Site icon Electrical Gurukul [ ইলেকট্রিকাল গুরুকুল ] GOLN

তড়িৎ প্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া | Polytechnic Basic Electricity

তড়িৎ প্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া ক্লাসটি পলিটেকনিক বেসিক ইলেক্ট্রিসিটি ৬৬৭১১ [Polytechnic Basic Electricity, 66711] কোর্সের অংশ | এই ক্লাসটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড [Bangladesh Technical Education Board] এর পলিটেকনিক [Polytechnic] ডিসিপ্লিন এর ডিপ্লোমা ইন ইলেক্ট্রিক্যাল [Diploma in Electrical], ডিপ্লোমা ইন ইলেক্ট্রিসিটি [Diploma in Electronics] সহ বেশ কিছু টেকনোলোজির অংশ। কোন তারের মধ্যে তড়িৎ গেলে চৌম্বকত্ব তৈরী হয়৷ তড়িৎ এবং চৌম্বক শক্তির এই আচরণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এই ক্লাসে।

 

তড়িৎ প্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া

 

 

কম্পাসের চুম্বক শলাকাটি তার আগের উত্তর-দক্ষিণ অবস্থান থেকে ঘুরে গেল। আমরা জানি কোনো চুম্বক শলাকা তার সাম্যাবস্থান থেকে তখনই বিচ্যুত হয় যখন এটি একটি চৌম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে থাকে।

ওয়েরস্টেডের পরীক্ষা

কোনো পরিবাহীর ভেতর দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হলে এর চারপাশে চৌম্বকক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়। একে তড়িৎ প্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া বলে । প্রবাহের এই চৌম্বক ক্রিয়া ওয়েরস্টেড 1819 সালে নিম্নোক্ত পরীক্ষার সাহায্যে প্রমাণ করেন

 

চিত্র : ৪.১

  পরীক্ষা : মুক্তভাবে স্থাপিত একটি চুম্বক শলাকা NS-এর কিছু  ওপরে এর দৈর্ঘ্য বরাবর পরিবাহী তার AB স্থাপন করে তারের ভেতর দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ চালনা করা হলে চুম্বক শলাকাটি তার সাম্যাবস্থান থেকে বিচ্যুত হয় । চিত্র (৪.১)।

পরিবাহীতে তড়িৎপ্রবাহের পরিমাণ বাড়ালে চুম্বক শলাকার বিচ্যুতির পরিমাণও বেড়ে যায়। যদি পরিবাহীটিতে প্রবাহের অভিমুখ বিপরীত করে দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রেও চুম্বক শলাকার বিচ্যুতি ঘটে-

তবে এর ঘুরার দিক আগের ঘুরার দিকের বিপরীত হয়। আবার পরিবাহী তারটি চুম্বক শলাকার নিচে রেখে পরীক্ষাটি সম্পন্ন করাহলেও চুম্বক শলাকার বিচ্যুতি ঘটে। প্রবাহের দিক একই রেখে পরিবাহীটি শলাকার ওপরে | রাখলে শলাকাটি যে দিকে ঘুরে এক্ষেত্রে তার বিপরীত দিকে ঘুরে। পরিবাহীতে প্রবাহ চালনা বন্ধ করা হলে শলাকাটি তার পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসে।

ওয়েরস্টেডের পরীক্ষা থেকে চৌম্বক ক্ষেত্রের ধারণা পাওয়া যায়ঃ
 এই পরীক্ষা হতে ওয়েরস্টেড সিদ্ধান্তে আসেন যে, যেহেতু কেবলমাত্র কোনো চৌম্বকক্ষেত্রের প্রভাবেই চুম্বক শলাকাটির বিক্ষেপ সম্ভব, অতএব নিশ্চয়ই ঐ তড়িৎ প্রবাহের জন্য চৌম্বক ক্ষেত্রের উদ্ভব হয় এবং এর প্রাবল্য ও অভিমুখ ঐ তড়িৎ প্রবাহের মাত্রা ও অভিমুখের উপর নির্ভরশীল।

 

কোনো তড়িৎবাহী তারের চতুর্দিকে যে অঞ্চল জুড়ে একটি চৌম্বক শলাকা বিক্ষেপ দেখায় তাকে ঐ তড়িৎবাহী তারের চৌম্বক ক্ষেত্র বলে। 
ব্যাখ্যা: লম্বা সোজা পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত করা হলে এর চারদিকে যে চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়, তা চুম্বক শলাকার সাহায্যে চৌম্বক ক্ষেত্র রেখা (বা চৌম্বক আবেশ রেখা) অঙ্কিত করে দেখানো যায়। রেখাগুলিকে চৌম্বক বলরেখাও বলা হয়ে থাকে।
আনুভূমিকভাবে স্থাপিত একটি মসৃণ কার্ড বোর্ডের উপর একটি সাদা কাগজ বসানো হয় (চিত্র-৩.২ক) । বোর্ডের মাঝখানে ছিদ্রের মধ্য দিয়ে একটি তামার তার বোর্ডের সাথে লম্বভাবে স্থাপন করা হয়। এবার তারের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত করা হয় এবং চুম্বক শলাকার সাহায্যে চৌম্বক বলরেখা অঙ্কন করা হয়। চুম্বক শলাকার উত্তর মেরুর দিক অনুসরণ করে বলরেখা অঙ্কন করা হয়। তড়িৎ প্রবাহের অভিমুখ বিপরীত হলে চৌম্বক বলরেখার দিকও বিপরীত হবে (চিত্র ৩.২খ)।
লম্বা সোজা পরিবাহীর জন্য কোনো বিন্দুতে চৌম্বক ক্ষেত্রের মান (১) পরিবাহীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহের সমানুপাতিক এবং (২) বিন্দু থেকে পরিবাহীর দূরত্বের ব্যস্তানুপাতিক।
বিকল্প পদ্ধতি : আনুভূমিকভাবে স্থাপিত একটি মসৃণ কার্ডবোর্ডের উপর লৌহচূর্ণ সুষমভাবে ছড়ানো হয় (চিত্র ৩.২গ)। বোর্ডকে ভেদ করে এর সাথে অভিলম্বভাবে কোনো তড়িৎবাহী লম্বা সোজা পরিবাহী স্থাপন করে বোর্ডটিকে আঙ্গুল দিয়ে আস্তে আস্তে টোকা দিলে লোহার টুকরাগুলি বিশেষ সজ্জায় সজ্জিত হয়। লোহার গুঁড়ার এ সজ্জা চৌম্বকক্ষেত্রের বলরেখার চিত্র নির্দেশ করে (চিত্র ৩.২গ)।

 

 

ফ্লেমিং এর ডান হাত বা দক্ষিণ হস্ত নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত :

 

 

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version