বিবেচনা করে ডাটাবেস থেকে User-এর কাঙ্ক্ষিত ফলাফলকে User-এর কাছে প্রদান বা উপস্থাপন করে। কিন্তু যদি User-এর রিকুয়েস্ট Invalid হয়ে থাকে, তাহলে DBMS ইউজারকে কোন Information প্রদান করে না।
নিচে একজন User-এর সাথে ডাটাবেসের মধ্যে সংযোগ স্থাপন প্রক্রিয়া দেখানো হলঃ
আরও দেখুনঃ