আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-কন্ট্রোল এবং রিলে প্যানেল বর্ণনা।যা “রিলে” অধ্যায় এর অন্তর্ভুক্ত।
কন্ট্রোল এবং রিলে প্যানেল বর্ণনা
জেনারেটিং স্টেশন, রিসিভিং স্টেশন এবং সাবস্টেশনে কন্ট্রোল এবং রিলে ইকুইপমেন্ট বিন্যাস খুব সতর্কতার সাথে করতে হয়, যাতে সর্বোচ্চ কার্যকরী সুবিধা পাওয়া যায়। নিচে বড় ধরনের ও মিডিয়াম সাইজের কন্ট্রোল ও রিলে প্যানেলের ইনস্টলেশনের বর্ণনা দেওয়া হলোঃ
বৃহৎ ইনস্টলেশন (Large Installations) : সাধারণত জেনারেটিং স্টেশনে প্রচুর সার্কিটের কন্ট্রোল করতে হয়। এক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা বা বিন্যাস এমনভাবে হবে, যাতে কেন্দ্র স্থান থেকে ইন্ডিকেটিং যন্ত্রপাতি সহজে দৃষ্টিগোচর হয়। এ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ইকুইপমেন্ট দৃঢ় সংক্ষিপ্ত হতে হবে এবং টার্মিনালগুলোর আগমন ও নির্গমন গ্রহণযোগ্যতা হতে হবে।
এক্ষেত্রে প্যানেল বোর্ডে (রেলে এবং কন্ট্রোলের ক্ষেত্রে) যা থাকে, তা হলো :
(ক) কন্ট্রোল এবং ইন্ডিকেশন ইকুইপমেন্ট।
(খ) রিলে এবং ইন্ডিকেশন কুইপমেন্ট, ভোল্টেজ রেগুলেটর সিটি, পিটি ইত্যাদি
প্যানেল বোর্ডের সম্মুখস্থান থেকেই প্রধান প্রধান কানেকশন দেওয়া হয়। প্যানেল বোর্ডে ডায়াগ্রামও থাকে, যা থেকে সার্কিট ব্রেকার ও আইসোলেটরের পজিশন বুঝা যায়। কন্ট্রোল অপারেটর নিজ অভিজ্ঞতা থেকে কোনো সার্কিট ব্রেকার অফ বা অন করতে হবে, তা নির্ধারণ করেন।
জেনারেটর এবং প্রধান ট্রান্সফরমার পরিচালনার জন্য আলাদা *ন্ট্রোল ডেস্ক থাকে। এটি প্রধান কন্ট্রোল বোর্ডের সামনেই থাকে। কোনো ত্রুটিতে সার্কিট ব্রেকার অফ হয়ে গেলে র সাথে সংযুক্ত রিলের দিকে লক্ষ করতে হয়। এতে কোনো ত্রুটিতে রিলে অপারেট করেছে, তা বুঝা যায়।
প্যানেলের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্চে সুইচ ইয়ার্ডে না গিয়ে কোনো সার্কিটকে সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনে লাইফ মিমিক প্যানেল বোর্ড আছে। সেখানে অপারেটররা, কোথায়, কত পাওয়ার সরবরাহ হচ্ছে এবং কোথায় কী কারণে ত্রুটি হচ্ছে (সার্কিট ব্রেকার, রিলে, জেনারেটর ইত্যাদি) সব কিছু জানতে পারেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেন। এ ব্যবস্থায় যে সমস্ত রিলে ব্যবহৃত হয়, তা সাধারণত ওভারকারেন্ট, রিভার্স পাওয়ার, আর্থ ফন্ট ইত্যাদি টাইপের রিলে।
প্যানেল বোর্ড অ্যারেঞ্জমেন্ট দুই ধরনের হয়। যথা—
(১) সিনক্রোনাইজিং অ্যারেঞ্জমেন্ট, (২) কিউবিকল অ্যারেঞ্জমেন্ট।
আরও দেখুনঃ