আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-ফায়ার অ্যালার্ম।
ফায়ার অ্যালার্ম
ভূমিকা (Introduction) :
এটা হয় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট। আগুন লাগলে এ সার্কিটের মাধ্যমে অ্যালার্ম দিয়ে থাকে। তাই কোনো স্থানে আগুন লাগলে উক্ত স্থানে যদি এ ধরনের ব্যবস্থা থাকে, তাহলে অ্যালার্ম দিয়ে এ সার্কিট সতর্ক করার ব্যবস্থা করে দেয়। বাসাবাড়ি, দোকানপাট, অফিস-আদালত, মিল-ফ্যাক্টরি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ অ্যালার্ম সার্কিট ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ (Essential parts ) :
১। টাইমার আইসি (IC-555)- ১ টি
২। ট্রানজিস্টর (Tr-BEL 547 )- ১ টি
৩। ফায়ার সেনসর ডায়োড (DA 25 / IN 34 )
৪। ক্যাপাসিটর (Capacitor 0.04pF)- ১ টি
৫। ক্যাপাসিটর (Capacitor 0.1 (F)
৬। ক্যাপাসিটর (Capacitor 220P, 16V)- ১ টি
৭। ক্যাপাসিটর (Capacitor 10pF.25V)- ১ টি
৮।bafora (Resistor-1k-Brown-Black-Red-Golden)- ১ টি
৯।Safer (Resistor-4k7-Yellow-Violet-Red-Golden)- ১ টি
১০।So aferos (Resistor-56k-Green-Blue-Orange-Golden)-২ টি
১১। ভেরিয়্যাবল রেজিস্টর (Preset-100k)- ১ টি
১২। স্পিকার (Speaker)- ১ টি
১৩। পিসিবি- ১ টি
১৪। আইসি বেস (IC Base-Spin)- ১ টি
১৫। টেইনার বোর্ড (Trainer board)- ১ টি
১৬। ব্যাটারি (Battery V- ১ টি
১৭।মাল্টিমিটার (Multimeter)- ১ টি
১৮। সোল্ডারিং আয়রন (Soldering iron )- ১ টি
১৯। সোল্ডারিং লেড (Soldering lead)-প্রয়োজনমতো
২০। কানেকটিং ওয়্যার (Connecting wire)- প্রয়োজনমতো।
সার্কিট বর্ণনা (Circuit description):
এ সার্কিট তৈরিতে মূলত নির্ভর করে একটি IC 555 টাইমার এবং একটি BC 547 ট্রানজিস্টর। এছাড়া একটি ইমপোরটের পার্টস হচ্ছে DA25 বা IN 34 নম্বরের ফায়ার সেনসর ডায়োড। এ ডায়োড সার্কিটে রিভার্স বায়াসে সংযুক্ত থাকে।
নরমাল তাপমাত্রায় এ ডায়োড রিভার্স রেজিস্ট্যান্সে হাই থাকে তখন BC-547 ট্রানজিস্টর কন্টিনিউড থাকে এবং টাইমার আইসির 4 নং পিন জিরো লেভেলে থাকে, ফলে অ্যালার্ম সার্কিটের স্পিকারে কোনো সাউন্ড থাকে না।
যখন ডায়োডে অতিরিক্ত তাপ অনুভব করে ডায়োডের রিভার্স রেজিস্ট্যান্স ডিক্সেস হয়ে ফরোয়ার্ড বায়াসে BC S47 ট্রানজিস্টর OFF হয়ে 4K7 রেজিস্টরের মাধ্যমে IC 555 এর 4 নং পিনে পজিটিভ ভোল্টেজ পায়। তখন আইসি 3 নং পিনের মাধ্যমে আউটপুট সিগন্যাল প্রদান করে, ফলে স্পিকারে অ্যালার্ম বেজে উঠে।
সার্কিট ডায়াগ্রাম (Circuit diagram) :
কার্যপ্রণালি (Working procedure) :
১। একটি ‘ফায়ার অ্যালার্ম এর সার্কিট ডায়াগ্রাম সংগ্রাহ করি।
২। সার্কিট ডায়াগ্রাম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় মালামাল সংগ্রহ করি।
৩। সার্কিট ডায়াগ্রাম অনুযায়ী ট্রেইনার বোর্ডে সার্কিটটি সাজাই।
৪। সার্কিটের সাথে স্পিকারটি সংযুক্ত করি।
৫। সার্কিটের সাথে ফায়ার সেনসর ডায়োডটি ভালোভাবে সংযোগ করি।
৬। সার্কিটে 9V ডিসি সরবরাহের ব্যবস্থা করি।
৭। সার্কিট চালু করার ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
৮। ফায়ার সেনসর ডায়োডটিতে নরমাল তাপমাত্রা এবং পরবর্তীতে আগুনের সামনে বেশি তাপমাত্রায় রাখি ।
৯। সার্কিটটি যদি সঠিকভাবে কাজ করে, তাহলে সার্কিট ডায়াগ্রাম অনুযায়ী একটি সার্কিট লে-আউট তৈরি করি।
১০। সার্কিট লে-আউট অনুযায়ী PCB তৈরির প্রক্রিয়াতে PCB তৈরি করি।
১১। PCB ড্রিল করি এবং উক্ত PCB তে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ স্থাপন করি। যার ধরন নিচের চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হলো-
১২। PCB-এর সমস্ত যন্ত্রাংশ ভালোভাবে সোল্ডারিং করি।
১৩। সার্কিটের সাথে স্পিকারটি সংযোগ করি।
১৪। সার্কিটের সাথে ফায়ার সেনসর ডায়োডটি সংযোগ করি।
১৫। সার্কিটটি 9V ডিসি সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
১৬। সার্কিট ON করে বিভিন্ন তাপমাত্রায় পর্যবেক্ষণ করি।
১৭। সার্কিটটি সঠিকভাবে কাজ করলে এটি একটি ব্যবহার উপযোগী বক্সে বন্দি করি।
যাচাই প্রণালি (Testing procedure):
১। DC 9V এ কোনো সমস্যা আছে কি না ভালোভাবে লক্ষ করি।
২। মিটারের সাহায্যে ট্রানজিস্টরটির ভালোমন্দ পরীক্ষা করি।
৩। মিটারের সাহায্যে রেজিস্টরগুলো ভালোমন্দ পরীক্ষা করি।
৪। মিটারের সাহায্যে ফায়ার সেনসর ডায়োডটির ভালোমন্দ পরীক্ষা করি।
৫। মিটারের সাহায্যে ক্যাপাসিটরগুলোর ভালোমন্দ পরীক্ষা করি।
৬। মিটারের সাহায্যে স্পিকারের ভালোমন্দ পরীক্ষা করি।
৭। মিটারের সাহায্যে প্রিসেটটির ভালোমন্দ পরীক্ষা করি।
৮। PCB-এর সমস্ত যন্ত্রাংশ ভালোভাবে সোল্ডারিং করা আছে কি না লক্ষ করি।
৯। PCB-এর কপার সংযোগ ঠিক আছে কি না তা যাচাই করি।

রিপোর্ট তৈরিকরণ (Prepare of report) :
এ প্রজেক্টটি সম্পন্ন করার মাধ্যমে একটি ‘ফায়ার অ্যালার্ম’ সার্কিট সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করা হয়েছে। এখানে একটি সার্কিট। নির্বাচন করে প্রয়োজনীয় মালামাল সংগ্রহের মাধ্যমে একটি PCB তৈরি করা হয়েছে। এ ধরনের প্রজেক্ট ব্যক্তিগত ব্যবহারিক কাজ অথবা বাজারজাতকরণের কাজে আসবে। এ প্রজেক্টটি সম্পন্ন করার ফলে ছাত্রজীবন ও কর্মজীবনে অনেক উপকারে আসবে।
আরও দেখুনঃ