আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় আরসি সিরিজ সার্কিটের রেজিস্ট্যান্স, ক্যাপাসিট্যান্স-এর মান নির্ণয় এবং ভেক্টর ডায়াগ্রাম অঙ্কন
Table of Contents
আরসি সিরিজ সার্কিটের রেজিস্ট্যান্স, ক্যাপাসিট্যান্স-এর মান নির্ণয় এবং ভেক্টর ডায়াগ্রাম অঙ্কন
ভূমিকা :
একটি রেজিস্ট্যান্সে কারেন্ট এবং ভোল্টেজ ইন-ফেজে থাকে। যদি রেজিস্টরের সাথে একটি ক্যাপাসিটর সিরিজে করা হয়, তবে ক্যাপাসিটরের ভোল্টেজ কারেন্টের তুলনায় 90° পিছিয়ে থাকবে। ফেজ-স্প্লিট বা ফেজ-ডিসপ্লেসমেন্টের সময় এ নীতি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে, যেমন- সিংগেল ফেজ ইন্ডাকশন মোটর।
উদ্দেশ্য :
১। একটি রেজিস্টর ও একটি ক্যাপাসিটরকে শনাক্তকরণ,
২। একটি সার্কিটের রেজিস্ট্যান্স ও ক্যাপাসিট্যান্স পরিমাপন,
৩। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ভেক্টর ডায়াগ্রাম অঙ্কন করা।
তত্ত্ব :
রেজিস্ট্যান্স :
যে গুণের কারণে একটি পরিবাহীতে কারেন্ট চলাচলে বাধা পায় এবং পাওয়ার খরচ হয় (Dissipate of power), তাকে রেজিস্ট্যান্স বলে। এর প্রতীক R একক ওহম, ওহমের প্রতীক 2 (ওমেগা)।
ক্যাপাসিট্যান্স :
দু’টি পরিবাহী ডাই-ইলেকট্রিক পদার্থের মাধ্যমে পৃথক অবস্থায় রাখা হলে, তাকে ক্যাপাসিটর বলে।
ক্যাপাসিটরের মধ্যে চার্জ ধারণ করে রাখা সম্ভব। চার্জ ধারণ করে রাখার ক্ষমতাকে ক্যাপাসিট্যান্স বলে।
ক্যাপাসিট্যান্স-এর প্রতীক C, একক ফ্যারাড (F)। ক্যাপাসিটরের মধ্যে কারেন্ট চলাচলের বাধাকে ক্যাপাসিটিভ রিয়্যাকট্যান্স Xc বলে। এর একক ওহম। সূত্র হচ্ছে, X = 2nfC, যেখানে ∫ হচ্ছে frequency, C হচ্ছে ক্যাপাসিট্যান্স ।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল :
১। রেজিস্টর (230V, 100W incandescent lamp ) – ১ টি
২। ক্যাপাসিটর (300V AC 2.5, 50Hz) – ১ টি
৩। অ্যামিটার 0-1A; AC – ১ টি
৪। ভোল্টমিটার 0-500V, AC – ১ টি
৫। (উপরের ৩ এবং ৪ নং এর পরিবর্তে) Digital multimeter – ১ টি
৬। ড্রইং সামগ্রী – প্রয়োজন অনুযায়ী
ডাটা শীট :
কাজের ধাপ :
১। প্রয়োজনীয় ও মালামাল সংগ্রহের পর সার্কিট ডায়াগ্রাম অনুযায়ী সংযোগ দিতে হবে।
২। সরবরাহ করার পূর্বে পুনরায় সার্কিটটি চেক করতে হবে।
৩। প্রতিটি পাঠ সাবধানে নিয়ে ডাটা শীটে বসাতে হবে।
৪। ডাটা শীটে বসানো মান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য বের করতে হবে।
৫। সুনির্দিষ্ট স্কেল অনুযায়ী ভেক্টর ডায়াগ্রাম আঁকতে হবে।
৬। হিসেবকৃত কোণের মান এবং অঙ্কনকৃত কোণের মান তুলনা করতে হবে।

সাবধানতা :
১। সরবরাহ করার আগে সার্কিটটি চেক করে নিতে হবে।
২। মিটারগুলো সংযোগ করার সময় সঠিক মানের মিটার এবং সঠিক স্কেল অনুযায়ী সংযোগ করতে হবে।
৩। ক্যাপাসিটরে সংযোগ দেয়ার সময় সংযোগ লুজ (Loose) থাকতে পারবে না।
৪। ব্যবহারের অব্যাহতির পরেই ক্যাপাসিটরকে ডিসচার্জ করে রাখতে হবে।
৫। পাঠ নেয়ার সময় সঠিকভাবে পাঠ নিতে হবে।
৬। হিসেব করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
উপসংহার : নিজে করি।
ওয়ার্ক শীট :
ক্যাপাসিটরের পাওয়ার ফ্যাক্টর 90° না হওয়ার কারণ কী? RC series সার্কিট কোথায় কোথায় ব্যবহৃত হয়?
আরও দেখুন :