থ্রি-ফেজ ইন্ডাকশন মোটর রিওয়াইন্ডের ভূমিকা

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-থ্রি-ফেজ ইন্ডাকশন মোটর রিওয়াইন্ডের ভূমিকা।যা থ্রি-ফেজ ইন্ডাকশন মোটর রিওয়াইন্ডএর অন্তর্ভুক্ত।

থ্রি-ফেজ ইন্ডাকশন মোটর রিওয়াইন্ডের ভূমিকা

 

থ্রি-ফেজ ইন্ডাকশন মোটর রিওয়াইন্ডের ভূমিকা

কোনো মোটর কাজ যত ছোট ছোট কারণে ডেড বা অকার্যকর হতে পারে এজন্য মোটর পরীক্ষা করে তা মেরামত করে। মোটরের কর্মক্ষমতা ফিরিয়ে আনা যায়। নিম্নে বিভিন্ন ধরনের মোটরের ত্রুটি দেওয়া হলো ও
১। সংযোগ ওপেন হয়ে যাওয়া,
২। ক্যাপাসিটর দুর্বল হয়ে যাওয়া,
৩। ইনসুলেশন দুর্বল হয়ে যাওয়া,

৪। লিকেজ হওয়া,
৫। বিয়ারিং জগম হয়ে যাওয়া,
৬। শ্যাফট ক্ষয় হয়ে যাওয়া,
৭। বিয়ারিং-এর লুব্রিকেন্ট না থাকা,
৮। বুশ লুজ বা ঢিলা হওয়া,উল্লিখিত কারণগুলোর জন্য মোটর অকার্যকর হয়ে থাকে।

 

গুগল নিউজ
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

প্রতিকারঃ
১। মেগারের সাহায্যে সংযোগ পরীক্ষা করাতে হবে। সংযোগ না থাকলে পরীক্ষার পর তা পুনরায় সংযোগ করতে হবে।

২। অ্যাভোমিটার বা Test lamp-এর মাধ্যমে ক্যাপাসিটর পরীক্ষা করতে হবে এবং প্রয়োজনে নতুন ক্যাপাসিটর সংযোগ
করতে হবে।
৩। যদি কয়েলের ইনসুলেশন ভালো না পাওয়া যায় তাহলে এক্ষেত্রে নতুন ওয়াইন্ডিং করতে হবে।
৪। লিকেজ পাওয়া গেলে অ্যাম্পিয়ার ক্লথ দ্বারা আবৃত করে পুনরায় বার্নিশ করতে হবে।
৫। বিয়ারিং জ্যাম হয়ে গেলে পুলারের সাহায্যে বিয়ারিং খুলতে হবে এবং ডিজেল দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। যদি কোনো ত্রুটিজনিত শব্দ না থাকে তাহলে বিয়ারিং পুনরায় লাগাতে হবে। আর যদি শব্দ পাওয়া যায় তবে বিয়ারিং পাল্টাতে হবে।

 

থ্রি-ফেজ ইন্ডাকশন মোটর রিওয়াইন্ডের ভূমিকা

৬। বিয়ারিং জ্যাম থাকলে অনেক সময় মোটরের শ্যাফট ক্ষয় হয়ে যায়, ফলে শ্যাফট থেকে প্রচণ্ড শব্দ পাওয়া যায়। এজন্য শ্যাফটের ক্ষয়প্রাপ্ত স্থানে ঝালাই করে পুনরায় লেসমেশিনের সাহায্যে কেটে নির্দিষ্ট আকারে আনতে হবে।
৭। বিয়ারিং-এ নির্দিষ্ট পরিমাণ লুব্রিকেন্ট না থাকলে ওয়েল ক্যানের মাধ্যমে লুব্রিকেন্ট ঢালতে হবে।

৮। বুশ ক্ষয় বা ঢিলা হলে প্রচণ্ড শব্দ পাওয়া যায়, এ অবস্থায় রুশ পরিবর্তন করা উচিত।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment