বলের ভারসাম্য ক্লাসটি “এসি মেশিনস-১ [ AC Machines-1 ]” কোর্সের “অধ্যায় ২/Chapter 2” এ পড়ানো হয় | এই ক্লাসটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড [Bangladesh Technical Education Board] এর পলিটেকনিক [Polytechnic] ডিসিপ্লিন এর ৬ষ্ঠ সেমিস্টার, ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি [ 6th Semester, Electrical Technology ] এ পড়ানো হয়।
বলের ভারসাম্য
কোন বিন্দু বা বস্তুতে দুই বা ততোধিক বলকিয়া করায় উক্ত বিন্দু বস্তুতে বলে লোক যদি শুন্য হয় তবে তাকে বলের ভারসাম্য বলে।
যে বাহ্যিক কারণে কোনো বস্তুর জড়তার ধর্মের পরিবর্তন ঘটায় বা ঘটাতে চায় তাকে বল বলে।সংক্ষেপে,ভরবেগের পরিবর্তনের হারকে বল বলে। পদার্থবিদ্যায় বল (ইংরেজি: Force) হল এমন এক বাহ্যিক প্রভাব যা কোনো বস্তুর বেগের মান বা অভিমুখ উভয়ের পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম (যেমন স্থির বস্তু গতিশীল করা, গতিশীল বস্তুর বেগের পরিবর্তন করা কিংবা গতিশীল বস্তুকে স্থির করা)। কোনও নির্দিষ্ট ভরের বস্তুতে বলপ্রয়োগের মধ্যমে তার গতিবেগ পরিবর্তন করা যায়। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে যদি বস্তুর গতিবেগ বৃদ্ধি হয় তাহলে পদার্থবিদ্যার সংজ্ঞা অনুযায়ী সেই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ত্বরণ ।
পদার্থবিদ্যায় বল হল এমন একটি রাশি যার মান ও অভিমুখ উভয়ই বর্তমান তাই এটি একটি ভেক্টর রাশি। কোন বস্তুতে বলপ্রয়োগ করার পর বস্তুটি পূর্ণ স্থিতিশীল অবস্থায় যতক্ষণ না পৌছায় ততক্ষণ বলের প্রভাবে বস্তুটির আকৃতিগত পরিবর্তন ঘটতে থাকে। বলের এসআই একক নিউটন এবং একে ইংরেজি অক্ষর F এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
নিউটনের দ্বিতীয় সূত্রমতে, কোন বস্তুর উপর প্রযোজ্য বলের মোট পরিমান সময়ের সাথে তার ভরবেগের পরিবর্তনের মানের সমান হয়। বলকে সাধারণভাবে ভর ও ত্বরণের গুনফল রূপে প্রকাশ করা হয়। বস্তুর ভর যদি ধ্রুবক হয় তাহলে সূত্র অনুযায়ী, যে বস্তুর উপর বল প্রয়োগ করা হয় তাহলে যে অভিমুখে বল প্রয়োগ করা হয় সেই অভিমুখে বস্তুর ত্বরণ তার উপর প্রযোজ্য বলের সমানুপাতিক এবং সেই বস্তুর ভরের ব্যাস্তানুপাতিক হয়।
পদার্থবিদ্যায় বলবিদ্যার অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলি হলঃ ঠেলা বা থ্রাস্ট যার মাধ্যমে কোন বস্তুর গতিবেগ বৃদ্ধি করা যায়; টানা বা পুল যার মাধ্যমে বস্তুর গতিবেগ হ্রাস করা যায় এবং টর্ক বা ঘূর্ণন সঞ্চারক বল যার মাধ্যমে কোন বস্তুর ঘূর্ণন গতিবেগ পরিবর্তন করা যায়। কোন বস্তুর একটি অংশে বলপ্রয়োগ করলে সেই অংশ থেকে তার আশেপাশের সংলগ্ন অংশে প্রযোজ্য বলের প্রভাব ছড়িয়ে পরে এবং এইভাবে সম্পূর্ণ বস্তুতে বলের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ার এই ঘটনাকে বলা হয় আভ্যন্তরীণ যান্ত্রিক পীড়ন বা মেকানিকাল স্ট্রেস।
এইরূপ যান্ত্রিক পীড়নের ফলে বস্তুতে ত্বরণের সৃষ্টি হয়না কারণ প্রযোজ্য বলের অংশ একে অপরের সঙ্গে ভারসাম্য স্থাপন করে নেয়। বস্তুর কোন অংশে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশের বলপ্রয়োগ করা হলে তা একটি সরল যান্ত্রিক পীড়নের উদাহরণস্বরূপ এবং এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বলের অংশগুলির পরস্পরের মধ্যবর্তী ভারসাম্য যদি বিচ্যুত হয় তাহলে তা বস্তুতে ত্বরনের সৃষ্টি করে। বলবিদ্যার সঙ্গে সংযুক্ত পদার্থবিদ্যার আরেকটি বিষয়বস্তু হল চাপ। চাপ সাধারণত কঠিন পদার্থের বিকৃতি ঘটায় বা তরল পদার্থের প্রবাহ ও গতিবেগ প্রভাবিত করে।
বলের ভারসাম্য নিয়ে বিস্তারিত :
আরও দেখুনঃ
- বাইনারি বিয়োগ | Digital Electronics and Microprocessor
- টি ফ্লিপ ফ্লপ | Digital Electronics and Microprocessor
- সিনক্রোনাস ও অ্যাসিনক্রোনাস কমিউনিকেশন পদ্ধতি