আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-ট্রাফিক লাইট কন্ট্রোলার।
ট্রাফিক লাইট কন্ট্রোলার
ভূমিকা (Introduction) :
এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট। শহরের রাস্তাঘাট, হাইওয়ে রাস্তায় এ ধরনের সার্কিট ব্যবহৃত হয়। এ সার্কিটের সাহায্যে লাল, হলুদ ও সবুজ তিনটি রং এর লাইটকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এ লাইটগুলো একটির পর একটি ON/OFF হয়। আর এ লাইটগুলোর ON/OFF সিগন্যাল অনুকরণ করে পথচারীরা রাস্তা পারাপার হয় বা ক্রস রোডে এক রোডের গাড়ি বন্ধ থাকে, আবার আরেক রোডের গাড়ি চালু থাকে।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ (Essential parts ) :
১। টাইমার আইসি (IC-555)- ১টি
২। কাউন্টার আইসি (IC-4017)- ১টি
৩। ট্রানজিস্টর (TR-BC 148 )- ১টি
৪। ডায়োড (Diode IN 4007)- ৯টি
৫। ক্যাপাসিটর (Capacitor – 100 F 16V)- ১টি
৬।cafera (Resistor-10K-Brown-Black-Orange-Golden)- ১টি
৭। ভেরিয়্যাবল রেজিস্টর (Preset-100k)- ১টি
৮। রিলে (Relay- 9V)- ৩ টি
৯। আইসি বেজ (IC-Base-8 pin)- ১টি
১০। আইসি বেজ (IC-Base-16 Pin)- ১টি
১১। কভার বক্স (Cover box )-২টি
১২। পিসিবি (PCB)- ১টি
১৩। ট্রেইনার বোর্ড (Trainer board)- ১টি
১৪। মাল্টিমিটার (Multimeter)– ১টি
১৫। ব্যাটারি (Battery-9V) ১৬। সোল্ডারিং আয়রন ( Soldering iron )– ১টি
১৭ সোল্ডারিং লেড (Soldering lead)-প্রয়োজনমতো
১8। কানেকটিং ওয়্যার (Connecting wire)-প্রয়োজনমতো
সার্কিট বর্ণনা (Circuit description):
এ সার্কিটে দু’টি আইসি ব্যবহার করা হয়েছে। IC 355 একটি টাইমার আইসি, যা মনোস্ট্যাবল মাল্টিভাইব্রেটরের কাজ করে ফলে স্কয়ার ওয়েত পালস উৎপন্ন করে। এ স্কয়ার ওয়েত IC 555 এবং পিনের মাধ্যমে IC 4017 এর 14 নং ি যায়। IC CD 4017 একটি কাউন্টার আইসি, এ আইলির প্রথম চারটি আউটপুট পালস সিরিয়ালে Q. O. On O ‘হাই’ হয় উক্ত পালসগুলো ট্রানজিস্টর TR-1 এর বেসে যায়।
ফলে TR-1 এর মাধ্যমে পাল বাতির সাথে সংযুক্ত রিলেটিকে ON করে তার লাল বাতিটি জ্বলে উঠে। পরবর্তীতে যখন আইসির Q3 আউটপুট পিন ‘হাই’ হয় তখন ট্রানজিস্টর TR-2 এর মাধ্যমে হলুদ বাতির সাথে সংযুক্ত বিলেটি ON হয়, ফলে হলুদ বাতিটি জ্বলে উঠে। আবার যখন আইসির Q5 06 07 এবং ৪ নং আউটপুট পিন “হাই” হয়, তখন ট্রানজিস্টর TR-3 এর মাধ্যমে সবুজ বাতির সাথে সংযুক্ত রিলেটি ON হয়।
এতে তখন সবুজ বাতিটি জ্বলে উঠ আইসিটির দশমতম ক্লক পালসে Q, এর আউটপুট পিন হাই হয়, যার কারণে 15 নং পিন (R) এর মাধ্যমে রিসেট হয় এবং উ লাইটিং প্রক্রিয়া পুনরায় আবার শুরু হয়। এভাবে একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর লাইট ON/OFF ক্রিয়ার মাধ্যমে অনবর ট্রাফিক পদ্ধতি চলতে থাকে।
সার্কিট ডায়াগ্রাম (Circuit diagram) :
কার্যপ্রণালি (Working procedure):
১। একটি ট্রাফিক লাইট কন্ট্রোলার সার্কিটের প্রয়োজনীয় সার্কিট ডায়াগ্রাম সংগ্রহ করি।
২। সার্কিট ডায়াগ্রাম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় মালামাল সংগ্রহ করি।
৩। সার্কিট ডায়াগ্রাম অনুযায়ী যন্ত্রাংশগুলো ট্রেইনার বোর্ড সাজাই।
৪। সার্কিটের সাথে রিলে এবং লাইটগুলো সংযোগ প্রদান করি।
৫। সার্কিটে AC 220V সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
৬। সার্কিট চালু করার ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
৭। সার্কিটের প্রিসেট একটি নির্দিষ্ট টাইম অনুযায়ী সেট করি।
৮। সার্কিট চালু হওয়ার পর পাইটিং ক্রিয়াগুলো পর্যবেক্ষণ করি।
৯। সার্কিটটি যদি সঠিকভাবে কাজ করে, তাহলে সার্কিট ডায়াগ্রাম অনুযায়ী সার্কিট লে-আউট তৈরি করি।
১০। সার্কিট লে-আউট অনুযায়ী PCB তৈরির প্রক্রিয়াতে PCB তৈরি করি।
১১। PCB ড্রিল করি এবং উক্ত PCB তে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ স্থাপন করি। যার ধরন নিচের চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হলো—
১২। PCB-এর সমস্ত যন্ত্রাংশ ভালোভাবে সোল্ডারিং করি।
১৩। সার্কিটের সাথে রিলে তিনটি ও লাইট তিনটি ভালোভাবে সংযুক্ত করি।
১৪। সার্কিটে DC 9V সরবরাহের ব্যবস্থা নেই।
১৫। সার্কিটে AC 220V সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
১৬। সার্কিট ON করার ব্যবস্থা নেই।
১৭। সার্কিটটি সঠিকভাবে কাজ করলে PCB অনুযায়ী একটি কড়ার বক্সে এবং লাইটগুলোকে সুন্দর করে ক্রমান্বয়ে সাজিয়ে আরেকটি কভার বক্সে বন্দি করি।
ডাটা অ্যান্ড রেজাল্ট (Data and results) :
যাচাই প্রণালি (Testing procedure):
১। DC9V এবং AC 220V এ কোনো সমস্যা আছে কি না লক্ষ করি।
২। মিটারের সাহায্যে ট্রানজিস্টরগুলোর ভালোমন্দ পরীক্ষা করি।
৩। মিটারের সাহায্যে রিলেগুলোর ভালোমন্দ পরীক্ষা করি।
৪। মিটারের সাহায্যে প্রিসেটটির ভালোমন্দ পরীক্ষা করি।
৫। লাইটগুলোর ভালোমন্দ যাচাই করি।
৬। PCB-এর সমস্ত যন্ত্রাংশ ভালোভাবে সোল্ডারিং করা আছে কি না লক্ষ করি।
৭। PCB-এর কপার সংযোগ ঠিক আছে কি না তা যাচাই করি।
৮। কোনো সংযোগ শর্ট হয়ে আছে কি না তা মিটারের সাহায্যে যাচাই করি।

রিপোর্ট তৈরিকরণ (Prepare of report ) :
এ প্রজেক্টটি সম্পন্ন করার মাধ্যমে একটি ট্রাফিক লাইট কন্ট্রোল সার্কিট সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করা হয়েছে। এখানে একটি সার্কিট নির্বাচন করে প্রয়োজনীয় মালামাল সংগ্রহের মাধ্যমে একটি PCB তৈরি করা হয়েছে। এ ধরনের প্রজেক্ট বাজারজাতকরণ ও সার্ভিসিং-এর কাজে আসবে। এ প্রজেক্ট সম্পন্ন করার ফলে ছাত্রজীবন ও কর্মজীবনে অনেক উপকারে আসবে।
আরও দেখুনঃ