Site icon Electrical Gurukul [ ইলেকট্রিকাল গুরুকুল ] GOLN

সার্ভার, প্যারালাল, ডিসট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেমের সংজ্ঞা | অধ্যায়-১০ | ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম

সার্ভার, প্যারালাল, ডিসট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেমের সংজ্ঞা

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় – সার্ভার, প্যারালাল, ডিসট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেমের সংজ্ঞা যা অধ্যায়-১০ এর ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এ অন্তর্ভুক্ত। এটি চার বছর মেয়াদি কোর্সের আলোকে লেখা হয়েছে। ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বিভিন্ন ইংরেজি বই অনুসরণ করেই রচনা করা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের যে-কোন বই সম্পূর্ণরূপে বাংলা ভাষায় রচনা করা সম্ভব নয়। এজন্যে কিছু কিছু ইংরেজি শব্দকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়নি। ফলে ছাত্রছাত্রীদের হয়ত কিছুটা অসুবিধা হতে পারে।

সার্ভার, প্যারালাল, ডিসট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেমের সংজ্ঞা

ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে অনেকগুলো সিস্টেম ব্যবহৃত হয়। তার মধ্যে সার্ভার (sever), প্যারালাল (Parallel), ডিসট্রিবিউটেড (Distributed) ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। নিচে এদের সংজ্ঞা দেয়া হলঃ

১। সার্ভার ডাটাবেস সিস্টেম (Server Database System/Centralized database system):

একটি কম্পিউটার, যেটি LAN, MAN কিংবা WAN এর সাথে সংযুক্ত থাকে এবং যার ফাইল বা রিসোর্স বিভিন্ন ক্লায়েন্ট শেয়ার করে, তাকে সার্ভার বলে। আর যে সব কম্পিউটার, সার্ভারে রক্ষিত ফাইল বা রিসোর্সকে ব্যবহার করে, সে সব কম্পিউটারকে ক্লায়েন্ট বলে। এ ক্লায়েন্ট/সার্ভার (client/ server) এনভায়রনমেন্টের মধ্যে ডাটাবেস সার্ভার হল একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান (a key component)।

যেটি ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে ডাটাবেসকে কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষণ করে থাকে। আর ক্লায়েন্ট কম্পিউটারগুলো থেকে আগত রিকুয়েস্ট বা অনুরোধ অনুযায়ী সার্ভার কম্পিউটার প্রয়োজনীয় সার্ভিস বা নির্দিষ্ট রেকর্ডকে তার কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষিত ডাটাবেস থেকে খুঁজে (search) বের করে Network এর মধ্য দিয়ে ঐ নির্দিষ্ট client কম্পিউটারে pass করে থাকে। সার্ভার কম্পিউটারে রক্ষিত ডাটাবেস সার্ভার এবং ফাইল সার্ভার (database sever and file server) এক ও অভিন্ন। কেননা ফাইল সার্ভারই ডাটাবেসকে সার্ভিস প্রদান করে থাকে। এ ফাইল সার্ভারের কারণেই ক্লায়েন্ট কম্পিউটারগুলো তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সার্ভার কম্পিউটারে রক্ষিত ডাটাবেসকে শেয়ার করে ব্যবহার করতে পারে। এ জন্যে একে ক্লায়েন্ট সার্ভার (client server) ডাটাবেস সিস্টেমও বলা হয়।

সুতরাং, রিলেশনাল ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (RDBMS) যে ডাটাবেস সিস্টেমে ডাটাবেসকে সার্ভার কম্পিউটারে সংরক্ষিত রেখে LAN, MAN কিংবা WAN এর সহায়তায় একাধিক ক্লায়েন্টকে নিয়ে কুয়েরি প্রসেসিং ও পরিচালনা (Query Processing and Optimization), ট্র্যানজ্যাকশন ম্যানেজমেন্ট (Transaction management), নিরাপত্তা ও শুদ্ধতা (Security and integrity), বাফার ম্যানেজমেন্ট (buffer management) করে থাকে, সে ডাটাবেস সিস্টেমকে সার্ভার ডাটাবেস সিস্টেম (Server database system) বলে।

 

 

২। প্যারালাল ডাটাবেস সিস্টেম (parallel database system):

হার্ডওয়্যার আর্কিটেকচারের ভিন্নতার কারণে একটি শক্তিশালী ও দ্রুতগতিসম্পন্ন ইন্টারকানেকশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দুই বা ততোধিক কম্পিউটার ডাটার অ্যাক্সেস (access to data), সফটওয়্যার (software) এবং পেরিফেরাল ডিভাইস (Peripheral devices) ইত্যাদি শেয়ার করে কিন্তু কেউ কারোর উপর নিয়ন্ত্রণ করে না। এ ধরনের নেটওয়ার্কভূক্ত কোন একটি কম্পিউটারে একটি সিঙ্গেল ডাটাবেস (a single physical database) এর অবস্থান থাকলে অন্যান্য কম্পিউটার অতি সহজেই তা শেয়ার করে access করতে পারে। আর এতে কাজের বা অপারেশনের গতি, বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। এ সিস্টেমকে প্যারালাল কম্পিউটার সিস্টেম বলে।

রিলেশনাল ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে প্যারালাল ডাটাবেস সিস্টেম অত্যন্ত দ্রুতগতিসম্পন্ন ও জনপ্রিয় একটি ডাটাবেস সিস্টেম। এ প্রক্রিয়ায় ডাটাবেস সিস্টেম একই সাথে বহুসংখ্যক CPU এবং disk অর্থাৎ কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়, ফলে এর throughput (গ্রোপুট) সুবিধা সর্বাধিক এবং ট্র্যানজ্যাকশন রেসপন্স অপেক্ষাকৃত দ্রুত (faster response to transaction)। মূলতঃ প্যারালাল কম্পিউটার সিস্টেমেই প্যারালাল ডাটাবেস সিস্টেম ব্যবহৃত হয়। প্যারালেলিজম বৃদ্ধির মাধ্যমে প্যারালাল ডাটাবেস সিস্টেমের স্পীডআপ (speed up) এবং স্কেলআপ (scale up) বৃদ্ধি করা সম্ভব।

সুতরাং, রিলেশনাল ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের যে ডাটাবেস সিস্টেমে বহুসংখ্যক (Multiple) CPU এবং disk অর্থাৎ মাল্টিপল কম্পিউটার একটি শক্তিশালী ও দ্রুতগতিসম্পন্ন ইন্টারকানেকশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরস্পর প্যারালালি সংযুক্ত হয়ে দ্রুতগতিতে প্রসেসিং, ইনপুট/আউটপুট অপারেশন সম্পন্ন করা যায় এবং একে অপরের ফাইল শেয়ার বা রিসোর্স শেয়ার করা যায়, সে ডাটাবেস সিস্টেমকে প্যারালাল ডাটাবেস সিস্টেম (parallel database system) বলে।

 

 

৩। ডিসট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেম (Distributed database system):

ডিসট্রিবিউটেড ডাটাবেস হল এমন একটি ডাটাবেস, যাকে সেন্ট্রাল (central) ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (DBMS) নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ডিসট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেম হল অনেকগুলো Node এর সমন্বয়ে তৈরি এক ধরনের ডাটাবেস সিস্টেম, যাতে Node-গুলো কখনও main মেমোরি বা main storage deyice কে শেয়ার করে না কিন্তু ডাটাবেসকে বিভিন্ন কম্পিউটারে সংরক্ষণ করে। অর্থাৎ এ ধরনের সিস্টেম লোকাল ডাটাবেস সিস্টেম মেইনটেইন করে।

এ সিস্টেমে ব্যবহৃত কম্পিউটারগুলো বিভিন্ন কমিউনিকেশন মিডিয়া যেমন-ইন্টারনেট, কর্পোরেট ইন্ট্রানেট বা এক্সট্রানেট, কোম্পানীর প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা টেলিফোন লাইন এর সাহায্যে একটির সাথে অপরটি সংযুক্ত থাকে। সুতরাং, যে ডাটাবেস সিস্টেম অনেকগুলো নোডের সমন্বয়ে তৈরি এবং প্রত্যেকটি নোড আলাদা আলাদা লোকাল ডাটাবেস সিস্টেমকে মেইনটেইন করে, সে ডাটাবেস সিস্টেমকে ডিস্ট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেম বলে।

 

 

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version