ব্যাকআপ প্রোটেকশন

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় – ব্যাকআপ প্রোটেকশন।যা “স্ট্যাটিক প্রোটেকশন বাসবার-এর মূলনীত” অধ্যায় এর অন্তর্ভুক্ত।

ব্যাকআপ প্রোটেকশন

 

ব্যাকআপ প্রোটেকশন

 

চিত্রে বাসবারের ব্যাকআপ প্রোটেকশন দেখানো হয়েছে। ব্যাকআপ প্রোটেকশন প্রাইমারি প্রোটেকশনে অসমর্থ হলে সেখানে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। অনেক সময় সার্কিট ব্রেকার যদি ফন্টের সময় প্রাইমারি প্রোটেকশন না দেয়,সে ক্ষেত্রে ব্যাকআপ প্রোটেকশন খুবই কার্যকরী।

চিত্রে A হলো প্রাইমারি প্রোটেকশনের অংশ এবং B হলো অতিরিক্ত ব্যাকআপ-প্রোটেকশন অংশ। এ B অংশটি লজিক সিস্টেম অনুসরণ করে। এ ব্রেকার ব্যাকআপ-প্রোটেকশন সাধারণত বাসবার প্রোটেকশনের সাথে যুক্ত থাকে। প্রোটেকশনের মূলনীতি হলো প্রধান সার্কিট ব্রেকারে কমান্ড দেওয়া হয়, যা টাইম ল্যাগ রিলের মাধ্যমে চেক করা হয়।

এ টাইম ল্যাগ রিলে চেক করে থাকে, যাতে সার্কিট ব্রেকার ফন্টের সময় 50 থেকে 100 মিলি সেকেন্ডের মধ্যে অতিরিক্ত কারেন্ট দূরীভূত করতে সক্ষম হয়। এখানে প্রাইমারি প্রোটেকশনের সময় লাগে। মোটামুটিভাবে 20 ms থেকে 40ms পর্যন্ত। এ সময়ে সার্কিট ব্রেকার সাফল্যজনকভাবে ফন্ট দূরীভূত করলে ব্যাকআপ-প্রোটেকশন ট্রিপিং কমান্ড দেয় না। তা না হলে ব্যাকআপ-প্রোটেকশন কাজ করে এবং ট্রিপিং কমান্ডের সময় লাগে 100 থেকে 500 মিলি সেকেন্ড।

 

ব্যাকআপ প্রোটেকশন

 

বাসবারের ব্যাকআপ-প্রোটেকশনে B অংশে যে সমস্ত উপাদান থাকে, তা হলো :

3টি হাই স্পিড সিঙ্গেল ফেজ কারেন্ট রিলে

1টি অথবা আরো বেশি স্টার্টিং ইলিমেন্ট

1টি অথবা আরো বেশি টাইম ল্যাগ ইলিমেন্ট

1টি অথবা দুটি ট্রিপিং রিলে

এখানে লজিক সার্কিট নির্ধারণ করে কোনো সার্কিট ব্রেকার ট্রিপ করবে। এ লজিক সার্কিটগুলো সিটির অক্সিলারি থেকে ইনপুট পায়।এছাড়া এ প্রোটেক্টিভ সিস্টেমে থাকে সিগনাল ও মনিটর, ইউনিট, ইন্টারমিডিয়েট সিটি, ইনপুট ফিল্টার ইত্যাদি।

কম্পারেটর (Comparator) : এটি এমন একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা দুই বা ততোধিক বৈদ্যুতিক রাশির মধ্যে তুলনা করে । এটিকে স্ট্যাটিক রিলের হার্ট বলে। কম্পারেটর স্ট্যাটিক রিলের অপারেটিং বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে।

 

ব্যাকআপ প্রোটেকশন

 

কম্পার্টের প্রধানত দুই প্রকার; যথা-

(১) অ্যামপ্লিচিউড কম্পারেটর।

(২) কেজ কম্পারেটর।

এছাড়াও মাল্টি ইনপুট এবং হাইব্রিড কম্পারেটর হতে পারে। 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment