ফেজ ও ফেজ পার্থক্যের চিত্রসহ ব্যাখ্যা

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় ফেজ ও ফেজ পার্থক্যের চিত্রসহ ব্যাখ্যা

ফেজ ও ফেজ পার্থক্যের চিত্রসহ ব্যাখ্যা

ফেজ ও ফেজ পার্থক্যের চিত্রসহ ব্যাখ্যা

ফেজ (Phase) :

অল্টারনেটিং ভোজে এবং কারেন্টের তরঙ্গ বা ওয়েভ অবিচ্ছিন্ন। একটি সাইকেল সম্পূর্ণ হওয়ার পরও এই থেমে থাকে না; বরং যতক্ষণ পর্যন্ত জেনারেটর চলতে থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত এদের পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে।

 

ফেজ ও ফেজ পার্থক্যের চিত্রসহ ব্যাখ্যা

 

৫.৭ নং চিত্রে প্রদর্শিত T সেকেন্ড টাইম-পিরিয়ডের একটি অল্টারনেটিং ভোন্টেজ তরঙ্গ বিবেচনা করা যাক। এখানে উল্লেখ্য যে, যে মুহূর্তে ভোজে শূন্যতে সেই মুহূর্ত হতে সময় গণনা করা হয়। সর্বোচ্চ পজিটিভ মান (+V) T4 সেকেন্ড অথবা 1/2 রেডিয়ানে সংঘটিত হয়।

কাজেই আমরা বলতে পারি যে, সর্বোচ্চ পজিটিভ মানের ফেজ T/A সেকেন্ড অথবা 702 রেডিয়ানস্। এর অর্থ এই যে, যেহেতু নতুন সাইকেল শুরু হয়, T/4 সেকেন্ড অথবা TU2 রেডিয়ানে + V সংঘটিত হয়।

অনুরূপভাবে, সর্বোচ্চ নেগেটিভ মানের ফেজ 3T/4 সেকেন্ড অথবা 37/2 রেডিয়ানস্-এ। সুতরাং, ফেজ হল একটি পরিবর্তনশীল রাশির (Alternating quantity) টাইম পিরিয়ড বা সাইকেলের ভগ্নাংশ মাত্র, যার মধ দিয়ে রাশিটি রেফারেন্সের নির্ধারিত শূন্য অবস্থান হতে সম্মুখ পানে অগ্রসর হয়।

ফেজ পার্থক্য (Phase difference) :

যখন একটি সার্কিটে একটি অল্টারনেটিং (পরিবর্তনশীল) ভোল্টেজ প্রয়োগ করা হয়। তখন উক্ত সার্কিটটির মধ্য দিয়ে একই ফ্রিকুয়েন্সির একটি অল্টারনেটিং কারেন্ট প্রবাহিত হয়। অধিকাংশ বাস্তব সার্কিটে, ভোল্টেজ এবং কারেন্টের মধ্যে ফেজ-পার্থক্য বিদ্যমান থাকে। অন্যভাবে বলা যায় যে, তারা একটি নির্দিষ্ট বিন্দু (ধরা যাক, শূন্য বিন্দু) একই দিকে একই মুহূর্তে অতিক্রম করে না।

 

গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

এরূপে বলা যায় যে, যে মুহূর্তে ভোল্টেজ এর শূন্য-বিন্দু অতিক্রম করছে, ঠিক সেই মুহূর্তে কারেন্ট একই দিকে এর শূন্য-বিন্দু অতিক্রম করে গেছে অথবা অতিক্রম করতে যাচ্ছে। এজন্যেই আমরা বলতে পারি যে, ভোল্টে এবং কারেন্টের মধ্যে একটি ফেজ-পার্থক্য বিদ্যমান।

সুতরাং, যখন একই ফ্রিকুয়েন্সির দু’টি পরিবর্তনশীল রাশির (Alternating quantities) বিভিন্ন শূন্য- বিন্দু থাকে, তখন তাদের পার্থক্যকে ফেজ পার্থক্য বলা হয়।

শূন্য-বিন্দু দু’টির মধ্যবর্তী কোণকে ফেজ-পার্থক্যের কোণ বলা হয়। এর প্রতীক ¢ বা B এবং এটি ডিগ্রি বা রেডিয়ানে পরিমাপ করা হয়। যে রাশিটি এর শূন্য-বিন্দু আগে অতিক্রম করে, তাকে লীডিং (Leading) এবং যে রাশিটি এর শূন্য বিন্দু পরে অতিক্রম করে, একে ল্যাগিং (Lagging) বলা হয়।

 

ফেজ ও ফেজ পার্থক্যের চিত্রসহ ব্যাখ্যা

 

একটি এসি সার্কিট বিবেচনা করা যাক, যাতে কারেন্ট (i) ভোল্টেজের (v) চেয়ে ক° পশ্চাদ্‌গামী (Lagging)। এক্ষেত্রে বলা যায় যে, ভোল্টেজ এবং কারেন্টের মধ্যবর্তী ফেজ-পার্থক্য ক° । এ ফেজ-পার্থক্য তরঙ্গের সাহায্যে ৫.৮ নং চিত্রে দেখানো হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে, ফেজ-পার্থক্য নির্ণয়ের সময় ঐ সব শূন্য-বিন্দুগুলো বিবেচনা করা হয়, যেখানে তরঙ্গগুলো একই দিকে অতিক্রম করে।

৫,৮ নং চিত্রে ভোল্টেজ v এর শূন্য-বিন্দু O অতিক্রম করছে এবং পজিটিভ অভিমুখে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনুরূপভাবে, কারেন্ট । এর শূন্য-বিন্দু ‘a’ অতিক্রম করছে এবং পজিটিভ অভিমুখে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুতরাং ভোস্টেজ এবং কারেন্টের ফেজ-পার্থক্য ona (=1°) । অনুরূপভাবে, b এবং c (bc=b°) বিন্দুদ্বয় বিবেচনা করেও ফেজ- পার্থক্য নির্ণয় করা যায় ।

ভোল্টেজ এবং কারেন্টের সমীকরণগুলো হল-
v=V, sinot

i=1, sin (0-4)

আরও দেখুন :

Leave a Comment