ওয়াট মিটার ও এনার্জি মিটার ক্লাসটি পলিটেকনিক বেসিক ইলেক্ট্রিসিটি ৬৬৭১১ [Polytechnic Basic Electricity, 66711] কোর্সের অংশ | বৈদ্যুতিক ক্ষমতা ও শক্তি পরিমাপের যন্ত্র ওয়াট মিটার ও এনার্জি মিটার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এই ক্লাসে।
ওয়াট মিটার ও এনার্জি মিটার
এনার্জি কাকে বলে?
এনার্জি শব্দের বাংলা অর্থ হলো শক্তি। কাজ করার সামর্থ্যকে মূলত এনার্জি বলে। একটি বৈদ্যুতিক সার্কিটে যতক্ষন বৈদ্যুতিক পাওয়ার বা ক্ষমতা কাজ করে উক্ত পাওয়ারের সাথে সময়ের গুনফলকে বৈদ্যুতিক এনার্জি বা শক্তি বলা হয়। এনার্জিকে সাধারনত ওয়াট আওয়ার (Watt-hour) বা কিলোওয়াট আওয়ার (Kilowatt-hour) এ প্রকাশ করা হয়ে থাকে। বৈদ্যুতিক এনার্জিকে (E) চিহ্ন দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
অর্থাৎ এনার্জিকে আমরা এভাবেও প্রকাশ করতে পারি- এনার্জি W = P * T এখানে P = Power, T = Time
এনার্জি মিটার কাকে বলে?
কোন বর্তনীর বৈদ্যুতিক এনার্জি সরাসরি কিলোওয়াট আওয়ার এককে যে যন্ত্র বা ইন্সট্রুমেন্টের (Instrument) সাহায্যে পরিমাপ করা যায়, তাকে এনার্জিমিটার বলে। বর্তমানে এনালগ ও ডিজিটাল দুই ধরনের এনর্জি মিটার বাজারে পাওয়া যায়। এনার্জিমিটার ইন্ডাকশন নীতির উপর কাজ করে বলে একে ইন্ডাকশন টাইপ এনার্জিমিটার বলা হয়।
এনালগ এনার্জিমিটারে একটি চাকতি বা ডিস্ক থাকে যেটা মিটারের ভিতরে মুক্তভাবে ঘুরতে পারে। এই ডিস্ক বা চাকতি ঘুরার ফলে যত পরিমান বৈদ্যুতিক এনার্জি খরচ হয় তা নির্দিষ্ট সময়ের মানগুলো রেকোর্ড হয়ে থাকে ডিসপ্লেতে। এনালগ এনার্জিমিটারের ডিস্ক বা চাকতির ঘূর্ণনকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য চাকতির পাশে পারমানেন্ট চুম্বক লাগানো থাকে। একে ব্রেকিং ম্যাগনেট বলা হয়ে থাকে।
এনার্জি মিটার কত প্রকার ও কি কি
গঠনের উপর ভিত্তি করে এনার্জিমিটার তিন প্রকার হয়ে থাকে। যথা-
- ইন্ডাকশন টাইপ এনার্জিমিটার
- মোটর এনার্জিমিটার
- ক্লক এনার্জিমিটার
- সিঙ্গেল ফেজ এনার্জিমিটার
- থ্রি- ফেজ এনার্জিমিটার
ওয়াট মিটার ও এনার্জি মিটার নিয়ে বিস্তারিত ঃ
আরও দেখুনঃ