আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় আরএলসি সিরিজ সার্কিটের পাওয়ার ফ্যাক্টর নির্ণয় এবং ভেক্টর ডায়াগ্রাম অঙ্কন
Table of Contents
আরএলসি সিরিজ সার্কিটের পাওয়ার ফ্যাক্টর নির্ণয় এবং ভেক্টর ডায়াগ্রাম অঙ্কন
ভূমিকা :
সার্কিটের লোডের বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে ভোল্টেজের সাথে কারেন্টের অবস্থান নির্ভর করে। এ অবস্থান লীডিং, ইন-ফেজ, ল্যাগিং, যে কোনটিই হতে পারে। সিরিজ সার্কিটের মোট পাওয়ার ফ্যাক্টর কী হবে, তা নির্ভর করে ইন্ডাকটিভ রিয়্যাকট্যান্স X. ও ক্যাপাসিটিভ রিয়্যাকট্যান্স Xc এর মানের উপর। যখন Xi > Xe হয়, তখন ল্যাগিং-এর X < Xc হলে লীডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর বিশিষ্ট সার্কিট হবে।
উদ্দেশ্য :
১। একটি RLC সিরিজ সার্কিট তৈরি করতে জানা;
২। RLC সিরিজ সার্কিটের রেজিস্টিভ ভোল্টেজ ড্রপ VR, ইন্ডাকটিভ ভোল্টেজ ড্রপ Vi, ক্যাপাসিটিভ ভোল্টেজ ড্রপ Ve এর সাহায্যে ভেক্টর ডায়াগ্রাম আঁকার পদ্ধতি জানা;
৩। সার্কিটে পাওয়ার ফ্যাক্টর, মিটার লাগানোর পদ্ধতি এবং পাওয়ার ফ্যাক্টরের মান নির্ণয়করণ;
৪ । ভেক্টর ডায়াগ্রাম এবং ডাটা শীট থেকে প্রাপ্ত পাওয়ার ফ্যাক্টরের মান ও ধরন (Leading or Lagging) জানা ।
তত্ত্ব :
কোন একটি সিস্টেমে (লোড, লাইন, উৎস) ভোল্টেজ এবং কারেন্ট একই ফেজে থাকতে পারে, আবার ফেজ ডিফারেন্স অবস্থায় থাকতে পারে। কারেন্ট এবং ভোল্টেজের মধ্যবর্তী এ কোণের কোসাইনের মানকে পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে।
পাওয়ার ফ্যাক্টরকে প্রকাশ করা হয় cose দ্বারা। এখানে 6 হলো ভোল্টেজ এবং কারেন্টের মধ্যবর্তী কোণ। এ কোণের মানের উপর ভিত্তি করে pf-এর মান 0 হতে আরম্ভ করে 1 পর্যন্ত যে কোন মান হওয়া সম্ভব। যেহেতু Power, P = Vicose অর্থাৎ ভোল্টেজ এবং কারেন্টের সাথে cose গুণ হওয়াতে এর উপর ভিত্তি করেই মোট Power, P নির্ধারিত হচ্ছে, তাই cose কে পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে।
ভোল্টেজ অপেক্ষা কারেন্ট Anti-clockwise হলে লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর, Clockwise হলে ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর এবং একই বরাবর হলে ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টর হবে।
সার্কিট ডায়াগ্রাম :
ভেক্টর ডায়াগ্রাম :
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল :
১। রেজিস্টর (230V, 100W incandescent lamp ) – ১ টি
২। ইন্ডাকটিভ কয়েল ( 230V, 40W, 50Hz choke coil or ballast) – ১ টি
৩। ক্যাপাসিটর (300V, AC, 2.5 F, 50Hz) – ১ টি
৪। অ্যামিটার (0-5amp, AC) – ১ টি
৫। ভোল্টমিটার (0-500V, AC) – ১ টি
৬। pf meter – ১ টি
৭। (উপরের ৪ এবং ৫ নং এর পরিবর্তে) Digital multimeter – ১ টি
৮। ড্রইং সামগ্রী – প্রয়োজন অনুযায়ী
কাজের ধাপ :
১।প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল সংগ্রহের পর সার্কিট ডায়াগ্রাম অনুযায়ী সংযোগ দিতে হবে।
২। সরবরাহ করার পূর্বে পুনরায় সার্কিটটি চেক করতে হবে।
৩। প্রতিটি পাঠ সাবধানে ডাটা নিয়ে শীটে বসাতে হবে।
৪। ডাটা শীটে বসানো মান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য বের করতে হবে।
৫। সুনির্দিষ্ট স্কেল অনুযায়ী ভেক্টর ডায়াগ্রাম আঁকতে হবে।
৬। হিসেবকৃত কোণের মান এবং অঙ্কনকৃত কোণের মান তুলনা করতে হবে।

সাবধানতা :
১। সরবরাহ করার আগে সার্কিটটি চেক করে নিতে হবে।
২। মিটারগুলো সংযোগ করার সময় সঠিক মানের মিটার এবং সঠিক স্কেল অনুযায়ী সংযোগ করতে হবে।
৩। ক্যাপাসিটরে সংযোগ দেয়ার সময় লুজ (Loose) সংযোগ থাকা চলবে না।
৪। ব্যবহারের অব্যাহতির পরেই ক্যাপাসিটরকে ডিসচার্জ করে রাখতে হবে।
৫। পাঠ নেয়ার সময় সঠিকভাবে পাঠ নিতে হবে।
৬। হিসেব করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
উপসংহার : নিজে করি
ওয়ার্ক শীট :
দু’টি করে এমন ক্ষেত্রের নাম উল্লেখ কর, যেখানে পাওয়ার ফ্যাক্টর Unity, Lagging, Leading হিসেবে পাওয়া সম্ভব।
ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টরের জন্য অল্টারনেটরের ভেক্টর ডায়াগ্রাম নিয়ে বিস্তারিত :
আরও দেখুন :