ট্রান্সফরমারের ভোল্টেজ রেগুলেশন নির্ণয় ক্লাসটি “এসি মেশিনস – ১ [ AC Machines – 1 ]” কোর্সের “অধ্যায় ০৫/Chapter 05” এ পড়ানো হয় | এই ক্লাসটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড [Bangladesh Technical Education Board] এর পলিটেকনিক [Polytechnic] ডিসিপ্লিন এর ডিপ্লোমা ইন ইলেক্ট্রিক্যাল [Diploma in Electrical] এ পড়ানো হয়।
Table of Contents
ট্রান্সফরমারের ভোল্টেজ রেগুলেশন নির্ণয়
বিভিন্ন সময় দেখা যায়, জেনারেটরের লোড হ্রাস-বৃদ্ধি পেলে এর টার্মিনাল ভোল্টেজ পরিবর্তন হয়ে যায়। তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে কেন এই পরিবর্তন? আর পরিবর্তনের পরিমাণই বা কতটুকু? অর্থাৎ অল্টারনেটর বা জেনারেটরের ভোল্টেজ রেগুলেশন কত? ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ বহুল আলোচিত এই বিষয়টি একটু বিশদভাবে উপস্থাপন করবো ভোল্টেজ ফ্যাক্টস্ এর আজকের পোস্টে।
আলোচনার সুবিধার্থে অল্টারনেটরের ভোল্টেজ রেগুলেশন সম্পর্কিত পোস্টি দুটি ভাগে ভাগ করেছি। যেকোনো একটি পোস্ট পড়লে তথ্য এলোমেলো মনে হতে পারে। তাই দুটি পোস্ট পড়ার পরামর্শ থাকবে ।
২য় পোস্টের লিংক: ভোল্টেজ রেগুলেশন (২য় পোস্ট-অল্টারনেটরে বিভিন্ন ভোল্টেজের সম্পর্ক)
অল্টারনেটরের ভোল্টেজ রেগুলেশন কী
কোন অল্টারনেটরের ভোল্টেজ রেগুলেশনকে নো লোড ভোল্টেজ এবং ফুল লোড ভোল্টেজের পার্থক্যকে ফুল লোড ভোল্টেজের শতকরায় প্রকাশ করা হয় যখন ফিল্ড কারেন্ট এবং অল্টারনেটরের ঘূর্ণন গতি ধ্রুবক থাকে। অর্থাৎ
ভোল্টেজ রেগুলেশন, 96VR = ENLEF1x১০০%/EFL3
কোন অল্টারনেটরে নো-লোড ভোল্টেজ ২৫০ ভোল্ট এবং পূর্ণ-লোড ভোল্টেজ ২২০ ভোল্ট। তাহলে উপরের তত্ত্ব অনুযায়ী
ভোল্টেজ রেগুলেশন, 9%VR = -x ১০০% = ১৩%
উল্লেখ্য ভোল্টেজ রেগুলেশন যত কম হবে নো লোড ও ফুললোড ভোল্টেজে পার্থক্য তত কম হবে। তাই ভোল্টেজ রেগুলেশন কম হওয়াই ভালো। তবে ভোল্টেজ রেগুলেশন ঋণাত্মক হওয়া কাম্য নয়।
অল্টারনেটরে ভোল্টেজ রেগুলেশন সৃষ্টির কারণ
এতক্ষন শুধু ভোল্টেজ রেগুলেশন হিসেব করা হয় কিভাবে তা দেখানো হয়েছে। এখন লোডের সাথে ভোল্টেজের হ্রাস- বৃদ্ধির কারণ বিশ্লেষণ করা যাক। শুরুতেই একটু মনে করিয়ে দেই কোন অল্টারনেটরে দুই ধরনের লস ( কোর লস এবং কপার লস ) সংঘটিত হয়। এর মধ্যে কোর লস সবসময় ধ্রুব থাকে। অল্টারনেটর যখন নো লোড অবস্থায় থাকে তখন এতে কোন কারেন্ট প্রবাহিত হয় না। ফলে অন্য কোন লস না থাকায় আর্মেচারে যে ভোল্টেজ উৎপন্ন হয় তাই টারমিনালে পাওয়া যায়।
অপরদিকে লোড দেয়া হলে তা অল্টারনেটরের অভ্যন্তরীণ আর্মেচার রেজিস্ট্যান্স, আর্মেচার রিয়্যাকট্যান্স এবং লিকেজ রিয়্যাকট্যান্স এর সাথে সিরিজে সংযুক্ত হয়। উল্লেখ্য আর্মেচার রেজিস্ট্যান্স কপার লসের জন্য দায়ী। ফলে এসকল উপাদানের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহের দরুন যে ভোল্টেজ ড্রপ ঘটে তা বাদে (ভেক্টর বিয়োগ) অবশিষ্ট ভোল্টেজ পাওয়া যায় লোডের আড়াআড়িতে। লোড হ্রাস-বৃদ্ধি করা হলে এই ড্রপও প্রবাহিত কারেন্টের কারনে হ্রাস-বৃদ্ধি পায়। শুধু প্রবাহিত কারেন্টই এ ভোল্টেজ ড্রপের জন্য দায়ী নয়। অল্টারনেটরের সমতুল্য সার্কিট দেখলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
সমতুল্য সার্কিটে রিয়্যাকট্যান্স এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। আবার লোড কারেন্টও পাওয়ার ফ্যাক্টর এর উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ লোডের পাওয়ার ফ্যাক্টর এর উপর নির্ভর করে টার্মিনাল ভোল্টেজ হ্রাস/বৃদ্ধি পায়। ভালোভাবে বোঝার জন্য নিচে অল্টারনেটরের সমতুল্য সার্কিট উপস্থাপন করা হলো।
ট্রান্সফরমারের ভোল্টেজ রেগুলেশন নির্ণয় নিয়ে বিস্তারিত :
আরও দেখুনঃ