সার্কিট ডেভেলপ 

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-সার্কিট ডেভেলপ ।যা একটি সোলার পাওয়ার সিস্টেম প্রস্তুত এর অন্তর্ভুক্ত।

সার্কিট ডেভেলপ

 

সার্কিট ডেভেলপ 

 

সোলার হোম সিস্টেমে ব্যবহৃত বিভিন্ন অংশ যেমন- সোলার প্যানেল, ব্যাটারি, চার্জ, কন্ট্রোলার, ওয়্যারিং-এর জন্য কপার তার প্রভৃতি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরি করে। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনকারী প্রতিষ্ঠান যদি সঠিক ডিজাইনের মাধ্যমে কম খরচের মধ্যে বেশি কার্যকর সিস্টেম স্থাপন করে তবেই গ্রাহকের সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবে।

এজন্য সিস্টেম ডিজাইন করার প্রতিটি সিস্টেম স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের জানা প্রয়োজন। কোন যন্ত্রপাতি যতই উন্নত মানসম্পন্ন হোক না কেন তা যদি সঠিক ক্ষমতাসম্পন্ন না হয় বা সম্পূর্ণ সিস্টেম ডিজাইনের সাথে যদি তার মিল না থাকে, তবে তা ব্যবহার করে গ্রাহক সন্তুষ্ট হতে পারবেন না এবং অর্থ ও জিনিসের অপচয়ের সম্ভাবনা বাড়বে।

তাই সৌর বিদ্যুৎ সিস্টেম ডিজাইনের সময় প্রতিটি উপকরণের কার্যক্ষমতা ও সুবিধা-অসুবিধা সম্বন্ধে জেনে নিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রস্তুকারকের নির্দেশনামাগুলো ভালো করে পড়ে বুঝতে হবে কোন যন্ত্রপাতি কোন সময়ে কোনো ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালোভাবে কাজ করবে এবং তার ভিত্তিতেই সিস্টেম ডিজাইন করতে হবে।

সিস্টেমে ডিজাইনের জন্য কোন একক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় না। বিভিন্ন দেশে প্রকল্পে বিভিন্ন ডিজাইন অনুসরণ তৈরি করা হয়। যেমন কোথাও ৩ দিনের ব্যাটারি অটোনমি ধরা হয়, কোথাও ধরা হয় না।

 

গুগল নিউজ
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

তবে সকল ক্ষেত্রে কিছু মৌলিক নিয়ম মেনে চলা হয় এগুলো নিচে আলোচনা করা হলো :

১। প্রথমে জেনে নিতে হবে গ্রাহকের চাহিদা। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী গ্রাহকের মোট লোডের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। প্রতিটি লোড সারা দিনে কত সময় চলবে তা জেনে নিতে হবে।

২। লোডের ওয়াট/ক্ষমতা যদি বিভিন্ন রকম হয় এবং বিভিন্ন সময়ব্যাপী চলে তবে তা বিবেচনায় আনতে হবে।

৩। দৈনিক সূর্যকিরণের মাত্রা ও দিনে কত ঘণ্টা পরিমিত সূর্যকিরণ পাওয়া যায় তা বিবেচনা করতে হবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শীতকালে সর্বনিম্ন “৪.৫ ঘণ্টা” সূর্যের আলো পাওয়া যায়, যে আলোতে প্যানেল থেকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।

পৃথিবীর যে-কোনো স্থানের প্রতিদিনের এরূপ বাৎসরিক গড় সূর্যকিরণের একটি তথ্য স্থানীয় আবহাওয়া অফিস থেকে পাওয়া যায়, যাকে ঐ স্থানের ইনসুলেশন” বলা হয়। ইনসুলেশনকে প্রকাশ করতে KWh/m/day ব্যবহার করা হয়।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে-কোনো স্থানের জন্য শীতকালের সর্বনিম্ন অবস্থাকে বিবেচনা করে ইনসুলেশন ধরা হয় 4.5KWhm / day, যা থেকে বুঝা যায় বাংলাদেশের যে-কোনো স্থানে প্রতিদিন প্রতি বর্গমিটার আয়তনে ১ কিলোওয়াটের সূর্যশক্তি ৪.৫ ওয়াট-আওয়ার বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে (মনে রাখতে হবে ১ বর্গমিটারে সূর্য থেকে ১ KW শক্তি পাওয়া গেলেও।

 

সার্কিট ডেভেলপ

 

৪। ১ বর্গমিটারের আয়তনের মডিউল থেকে ১ KWp বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না, কারণ সূর্য থেকে প্রাপ্ত প্রতি বর্গমিটারের সকল সৌরশক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করা যায় না। আধুনিক পিভি মডিউল দ্বারা সর্বোচ্চ ১৫% শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করা যায়। এছাড়া একটি সিস্টেমের বিভিন্ন ধরনের লসের কারণেও বিদ্যুৎ উপাদন কম হয়।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment