Site icon Electrical Gurukul [ ইলেকট্রিকাল গুরুকুল ] GOLN

বিভিন্ন প্রকার ফিউজের শ্রেণিবিভাগ এবং এইচআরসি ফিউজের কারেন্ট ক্যাপাসিটি নির্ণয়

বিভিন্ন প্রকার ফিউজের শ্রেণিবিভাগ এবং এইচআরসি ফিউজের কারেন্ট ক্যাপাসিটি নির্ণয়

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় – বিভিন্ন প্রকার ফিউজের শ্রেণিবিভাগ এবং এইচআরসি ফিউজের কারেন্ট ক্যাপাসিটি নির্ণয়।যা “ব্যবহারিক” অধ্যায় এর অন্তর্ভুক্ত।

বিভিন্ন প্রকার ফিউজের শ্রেণিবিভাগ এবং এইচআরসি ফিউজের কারেন্ট ক্যাপাসিটি নির্ণয়

 

 

উদ্দেশ্যঃ

বিভিন্ন প্রকার ফিউজের শ্রেণিবিভাগ সম্পর্কে আত হওয়া এবং এইচআরসি ফিউলের কারেন্ট ক্যাপাসিটি নির্ণয়ে জ্ঞানার্জন করা।

তথ্য:

ফিউজের শ্রেণিবিভাগ :

এক্সপালশন ফিউয়, কাট্রিজ ফিউজ, লিকুইড ফিউজ, ওপেন ফিউজ এবং ইনগেপ ফিউজ ।

একটি ফিউজের কারেন্ট বহন ক্ষমতা নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর উপর নির্ভর করে :

(১) ফিউজে ব্যবহৃত ধাতব পদার্থের উপর, 

(২) ফিউজ তারের পাশ কাটের উপর, 

(৩) ফিউজ তারের আকারের উপর, 

(৪) ফিউজ তারের দৈর্ঘ্যের উপর, 

(৫) ফিউজের দুই প্রান্তের আকার ও ধাতুর উপর, 

(৬) ফিউজ তারের ধরনের উপর (খেইবিশিষ্ট না সলিড) ও 

(৭) পারিপার্শ্বিকতার উপর।

মনে করি, স্বাভাবিক অবস্থায় উৎপাদিত তাপ পরিবহন, পরিচলন ও বিকিরণের ফলে হারানো তাপঃ

I2R=4I2pL/d2;

R=pL/A;

A=^d24

d =ফিউজের তারের ব্যাস

আবার হারানো তাপ, ফলপ্রদ তলীয় ক্ষেত্রের সমানুপাতিক

4I2Ld2=dXL  ধ্রুব

;.I2=d3Xধ্রুব

I=K.D3/2(K একটি ধ্রুব সংখ্যা)

১নং সমীকরণটি ফিউজ সূত্র নামে পরিচিত। কারণ উক্ত সূত্র হতে ফিউজের কারেন্ট বহন ক্ষমতা নির্ণয় করা যায়। বিভিন্ন ধাতুর ধ্রুব সংখ্যা নিচের চার্টে দেওয়া হলো :

উপাদানের নাম ও ধ্রুবক (K) এর মান (যখন তারের ব্যাস সেমি ধরা হবে)

অ্যালুমিনিয়াম-1873

কপার-2530

লোহা-777

লেড-340.5

টিন-405.5

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামালঃ

১। এক্সপালশন ফিউজ-1টি

২।এইচ. আর. সি. ফিউজ- 1টি

৩।লিকুইড ফিউজ-1টি

৪।ওপেন ফিউজ-1টি.

৫। ইনগেপ ফিউজ-1টি

৬।স্ক্রু ড্রাইভার (১০ সে. মি.)-1টি

৭। ওয়্যার গেজ-1টি

৮।অ্যামিটার-1টি

৯। ভোল্টমিটার-1টি এবং

১০। উচ্চ কারেন্ট বহন ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক লোড- 1টি

 

 

কাজের ধারা :

(১) উল্লিখিত মালামালগুলো টুল রুম হতে নাও। 

(২) চিত্রানুযায়ী ফিউজগুলোর নাম জেনে পৃথক কর। 

(৩) এইচআরসি ফিউজটি নাও । 

(৪) উল্লিখিত ফিউজ তারের ব্যাস ওয়্যার গেজের সাহায্যে নির্ণয় কর। 

(৫) ফিউজ তারটি কোন ধাতুর তৈরি, তা জেনে নাও। 

(৬) উক্ত চার্ট হতে ধাতুর সংখ্যার মান জেনে নাও। 

(৭) ফিউজ সূত্র হতে উক্ত তারের কারেন্ট পরিবহন ক্ষমতা নির্ণয় কর। 

(৮) বর্তনী অনুযায়ী পরীক্ষণীয় ফিউজটি সংযোগ করে সেটির নিরাপদ কারেন্ট বহন ক্ষমতা নিরূপণ কর। 

(৯) সূত্র হতে প্রাপ্ত কারেন্টের সাথে সেটির তুলনা কর ।

সাবধানতা :

১। ফিউজগুলো চিহ্নিত করার সময় যেন ভুল না হয় ।

২। তারের ব্যাস সঠিকভাবে নির্ণয় করবে।

৩। পরীক্ষণীয় তারের কারেন্ট বহন ক্ষমতা নির্ণয় করার জন্য তারটি কোন উপাদানের তৈরি, তা সঠিকভাবে নির্ধারণ করবে। 

৪। পরীক্ষণীয় ফিউজের কোয়ার্টজ জাতীয় পাউড়ার ঠিক আছে কিনা দেখে নিতে হবে।

উপসংহার :

 

 

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version