আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়- সোলার প্ল্যান্ট প্রস্তুতির প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ নির্বাচন।যা একটি সোলার পাওয়ার সিস্টেম প্রস্তুত এর অন্তর্ভুক্ত।
সোলার প্ল্যান্ট প্রস্তুতির প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ নির্বাচন
১। ব্যালাস্টঃ
একটি ফ্লুরেসেন্ট বাতিকে ১২ ভোল্ট ডিসি তে জ্বালানো যায় না। এর জন্য প্রয়োজন হয় অনেক বেশি ভোল্ট। ১২ ভোল্ট ডিসিকে উচ্চ ভোল্টে রূপান্তরিত করার জন্য প্রয়োজন হয় একটি ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র। এ যন্ত্রকে ব্যালাস্ট বলা হয়, যা ভোল্টে ও নিয়ন্ত্রিত কারেন্ট বাতিকে জ্বালাতে সাহায্য করে। প্রতিটি ফ্লুরেসেন্ট বাতির সাথে একটি ব্যালাস্ট লাগাতে হয়।
২। ইনভার্টারঃ
সৌর বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় যে ধরনের বিদ্যুৎ পাওয়া যায় তা ডিসি বিদ্যুৎ। এ ধরনের বিদ্যুৎ দিয়ে এসি বিদ্যুৎ চালিত কোনো বৈদ্যুতিক সামগ্রী সরাসরি চালানো যায় না। এজন্য প্রয়োজন হয় একটি ইনভার্টার। ইনভার্টার দিয়ে ডিসি বিদ্যুৎকে এসি বিদ্যুতে রূপান্তরিত করা হয়।
৩। ফিউজঃ
কোনো সৌর বিদ্যুৎ সিস্টেমে শর্ট সার্কিট বা দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষাকারী বা রক্ষণ যন্ত্রের নাম ফিউজ। এটি সৌর বিদ্যুৎ সিস্টেমে চার্জ কন্ট্রোলারের উপরের অংশে এবং ল্যাম্প শেডের ডিসি ইনপুট অংশ একটি কালো বা লাল ক্যাপের মধ্যে আটকানো থাকে। কোনো অবস্থাতেই এ ফিউজ বাতি থেকে খুলে চার্জ কন্ট্রোলারে অথবা চার্জ কন্ট্রোলার থেকে খুলে বাতিতে স্থাপন করা উচিত নয়। কারণ বাতি ও চার্জ কন্ট্রোলার ভিন্ন ভিন্ন রেটিং-এর ফিউজ ব্যবহৃত হয়।
৪ । ডায়োড ও এর গঠনঃ
ডায়োড একটি সেমিকন্ডাকটর ডিভাইস। ডায়োড দিয়ে সাধারণত একই দিকে কারেন্ট প্রবাহিত হয়। এ ডিভাইসের দুটি অংশ একটি N-টাইপ, অন্যটি P-টাইপ পদার্থ দিয়ে তৈরি। ইলেকট্রন যখন এক পরমাণু থেকে অন্য পরমাণু বা এক কক্ষপথ থেকে অন্য কক্ষপথে যায় তখন লাইট এনার্জি (Photon) বের হয়।

এসব ডায়োডে অ্যালুমিনিয়াম- গ্যালিয়াম আরসেনাইড (AIGnAs) পদার্থ ব্যবহার করা হয়। ডায়োডের উপরের আবরণ প্লাস্টিকের তৈরি এবং এটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়, যাতে নাকি বেশিরভাগ আলো একই দিকে/একমুখী (directional) বের হয়। এটি সাধারণ লাইটিং সিস্টেমের জন্য একটি বড় অসুবিধা।
তবে এটি ট্রাফিক সিগন্যাল লাইটের জন্য ভালো। এছাড়া LED-এর বিভিন্ন ধরনের আলো উৎপন্নের ক্ষমতা এবং আলোর পরিমাণ সহজে কন্ট্রোল করবার সুবিধার জন্য এগুলো ল্যান্ডস্কেপিং, আর্কিটেকচারাল ও ডেকোরেটিভ লাইটিং সিস্টেমের জন্য সবচাইতে ব্যবহার উপযোগী।
আরও দেখুনঃ