আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-ইজি টাইমার।
ইজি টাইমার
ভূমিকা (Introduction) :
এটি একটি সহজ এবং উপকারী প্রয়োজনীয় সার্কিট। এ সার্কিটটি পাম্প ON এবং OFF করার কাজে, গরম ও ঠান্ডা করার কাজ, উৎপাদনসই বিভিন্ন ইকুইপমেন্টে ব্যবহার করা হয়। এটি একটি নির্ধারিত সময় পর কাজ করে, তাই অনেক ক্ষেত্রে এ সার্কিট ব্যবহৃত হয়।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ (Essential parts ) :
১। আইসি (IC-555)- ১ টি
২। ট্রানজিস্টর (TR-BC 148 )- ১ টি
৩। ক্যাপাসিটর (Capacitor 0.01.103)- ১ টি
৪। ক্যাপাসিটর (Capacitor 4.7, 16V)- ১ টি
৫। ক্যাপাসিটর (Capacitor – 1000 F 16V)- ১ টি
৬। রেজিস্টর (Resistor 4K7- Yellow Violet – Red Golden)- ১ টি
৭। রেজিস্টর (Resistor-10K Brown Black Orange- Golden)- ১ টি
Cafes (Resistor-22K-Red-Red-Orange-Golden)- ১ টি
৯। টোন কন্ট্রোল (Tone control)- ১ টি
১০। বিলে (Relay-9V)- ১ টি
১১। আইসি বেস (IC Base-8 pin)- ১ টি
১২। পিসিবি (PCB)- ১ টি
১৩। ট্রেইনার বোর্ড (Trainer board)- ১ টি
১৪। মাল্টিমিটার (Multimeter)- ১ টি
১৫। সোল্ডারিং আয়রন ( Soldering iron)- ১ টি
১৬। সোল্ডারিং লেড (Soldering lead)-প্রয়োজনমতো
১৭। সোল্ডারিং রজন ( Soldering rosin)-প্রয়োজনমতো
১৮। কানেকটিং ওয়্যার (Connecting wire)-প্রয়োজনমতো
সার্কিট বর্ণনা (Circuit description):
প্রজেক্টটি নির্ভর করে ICS55 টাইমার আইসির উপর। এ আইসিটি মনোস্ট্যাবল মাল্টিভাইব্রেটর হিসাবে কাজ করে।। সার্কিট 9V সাপ্লাইয়ে কাজ করে। টোন কন্ট্রোল IM এর সাহায্যে এক মিনিট থেকে পাঁচ মিনিট ON/OFF অ্যাডজাস্ট করা টাইমার আইসির 555 এর 3 নং পিনের সাথে রেজিস্টর 4K7 এবং ট্রানজিস্টর BC 548 এর কালেক্টরের সাথে রিলে সংযোগ হয়ে থাকে।
আইসির মাধ্যমে যখন টাইম পালস প্রদান করা হয় সে অনুযায়ী রিলেটি ON/OFF হয়। যখন IC555 এর এবং ি ‘হাই’ হয় তখন ট্রানজিস্টরটি ON হয়, এতে রিলেটি ON হয়। আবার যখন IC555 এর 3নং পিন ‘লো হয়, তখ OFF হয় ফলে রিলেটি OFF হয়।
সার্কিট ডায়াগ্রাম (Circuit diagram) :
কার্যপ্রণালি (Working procedure ):
১। একটি ইজি টাইমারের সার্কিট ডায়াগ্রাম সংগ্রহ করি।
২। সার্কিট ডায়াগ্রাম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় মালামাল সংগ্রহ করি।
৩। সার্কিট ডায়াগ্রাম অনুযায়ী ট্রেইনার বোর্ডে সার্কিট সাজাই।
৪। সার্কিটে প্রয়োজনীয় পাওয়ার সরবরাহ প্রদান করি।
৫। সার্কিটটি ON করে টোন কন্ট্রোলের সাহায্যে টাইম অ্যাডজাস্ট করি।
৬।লোড হিসাবে ব্যবহৃত বাল্বটির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করি যেন টাইম অ্যাডজাস্ট অনুযায়ী ON OFF হচ্ছে কি না।
৭। সার্কিট যদি সঠিকভাবে কাজ করে তাহলে সার্কিট ডায়াগ্রাম অনুযায়ী সার্কিট লে-আউট তৈরি করি।
৮। সার্কিট লে-আউট অনুযায়ী PCB তৈরির প্রক্রিয়াতে PCB তৈরি করি।
৯। PCB ড্রিল করি এবং উক্ত PCB তে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ স্থাপন করি। যার ধরন নিচের চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হলো-
১০। PCB-এর সমস্ত যন্ত্রাংশ ভালোভাবে সোল্ডারিং করি।
১১। সার্কিটের সাথে লোড হিসাবে একটি বাল্ব সংযোগ দেই।
১২। সার্কিটে প্রয়োজনীয় পাওয়ার সরবরাহ দেই।
১৩। টোন কন্ট্রোলের সাহায্যে টাইম সেট করি।
১৪। সার্কিটটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করি যেন ঠিকমতো টাইমিং হচ্ছে কি না।
১৫। সার্কিট সঠিকভাবে কাজ করলে সার্কিটটি একটি ব্যবহার উপযোগী কভার বক্সে বন্দি করি।
ডাটা অ্যান্ড রেজাল্ট (Data and result ):
সার্কিটটি তৈরি করার পর যখন টাইম সেট করা হলো তখন দেখা গেল যে, সেটকৃত টাইম অনুযায়ী লোড হিসাবে ব্যবহৃত বাধটি ON/OFF হলো। এতে বুঝা গেল সার্কিটটি সঠিকভাবে তৈরি করা হয়েছে।
যাচাই প্রণালি (Testing procedure) :
১। সার্কিটে প্রয়োজনীয় পাওয়ার ঠিক আছে কি না তা লক্ষ করি।
২। মিটারের সাহায্যে ট্রানজিস্টরটির ভালোমন্দ পরীক্ষা করি।
৩। মিটারের সাহায্যে ক্যাপাসিটরগুলোর ভালোমন্দ পরীক্ষা করি।
৪। মিটারের সাহায্যে রেজিস্টরগুলোর ভালোমন্দ পরীক্ষা করি
৫। মিটারের সাহায্যে টোন কন্ট্রোলটি ভালোমন্দ পরীক্ষা করি।
৬। মিটারের সাহায্যে রিলেটির ভালোমন্দ পরীক্ষা করি।
৭। PCB-এর সমস্ত যন্ত্রাংশ ভালোভাবে সোল্ডারিং করা আছে কি না লক্ষ করি।
৮। PCB-এর কপার সংযোগ ঠিক আছে কি না তা যাচাই করি।
৯ । কোনো সংযোগ শর্ট হয়ে আছে কি না তা মিটারের সাহায্যে যাচাই করি।
রিপোর্ট তৈরিকরণ (Prepare of report) :
এ প্রজেক্টটি সম্পন্ন করার মাধ্যমে একটি ‘ইজি টাইমার’ সার্কিট সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করা হয়েছে। এখানে একটি সার্কিট নির্বাচন করে প্রয়োজনীয় মালামাল সংগ্রহের মাধ্যমে একটি PCB তৈরি করা হয়েছে।
এ ধরনের প্রজেক্ট বালিত ব্যবহারিক কাজ অথবা বাজারজাতকরণের কাজে আসবে। এ প্রজেক্টটি সম্পন্ন করার ফলে ছাত্রজীবন ও কর্মজীবনে অনেক উপকারে লাগবে।
আরও দেখুনঃ