আলট্রাসনিক মসকিটো রিপিলেন্ট

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-আলট্রাসনিক মসকিটো রিপিলেন্ট।

আলট্রাসনিক মসকিটো রিপিলেন্ট

ভূমিকা (Introduction) :
এটা এমন এক ধরনের প্রজেক্ট, যার মাধ্যমে ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র দ্বারা মশা দূর করা হয়। এ ধরনের সার্কিটের মাধ্যমে আলট্রাসনিক শব্দ উৎপন্ন করে মশা দূর করা হয়।

এ সার্কিট বা যন্ত্রে কোনো ধরনের ক্যামিক্যাল বা টেবলেট ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না। বাসাবাড়ি, দোকানপাট, অফিস-আদালতে এ ধরনের সার্কিট ব্যবহার করে মশার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ (Essential Parts ) :
১। টাইমার আইসি (IC-555)- ৪টি
২। এলইডি (LED-Red)- ১ টি
৩। ট্রানজিস্টর (TR-BC-558)- ১ টি
৪। ট্রানজিস্টর (Tr-BC-548)- ১ টি
৫। ক্যাপাসিটর (Capacitor 10pF. 16V)- ১ টি
৬। ক্যাপাসিটর (Capacitor 100 F 16V)- ১ টি
৭। ক্যাপাসিটর (Capacitor 0.01F)- ১ টি
৮। রেজিস্টর (Resistor-47E- Yellow Violet – Golden Golden)- ১ টি

৯। রেজিস্টর (Resistor-Ik-Brown Black-Red Golden)- ১ টি
১০। রেজিস্টর (Resistor-470k-Yellow Violet Yellow-Golden)- ১ টি
১১। রেজিস্টর (Resistor 100 Brown Black Brown-Golden)= ১টি
১২। স্পিকার (Speaker)= ১টি
১৩। পিসিবি (PCB)- ১ টি
১৪। কেবিনেট (Cabinet)- ১ টি
১৫। ট্রেইনার বোর্ড (Trainer board)- ১ টি

১৬। ব্যাটারি (Battery-9V)- ১ টি
১৭। মাল্টিমিটার (Multimeter)- ১ টি
১৮। সোল্ডারিং আয়রন (Soldering iron- ১ টি
১৯। সোল্ডারিং লেড (Soldering lead)- প্রয়োজনমতো
২০। কানেকটিং ওয়্যার (Connecting wire)- প্রয়োজনমতো

সার্কিট বর্ণনা (Circuit description) :
এ সার্কিট তৈরি হয় মূলত একটি IC 555 টাইমার আইসি ও দুইটি ট্রানজিস্টর BC548 ও BC 558 এর সমন্বয়ে দু’টি ট্রানজিস্টরের মাধ্যমে একটি অসিলেটর সার্কিট তৈরি হয়।

অসিলেটর সার্কিটের উৎপন্ন অসিলেশন সিগন্যাল IC 555 এর 5 নং পিনের মাধ্যমে প্রবেশ করে এবং 3 নং পিনের মাধ্যমে আউটপুট সিগন্যাল প্রদান করে 47E রেজিস্টরের মাধ্যমে স্পিকারে আল্ট্রাসনিক ওয়েড প্রবেশ করে।

স্পিকারের মাধ্যমে পরবর্তীতে আলট্রাসনিক শব্দ উৎপন্ন হয়। এ আলট্রাসনিক শব্দের ফ্রিকুয়েন্সি 136H2 থেকে SOKHz পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর এ ফ্রিকুয়েন্সির শব্দ মশামাছি সহ্য করতে পারে না। এ সার্কিট পরিচালনার জন্য 9V ডিসি সরবরাহের প্রয়োজন হয়।

সার্কিট ডায়াগ্রাম (Circuit diagram) :

 

আলট্রাসনিক মসকিটো রিপিলেন্ট

 

কার্যপ্রণালি (Working procedure) :
১। একটি আলট্রাসনিক মসকিটো রিপিলেন্ট-এর সার্কিট ডায়াগ্রাম সংগ্রহ করি।

২। সার্কিট ডায়াগ্রাম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় মালামাল সংগ্রহ করি।
৩। সার্কিট ডায়াগ্রাম অনুযায়ী ট্রেইনার বোর্ডে সার্কিট সাজাই।
৪। সার্কিটের সাথে স্পিকারের সংযোগ প্রদান করি।
৫। সার্কিটে 9V ডিসি সরবরাহের ব্যবস্থা করি।
৬। সার্কিটটি ON করার ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
৭। যে স্থানে মশা আছে উক্ত স্থানে সার্কিটটি পর্যবেক্ষণ করি।
৮। সার্কিটটি যদি সঠিকভাবে কাজ করে তাহলে সার্কিট ডায়াগ্রাম অনুযায়ী সার্কিট লে-আউট তৈরি করি।
৯। সার্কিট লে-আউট অনুযায়ী PCB তৈরির প্রক্রিয়াতে PCB তৈরি করি।

১০। PCB ড্রিল করি এবং উক্ত PCB তে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ স্থাপন করি। যার ধরন নিচের চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হলো—

 

আলট্রাসনিক মসকিটো রিপিলেন্ট

 

১১। PCB-এর সমস্ত যন্ত্রাংশ ভালোভাবে সোল্ডারিং করি।
১২। সার্কিটের সাথে স্পিকারটি ভালোভাবে সংযোগ দেই।
১৩। সার্কিট 9V ডিসি সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
১৪। সার্কিটে ON করে যে স্থানে মশা আছে উক্ত স্থান পর্যবেক্ষণ করি।
১৫। সার্কিটটি সঠিকভাবে কাজ করলে সার্কিটটি একটি ব্যবহার উপযোগী কভার বক্সে বন্দি করি।

ডাটা অ্যান্ড রেজাল্ট (Data and results):
সার্কিটটি ON করার পর পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেল যে যেই স্থানে মশা ছিল ঐ স্থানে ধীরে ধীরে মশা কমে যাচ্ছে।যাচাই প্রণালি (Testing procedure):

১। DC 9V এ কোনো সমস্যা আছে কি না ভালোভাবে লক্ষ করি। ২। মিটারের সাহায্যে ট্রানজিস্টর দু’টির ভালোমন্দ পরীক্ষা করি।
৩। মিটারের সাহায্যে রেজিস্টরগুলোর ভালোমন্দ পরীক্ষা করি।
৪। মিটারের সাহায্যে ক্যাপাসিটরগুলোর ভালোমন্দ পরীক্ষা করি।
৫। মিটারের সাহায্যে LED এর ভালোমন্দ পরীক্ষা করি।
৬। মিটারের সাহায্যে স্পিকারের ভালোভাবে পরীক্ষা করি ।
৭। PCB-এর সমস্ত যন্ত্রাংশ ভালোভাবে সোল্ডারিং করা আছে কি না লক্ষ করি।

৮। PCB-এর কপার সংযোগ ঠিক আছে কি না তা যাচাই করি ।

৯। কোনো সংযোগ শর্ট হয়ে আছে কি না তা মিটারের সাহায্যে যাচাই করি।

 

গুগল নিউজ
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

রিপোর্ট তৈরিকরণ (Prepare of report) :
এ প্রজেক্টটি সম্পন্ন করার মাধ্যমে একটি আল্ট্রাসনিক মসকিটো রিপিলেন্ট-এর সার্কিট সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করা হয়েছে। এখানে একটি সার্কিট নির্বাচন করে প্রয়োজনীয় মালামাল সংগ্রহের মাধ্যমে একটি PCB তৈরি করা হয়েছে।

এ ধরনের প্রজেক্ট ব্যক্তিগত ব্যবহারিক কাজ অথবা বাজারজাতকরণের কাজে আসে। এ প্রজেক্টটি সম্পন্ন করার ফলে ছাত্রজীবন ও কর্মজীবনে অনেক উপকারে আসে।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment