Site icon Electrical Gurukul [ ইলেকট্রিকাল গুরুকুল ] GOLN

কন্ডাক্টরের তড়িৎ তত্ত্ব | Polytechnic Basic Electricity

কন্ডাক্টরের তড়িৎ তত্ত্ব ক্লাসটি পলিটেকনিক বেসিক ইলেক্ট্রিসিটি ৬৬৭১১ [Polytechnic Basic Electricity, 66711] কোর্সের অংশ | কন্ডাক্টরের তড়িৎ তত্ত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে এই ভিডিওটিতে। এই ক্লাসটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড [ Bangladesh Technical Educaiton Board, BTEB ] এর পলিটেকনিক [ Polytechnic ] ডিসিপ্লিন এর ডিপ্লোমা ইন ইলেক্ট্রিক্যাল [Diploma in Electrical ] , ডিপ্লোমা ইন ইলেক্ট্রিসিটি [ Diploma in Electronics ] সহ বেশ কিছু টেকনোলোজির অংশ।

 

কন্ডাক্টরের তড়িৎ তত্ত্ব

 

অপরিবাহী পদার্থের সংজ্ঞা:
যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ একেবারেই হতে পারে না, অর্থাৎ প্রবাহের সময় প্রচন্ড বাধার সম্মুখীন হয়, সেগুলোকে অপরিবাহী বা অন্তরক বলে। যেমন- রাবার, কাঁচ, এবোনাইট, কাগজ, চীনামাটি ইত্যাদি।

অপরিবাহী পদার্থের বৈশিষ্ট্য:
১। উচ্চ রেজিস্টিভিটি।
২। উচ্চ ডাই – ইলেকট্রিক স্ট্রেংথ।
৩। উন্নতমানের থার্মাল কন্ডাকটিভিটি।
৪। নিম্নমানের ডাই – ইলেকট্রিক হিস্টেরেসিস।
৫। থার্মাল স্ট্যাবিলিটি বেশি।
৬। কন্ডাকশন ব্যান্ড ও ভ্যালেন্স ব্যান্ডের মধ্যে দূরত্ব সবচেয়ে বেশি।
৭। মরিচা প্রতিরোধক ক্ষমতা, ইত্যাদি।

অপরিবাহী পদার্থের তালিকা:
১। ব্যাকেলাইট (Bakelite)
২। অ্যাম্বার (Amber).
৩। গন্ধক (Sulphar).
৪। এবোনাইট (Ebonite).
৫। শুস্ক কাঠ (Dry wood).
৬। প্লাস্টিক (Plastic).
৭। কাঁচ (Glass).
৮। অভ্র বা মাইকা (Mica).
৯। রাবার (Rubber).
১০। চীনামাটি (Porcelain).
১১। বাতাস (Air).
১২। অ্যাসবেস্টস (Asbests).

 

 

অপরিবাহী পদার্থের ব্যবহার:
বিভিন্ন ধরনের অপরিবাহী পদার্থ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। যেমন-
ব্যাকেলাইট সুইচ, সার্কিট ব্রেকার ইত্যাদির কভারে, এবোনাইট সুইচ বোর্ডে, চীনামাটি ফিউজ, কাট – আউট ইত্যাদিতে, মাইকা বৈদ্যুতিক ইস্ত্রিতে ইনসুলেশন হিসেবে, অ্যাসবেস্টস বৈদ্যুতিক চুল্লীতে ব্যবহার করা হয়।

সেমিকভাকটর (অর্ধপরিবাহী)

অর্ধপরিবাহী পদার্থের সংজ্ঞা:
যে সকল পদার্থ পরিবাহী ও অপরিবাহী এ দু’ধরনের পদার্থের মাঝামাঝি গুণ সম্পন্ন সে সকল পদার্থকে অর্ধ – পরিবাহী বা সেমিকন্ডাক্টর বলে। যেমন— জার্মেনিয়াম, সিলিকন, কার্বন, সিলিকন কার্বাইড, ভিজা কাঠ, ইত্যাদি।

সেমিকন্ডাকটরের বৈশিষ্ট্য:
১। এদের পরিবাহিতা প্রায় কন্ডাকটরের মত।
২। রেজিস্টিভিটি পরিবাহী ও অপরিবাহী পদার্থের মাঝামাঝি।
৩। এদের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে রেজিস্ট্যান্স হ্রাস পায়।
৪। এদের সাথে ভেজাল পদার্থ মিশ্রিত করে পরিবাহিতা বৃদ্ধি করা যায়।
৫। পরম শূন্য তাপমাত্রায় এরা ইনসুলেটরের ন্যায় আচরণ করে।
৬। এনার্জি গ্যাপ কম।

সেমিকন্ডাকটরের ব্যবহার:
প্রায় সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস তৈরিতেই সেমিকন্ডাকটর ব্যবহৃত হয়। যেমন- ডায়োড, ট্রানজিস্টর, ডায়াক, ট্রায়াক, থাইরিস্টর, বিভিন্ন ধরনের আই.সি ইত্যাদি তৈরিতে সেমি – কন্ডাকটর ব্যবহৃত হয়।

 

 

কন্ডাক্টরের তড়িৎ তত্ত্ব নিয়ে বিস্তারিত ঃ

 

 

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version