আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় আর.এল সিরিজ সার্কিটের রেজিস্ট্যান্স, ইন্ডাকট্যান্স এর মান নির্ণয় এবং ভেক্টর ডায়াগ্রাম অঙ্কন
Table of Contents
আর.এল সিরিজ সার্কিটের রেজিস্ট্যান্স, ইন্ডাকট্যান্স এর মান নির্ণয় এবং ভেক্টর ডায়াগ্রাম অঙ্কন
ভূমিকা :
একটি ইন্ডাকটিভ কয়েল যে তার দিয়ে তৈরি সেই তারের একটি নিজস্ব রেজিস্ট্যান্স আছে। তাই বলা যায় যে, সম্পূর্ণ রেজিস্ট্যান্স বিহীনভাবে কোন ইন্ডাকটিভ কয়েল তৈরি করা সম্ভব নয়। তবে উপেক্ষা করা যায় এমন রেজিস্ট্যান্সসহ ইন্ডাকটিভ কয়েল তৈরি করা সম্ভব। এখনকার পরীক্ষাটিতে ইন্ডাকটিভ কয়েলের রেজিস্ট্যান্সকে উপেক্ষা করে সিরিজে একটি রেজিস্টর হিসেবে ইনক্যান্ডেসেন্ট ল্যাম্প ব্যবহার করা হবে। এর ফলে বাতিটি রেজিস্টর হিসেবে এবং একটি চোক কয়েল ইন্ডাকটিভ কয়েল হিসেবে
ব্যবহৃত হবে। উদ্দেশ্য :
১। একটি রেজিস্টর ও একটি ইন্ডাকটিভ কয়েলকে শনাক্তকরণ ।
২। একটি সার্কিটের রেজিস্ট্যান্স ও ইন্ডাকট্যান্স নির্ণয় করার পদ্ধতি জানা ।
৩। প্রাপ্ত রেজিস্ট্যান্স ও ইন্ডাকট্যান্সজনিত ইন্ডাকটিভ রিয়্যাকট্যান্সের মান থেকে ভেক্টর ডায়াগ্রাম আঁকার পদ্ধতি জানা ।
তত্ত্ব :
রেজিস্ট্যান্স :
যে গুণের কারণে একটি পরিবাহীতে কারেন্ট চলাচলে বাধা পায় এবং পাওয়ার খরচ হয় (Dissipate of power),
তাকে রেজিস্ট্যান্স বলে । এর প্রতীক R, একক ওহম, ওহমের প্রতীক 12 (ওমেগা)।
ইন্ডাকট্যান্স :
যে গুণের কারণে কোন পরিবাহীতে কারেন্টের মান পরিবর্তন হতে বাধা পায়, তাকে ইন্ডাকট্যান্স বলে। এর প্রতীক
L, একক হেনরি, হেনরির প্রতীক h. ইন্ডাকট্যান্সজনিত কারণে কারেন্ট চলাচলের বাধাকে ইন্ডাকটিভ রিয়্যাকট্যান্স (X) বলে। এর একক ওহম, X1 = 2nfL, এখানে f হচ্ছে Frequency, L হচ্ছে ইন্ডাকট্যান্স ।
ইম্পিড্যান্স :
একটি এসি সার্কিটের মোট বাধাকে ইম্পিড্যান্স বলে। প্রতীক Z, একক ওহম। RL সিরিজ সার্কিটের ক্ষেত্রে,
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল :
১। রেজিস্টর (230V, 100W incandescent lamp ) – ১ টি
২। ইন্ডাকটিভ কয়েল (230V, 50Hz 40W choke coil or ballast) – ১ টি
৩। অ্যামিটার 0-5A, AC
৪। ভোল্টমিটার 0-250V, AC
৫। (উপরের ৩ এবং ৪ নং এর পরিবর্তে) Digital multimeter – ১ টি
৬। ড্রইং সামগ্রী – প্রয়োজন অনুযায়ী ।
ডাটা শীট :
কাজের ধাপ :
১। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল সংগ্রহের পর সার্কিট ডায়াগ্রাম অনুযায়ী সংযোগ দিতে হবে।
২। সরবরাহ করার পূর্বে পুনরায় সার্কিটটি চেক করতে হবে।
৩। প্রতিটি পাঠ সাবধানে নিয়ে ডাটা শীটে বসাতে হবে।
৪। ডাটা শীটে বসানো মান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য বের করতে হবে।
৫। সুনির্দিষ্ট স্কেল অনুযায়ী ভেক্টর ডায়াগ্রাম আঁকতে হবে।
৬। হিসেবকৃত কোণের মান এবং অঙ্কনকৃত কোণের মান তুলনা করতে হবে।

সবধানতা :
১। সরবরাহ করার আগে সার্কিটটি চেক করে নিতে হবে।
২। মিটারগুলো সংযোগ করার সময় সঠিক মানের মিটার এবং সঠিক স্কেল অনুযায়ী সংযোগ করতে হবে।
৩। পাঠ নেয়ার সময় সঠিকভাবে পাঠ নিতে হবে।
৪। হিসেব করার সতর্কতা পালন করতে হবে।
উপসংহার : নিজে করি ।
ওয়ার্ক শীট :
ইন্ডাকটিভ কয়েলে রেজিস্ট্যান্স অংশ থাকায় ফলাফলের কী প্রভাব পড়বে এবং কেন?
আরও দেখুন :